এন্টার্টিকা সম্পর্কে কিছু ইন্টারেষ্টিং ফ্যাক্ট । - UHC বাংলা

UHC বাংলা

...মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম!

ব্রেকিং নিউজ

Home Top Ad

Thursday, December 13, 2018

এন্টার্টিকা সম্পর্কে কিছু ইন্টারেষ্টিং ফ্যাক্ট ।



  • এন্টার্টিকার মোট আয়তন 14,000,000 বর্গকিলোমিটার যা বিশ্বের ৫ম তম মহাদেশ। এন্টার্টিকা মহাদেশ অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বড় এবং ইউরোপের চেয়ে ১.৩ গুন্ বড়। এন্টার্টিকা আমেরিকার চেয়ে ১.৫ গুন্ বড়।  

  • এন্টার্টিকায় মোট ১০০০ থেকে ৫,০০০ মানুষ থাকে। সামারে ৫,০০০ ও শীতকালে ১,০০০ এর মত। এরা সবাই ভিজিটর। কেউ স্থায়ীভাবে সেখানে বাস করে না। বিশ্বের ৩৮টি দেশ এন্টার্টিকার মালিক। এখানে কোন স্থায়ী বাসিন্দা নেই।

  • এন্টার্টিকা সর্ব দক্ষিণে হওয়ায় বছরে প্রায় ছয় মাস দিন এবং প্রায় ছয় মাস রাত থাকে। উষা লগ্ন থাকে প্রায় দুই সপ্তাহ এবং গোধূলী লগ্ন থাকে প্রায় দুই সপ্তাহ।অর্থাৎ সূর্য্য উঠতে ও অস্ত যেতে দুই সপ্তাহ করে সময় লাগে।  
আরো পড়ুন : সমুদ্র সৈকতের স্বর্গরাজ্য আন্দামান

  • এন্টার্টিকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মরুভূমি।
  • বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু, সবচেয়ে ঠান্ডা, সবচেয়ে শুকনো (Dry) এবং সবচেয়ে বেশি বাতাস প্রবাহিত হয় এন্টার্টিকা মহাদেশে।
  • এন্টার্টিকা সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৯৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

  • বিশ্বের ৯০% স্বাধু পানি এন্টার্টিকা মহাদেশে অবস্থিত। 
আরো দেখুনঃ মহাভারতে নয়, আর্জেন্টিনার হস্তিনাপুর

  • এন্টার্টিকা মহাদেশের ৯৮% জায়গা বরফে আচ্ছাদিত। বাকি ২% জায়গায় গত ২ মিলিয়ন বছরে কোন বরফ বা বৃষ্টি পড়েনি।
  •   এন্টার্টিকা মহাদেশে চিলি একটি শহর গড়েছে যেখানে আছে হাসপাতাল, পোস্ট অফিস, স্কুল, হোস্টেল, টিভি এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক।
আরো দেখুন: মন্দিরের শহর বালি।

  • এন্টার্টিকার কোন টাইম জোন নেই। অর্থাৎ ওখানে সময় দেখা প্রয়োন হয় না।   

  • এন্টার্টিকায় ৩০টির উপর রিসার্চ স্টেশন রয়েছে। 
আরো দেখুন: মরিশাস বিশ্বের কাছে হিন্দুদের গর্বিত করেছে।

  • এন্টার্টিকায় ৩০০টি লেক আছে। একটি ঝর্ণা আছে যেখান থেকে রক্তের মতো লাল জল প্রবাহিত হয়। 
আরো দেখুন: ভালোবাসার অপূর্ব নিদর্শন তাজমহল।

  • অনেক আগে এন্টার্টিকায় আমেরিকায় ক্যালিফোর্নিয়ার মতো নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ছিল যদিও এখন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের উপরে আসে না বললেও চলে। একদা এন্টার্টিকা নাতিশীতোষ্ণ ছিল। তখন সেখানে ডাইনোসর বাস করতো। 

  • এন্টার্টিকায় ৭টি খ্রিষ্টান গির্জা রয়েছে।
  • এন্টার্টিকা বাদে পৃথিবীর সব মহাদেশে পিঁপড়া রয়েছে। 

  • ২০০০ সালে সেখানে সবচেয়ে বড় যে বরফ খন্ড মাপা হয় সেটি জ্যামাইকার চেয়ে বড় - ১১ হাজার বর্গমাইল। 

  • এন্টার্টিকার এভারেজ বরফের পুরুত্ত্ব ১ মাইল বা ১.৬ কিলোমিটার। 

  • এন্টার্টিকায় বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটার যা যে কোন মহাদেশের চেয়ে বেশি। 

  • এন্টার্টিকার স্থলভাগে একমাত্র এক ধরণের পোকা বাস করে যার নাম বেলজিক্যা এন্টার্টিকা। 

  • এন্টার্টিকায় মাত্র দুটি ATM মেশিন আছে। 
  • এন্টার্টিকার ওজোন লেয়ার ইউরোপের দুই গুন্ বড়। 

  • বিশ্বের সবচয়ে বড় আগ্নেয়গিরী অঞ্চল রয়েছে এন্টার্টিকার বরফের নিচে ( দুই মাইল নিচে ) যেখানে ১৩৬টি আগ্নেয়গিরী আছে। 

  • এন্টার্টিকায় ৪০টিরও বেশি বিমানবন্দর আছে। 

  • পশু-পাখীদের মধ্যে পেঙ্গুইনের আধিক্য দেখা যায়। 

  • এন্টার্টিকায়  বার/পানশালা রয়েছে । 

  • এন্টার্টিকায় প্রত্যেক বছর ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।


 


2 comments:

পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।

অন্যান্য

Post Bottom Ad

আকর্ষণীয় পোস্ট

code-box