ধরুন বার্মা লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ধ্বংসস্তূপের উপর এমন এক
সৌধ গড়ে তুললো যা পৃথিবীর সবাইকে অবাক করে দিলো। রোহিঙ্গাদের ধ্বংসস্তূপের
উপর গড়ে উঠলো প্রেমের এক লীলাভূমির অসম্ভব সুন্দর সৌধ !
তাহলে মানুষ কি সেটা দেখতে যাবে না ?
একজন ঈমানদার মুসলমান হিসেবে আপনি হয়তো এখনই যাবেন না। কিন্তু সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষের ঢল নামবে
একথা নিশ্চিত বলা যায়। আপনি এখনই না গেলে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম ভুলে যাবে। সৌন্দর্যের টানে তারা সেখানে যাবে। মানুষ যেমন ভুলে গিয়েছে সৌদি আরবের ইহুদিদের মন্দির গুলো কথা, পাগনদের মন্দিরগুলোর কথা।সবাই ব্যস্ত ১০০% মুসলমানের দেশ সৌদির মুসলমানিত্ব নিয়ে। কেউ পুরানো ইতিহাস ঘটতে চাই না। কেউ যদি ভুলে ঘটতে যায় তার গায়ে পড়ে নাস্তিক তকমা মৌলবাদীর ঝটিকা। ঠিক তেমন আসুন দেখে নেই তাজমহল আসলে কি শিব মন্দির ছিল ? হিন্দুত্ত্ববাদী সংঘঠনগুলোর দাবি তাই। কিন্তু এই দাবি কি যুক্তিযুক্ত ? পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য এই তাজমহল মোগল সম্রাট শাহজাহান তৈরি করেছিল বলে বলা হয়।
এখানে নাকি তার প্রিয় বেগম মমতাজ মহলের সমাধিস্থ। এমন ইতিহাস বিকৃতি বোধহয় ভারতবর্ষেই সম্ভব। যেমনটি হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দার ক্ষেত্রে। একদা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে নালন্দার লাইব্রেরীতে আগুন ধরিয়ে হাজার হাজার মূল্যবান গ্রন্থকে পুড়িয়ে ফেলে, শত শত বৌদ্ধ ও হিন্দু সন্যাসীকে হত্যা করে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি পেয়েছেন বীরের তকমা ! ভারতীয় ইতিহাস এমন হাস্যকর যা পৃথিবীর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
দেখুন বিস্তারিতঃ
যাইহোক তাজমহল এক ইতিহাসের নাম। ঐতিহাসিক পুরুষোত্তম নাগেশ ওক যিনি প্রফেসর পি এন ওক নামে পরিচিত, একটি গবেষণা মূলক বই লেখেন তাজমহল ও তার ইতিহাস সংক্রান্ত।
বই এর নাম Tajmahal: The True Story .
1. তাজমহল নির্মাণের কোনো উল্লেখ কোনো সমসাময়িক সরকারী নথি বা দস্তাবেজে পাওয়া যায়নি। যে সৌধ গড়তে প্রায় 22 বছর লেগেছিল তার কোথাও কোনো উল্লেখ নেই।
2. অথচ মকরানা মার্বেল পাথরের খনি থেকে মার্বেল নেবার ফরমান আজো আছে। জয়পুরের রাজা জয়সিংহের আওতায় ছিল ওই খনি। প্রশ্ন হচ্ছে মৃত্যুর পরে পরেই যদি সৌধ নির্মাণ শুরু হয় তাহলে কম পক্ষে 15 থেকে 20 বছর তো ভবন নির্মিত হতেই লাগার কথা। সঙ্গে সঙ্গে মার্বেল তখন লাগবে যদি ভবন আগে থেকেই ছিল।
3. তাজ ও মহল দুটোই সংস্কৃত শব্দ। এটাও নজিরবিহীন। কোনো ইসলামিক সৌধ কোথাও নেই যার নাম মহল।
4. বলা হয় তাজমহল শব্দটা শাহজাহান এর বেগম মমতাজ মহল এর নামে রাখা হয়। পুরোটাই গোঁজামিলে ভরা।
