সংবাদটি বেশ পুরানো। এটি ইউটুবে এবং ইংলিশ অনলাইন নিউজে বেশ ভাইরাল বেশ কয়েক বছর ধরে। কিন্তু এটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে যখন বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী প্রিয়া সাহা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার কর্মীদের সাথে একত্রিত হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রামপের সাথে দেখা করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
আমেরিকার বিখ্যাত নিউজ চ্যানেল C- SPAN এর এক নিউজে দেখা যাচ্ছে মার্কিন সংসদ ( রিপ্রেসেন্টেটিভ) সংসদে কথা বলার সুযোগ পেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি শুরু করেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন দিয়ে। তিনি বলেন, "ধন্যবাদ মিস্টার স্পিকার আমাকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।১৯৪৭ সাল থেকে বাংলাদেশ হতে প্রায় ৫ কোটি ( ৪৯ মিলিয়ন) হিন্দু 'মিসিং' হয়েছে। (প্রফেসর সাচি দাস্তিদার এর তথ্য অনুসারে।) আমেরিকান হিন্দু ফাউন্ডেশন এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ হতে এখনো প্রতিদিন হিন্দু গুম হচ্ছে। এইসব হিন্দুদের খুন, গুম, রেপ করা হচ্ছে, শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে, জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, মন্দির ভেঙে বা পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বিশ্ব মানবাধিকার কর্মী ডক্টর রিচার্ড ডানকিন ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের সত্যতা যাচাই করেছেন।আমরা যখন আমেরিকায় ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করছি তখন বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। আমি মনে করি অতি শিগ্রই বাংলাদেশকে (এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে) কূটনৈতিক ভাবে চাপ দেয়ার সময় এসেছে।কারো মৌলিক অধিকার এভাবে ক্ষুন্ন হতে দেয়া যায় না।"
মার্কিন সংসদ রোবর্ট ডোল্ড রিপাবলিক পার্টির একজন নেতা। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে প্রফেসর সাচি দাস্তিদারের রেফারেন্স উল্লেখ করেন।
কিন্তু কে এই প্রফেসর সাচি দাস্তিদার ?
প্রফেসর সাচি দাস্তিদার নিউ ইয়র্ক উনিভার্সিটির (ওল্ড ওয়েস্ট বুরি) পলিটিক্স, ইকোনমিক্স এবং আইন বিভাগের প্রফেসর। (Sachi G. Dastidar, Ph.D., Distinguished Service Professor, Politics, Economics and Law Department, State University of New York, Old Westbury.) পুরো নাম ডক্টর সব্যসাচী ঘোষ-দস্তিদার।
তিনি তার এ আমার দেশ বইতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন।তিনি মানবাধিকার কমিশনের (Tom Lantos Human Rights Commission) কাছে দক্ষিণ এশিয়ার সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
যারা বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী প্রিয়া সাহার অভিযোগের ভিত্তিতে আকাশ থেকে পড়েছেন তারা মার্কিন সংসদ রোবর্ট ডোল্ড এর কথা ভেবে দেখুন। প্রিয়া সাহা মাত্র ৩৭ মিলিয়নের কথা বলছেন। কিন্তু মার্কিন সংসদ রোবর্ট ডোল্ড ৪৯ মিলিয়নের কথা বলেছেন। মার্কিন সংসদ রোবর্ট ডোল্ড নিশ্চই গাজাখুরে কোন কথা সংসদে তুলে ধরেন নি। আর ওটা বাংলাদেশের সংসদ না যা খুশি বলা যায়। উল্লেখ্য যে প্রিয়া সাহার সাথে উপস্থিত ছিলেন ইরাকের নোবেল বিজয়ী মানবাধিকার কর্মী নাদিয়া মুরাদ।
মার্কিন সংসদ রোবর্ট ডোল্ড রিপাবলিক পার্টির একজন নেতা। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে প্রফেসর সাচি দাস্তিদারের রেফারেন্স উল্লেখ করেন।
মার্কিন সংসদ রোবর্ট ডোল্ড |
প্রফেসর সাচি দাস্তিদার নিউ ইয়র্ক উনিভার্সিটির (ওল্ড ওয়েস্ট বুরি) পলিটিক্স, ইকোনমিক্স এবং আইন বিভাগের প্রফেসর। (Sachi G. Dastidar, Ph.D., Distinguished Service Professor, Politics, Economics and Law Department, State University of New York, Old Westbury.) পুরো নাম ডক্টর সব্যসাচী ঘোষ-দস্তিদার।
তিনি তার এ আমার দেশ বইতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন।তিনি মানবাধিকার কমিশনের (Tom Lantos Human Rights Commission) কাছে দক্ষিণ এশিয়ার সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
সত্য কোন দিন গোপন রাখা যায় না। প্রিয়া সাহা বাঙালির বাঘিনী। সেলুট প্রিয়া সাহা !
ReplyDeleteআসলে এটা যথেষ্ট দুর্ভাগ্যজনক হলেও, তথাকথিত শুশিলেরা এটা নিয়ে চুপ থাকে। আজ সারা বিশ্বে থার্ড মেজরিটি সম্প্রদায় হলেও, বিশ্বের কোথাও হিন্দু রাষ্ট্র নেই। অথচ ৫৪ টা মুসলিম দেশ, অগুন্তি খ্রিষ্টান দেশ, এমন কি, মাত্র ৫০ লক্ষ ইহুদীদের ও একটা দেশ এই বিশ্বে রয়েছে।
ReplyDeleteকারনঃ- হিন্দুরা সহনশীল জাতি, কাপুরুষ ও বলা অত্যুক্তি হবে না। হাজার বছর বর্বর আরব্দের শাসনে চুপচাপ অন্যায় সয়েছে, যারা কাপুরুষ- তারা ইসলাম গ্রহন করর মুসল্মান হয়ে হিন্দুদের ই বাশ দিয়েছে। এটাই তো সত্য ইতিহাস! আজ ইতিহাস বদলানোর সময় এসেছে।
Hindus should follow Jews.
ReplyDeleteThere is no such thing called TOLLERANCE in Islam!
ReplyDeleteBengali Hindu has no backbone!
ReplyDeleteNow, think about Priya Saha, was her statement right?
ReplyDelete