- এন্টার্টিকার মোট আয়তন 14,000,000 বর্গকিলোমিটার যা বিশ্বের ৫ম তম মহাদেশ। এন্টার্টিকা মহাদেশ অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বড় এবং ইউরোপের চেয়ে ১.৩ গুন্ বড়। এন্টার্টিকা আমেরিকার চেয়ে ১.৫ গুন্ বড়।
- এন্টার্টিকায় মোট ১০০০ থেকে ৫,০০০ মানুষ থাকে। সামারে ৫,০০০ ও শীতকালে ১,০০০ এর মত। এরা সবাই ভিজিটর। কেউ স্থায়ীভাবে সেখানে বাস করে না। বিশ্বের ৩৮টি দেশ এন্টার্টিকার মালিক। এখানে কোন স্থায়ী বাসিন্দা নেই।
এন্টার্টিকা সর্ব দক্ষিণে হওয়ায় বছরে প্রায় ছয় মাস দিন এবং প্রায় ছয় মাস রাত থাকে। উষা লগ্ন থাকে প্রায় দুই সপ্তাহ এবং গোধূলী লগ্ন থাকে প্রায় দুই সপ্তাহ।অর্থাৎ সূর্য্য উঠতে ও অস্ত যেতে দুই সপ্তাহ করে সময় লাগে।
- এন্টার্টিকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মরুভূমি।
- বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু, সবচেয়ে ঠান্ডা, সবচেয়ে শুকনো (Dry) এবং সবচেয়ে বেশি বাতাস প্রবাহিত হয় এন্টার্টিকা মহাদেশে।
- এন্টার্টিকা সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৯৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
- বিশ্বের ৯০% স্বাধু পানি এন্টার্টিকা মহাদেশে অবস্থিত।
- এন্টার্টিকা মহাদেশের ৯৮% জায়গা বরফে আচ্ছাদিত। বাকি ২% জায়গায় গত ২ মিলিয়ন বছরে কোন বরফ বা বৃষ্টি পড়েনি।
- এন্টার্টিকা মহাদেশে চিলি একটি শহর গড়েছে যেখানে আছে হাসপাতাল, পোস্ট অফিস, স্কুল, হোস্টেল, টিভি এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক।
- এন্টার্টিকার কোন টাইম জোন নেই। অর্থাৎ ওখানে সময় দেখা প্রয়োন হয় না।
- এন্টার্টিকায় ৩০টির উপর রিসার্চ স্টেশন রয়েছে।
- এন্টার্টিকায় ৩০০টি লেক আছে। একটি ঝর্ণা আছে যেখান থেকে রক্তের মতো লাল জল প্রবাহিত হয়।
- অনেক আগে এন্টার্টিকায় আমেরিকায় ক্যালিফোর্নিয়ার মতো নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ছিল যদিও এখন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের উপরে আসে না বললেও চলে। একদা এন্টার্টিকা নাতিশীতোষ্ণ ছিল। তখন সেখানে ডাইনোসর বাস করতো।
- এন্টার্টিকায় ৭টি খ্রিষ্টান গির্জা রয়েছে।
- এন্টার্টিকা বাদে পৃথিবীর সব মহাদেশে পিঁপড়া রয়েছে।
- ২০০০ সালে সেখানে সবচেয়ে বড় যে বরফ খন্ড মাপা হয় সেটি জ্যামাইকার চেয়ে বড় - ১১ হাজার বর্গমাইল।
- এন্টার্টিকার এভারেজ বরফের পুরুত্ত্ব ১ মাইল বা ১.৬ কিলোমিটার।
- এন্টার্টিকায় বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটার যা যে কোন মহাদেশের চেয়ে বেশি।
- এন্টার্টিকার স্থলভাগে একমাত্র এক ধরণের পোকা বাস করে যার নাম বেলজিক্যা এন্টার্টিকা।
- এন্টার্টিকায় মাত্র দুটি ATM মেশিন আছে।
- এন্টার্টিকার ওজোন লেয়ার ইউরোপের দুই গুন্ বড়।
- বিশ্বের সবচয়ে বড় আগ্নেয়গিরী অঞ্চল রয়েছে এন্টার্টিকার বরফের নিচে ( দুই মাইল নিচে ) যেখানে ১৩৬টি আগ্নেয়গিরী আছে।
- এন্টার্টিকায় ৪০টিরও বেশি বিমানবন্দর আছে।
- পশু-পাখীদের মধ্যে পেঙ্গুইনের আধিক্য দেখা যায়।
- এন্টার্টিকায় বার/পানশালা রয়েছে ।
- এন্টার্টিকায় প্রত্যেক বছর ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।
Worthy post. nice move!
ReplyDeleteToo cold..........
ReplyDelete