বেগমের নাম ছিল মমতাজ- উল- জামানি। অদ্ভুত হলো কারোর নামের স্মৃতি সৌধ অথচ তার নামের প্রথম অক্ষর দুটোই গায়েব। এখানে তাজমহল এর জ আর বেগম মমতাজ এর জ এর মধ্যে উচ্চারণগত বিভেদ আছে যা বাংলা ভাষার মানুষ ব্যবহার করে না। অক্ষর টাই নেই আমাদের। আমি ইংরেজি আর হিন্দিতে বলছি এই জন্য।
( তাজমহলে প্রিন্সেস ডায়ানা )
তাজমহল Tajmahal ताजमहल
মমতাজ Mamtaz ममताज़
4. অসংখ্য ইউরোপীয় পর্যটক তাভার্ণিয়ের, পিটার মান্ডি, ডে লয়েড,, বার্ণিয়ের, জোহান আলবার্ট এই সময় ভারত ভ্রমণ করতে আসেন। তাদের কারোর বর্ণনায় তাজমহল নির্মাণ এর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অথচ ওই জায়গায় এক বিশাল প্রাসাদের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ শাহজাহান এর আমলে ওই মহলের অস্তিত্ব ছিল।
5. তাজমহল তো সমাধি। সেক্ষেত্রে মহল বলা কতটা যুক্তিসম্মত।
সমাধি নয় এটি একটি বহু প্রাচীন মন্দির। নাম তেজো মহালয়া। এখানে অগ্রেশ্বর শিবের লিঙ্গ ছিল যা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। এই অগ্রেশ্বর মহাদেবের নাম থেকে আগ্রা শহরের নামকরণ হয়। বিশ্বকর্মা বাস্তুশাস্ত্র বলে এক পৌরাণিক বইতে এর উল্লেখ আছে। 1155 সালের এক পাথরের স্তম্ভ আছে যাতে সংস্কৃতে খোদাই করে লেখা আছে " এই মন্দির এত বেশি সাদা আর সুন্দর যে শিব আর কৈলাশে ফিরে যাননি। " তাজমহল থেকে মাত্র 36 কিমি দূরে পাওয়া যায় এটি। লক্ষ্নৌ মিউজিয়ামে আজো সেই স্তম্ভ বটেশ্বর স্তম্ভ বলে উল্লেখ আছে। ASI এর 1874 সালের বার্ষিক রিপোর্টে একে কিন্তু তেজো মহালয়া স্তম্ভ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। পরবর্তী কালে কি এমন ঘটলো যে সব ধামাচাপা দিতে হলো।
**এটা যে মন্দির ছিল তার প্রমাণ জুতো খুলে প্রবেশ করতে হয়। সমাধিক্ষেত্রে জুতো কিন্তু খোলা হয় না।
** যে কক্ষে মমতাজ বেগমের সমাধি তার মেঝের মার্বেল কিন্তু অন্য বাকি মার্বেলের থেকে আলাদা। মেঝেতে সত্যি কিন্তু আজো শিব লিঙ্গের অংশ আছে।
** গম্বুজের মাথায় আজো ত্রিশূল আছে।
** 108 সংখ্যা বিভিন্ন জায়গায় খোদাই আছে।
** জাট অধ্যুষিত আগ্রা, তাদের আরাধ্য দেবতা তেজ জী। অথচ তার মন্দির থাকার কথা ছিল যা অদ্ভুত ভাবে অনুপস্থিত। আসলে আজকের তাজমহল হলো তাদের দেবতার মন্দির তেজো মহালয়া।
** পদ্ম ফুলের কারুকার্য আছে যেটা কোনো মুসলিম সৌধে সম্পূর্ণ অসম্ভব।
( তাজমহলে স্ত্রীর সাথে রোমান্টিক মুহূর্তে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন )
এই মন্দির যে শাহজাহান এর সময় ভগ্নদশা ছিল তার অকাট্য প্রমাণ আছে শাহজাহান এর দরবারী বিবরণে। " বাদশাহনামা " (vol 1, page 403) তে মমতাজ বেগমের সমাধি নির্মাণ করবার জন্য জয়পুরের রাজা জয়সিংহের কাছ থেকে এক বিশাল প্রাসাদ নেওয়ার কথা নথিবদ্ধ আছে। ওই প্রাসাদ রাজা মানসিংহের প্রাসাদ বলে পরিচিত ছিল যা "ইমারত-এ-আলিশান-ওয়া-গম্বুজ" বলে উল্লেখ আছে সরকারী নথিপত্রে। আজো জয়পুরে সেই ফরমান আছে। তবে কেন তারা প্রকাশ করেনি সেটা অজ্ঞাত।
ঔরঙ্গজেবের তিনটি চিঠি আছে যাতে ওই প্রাসাদ পুনর্নির্মাণ এর জন্য শাহজাহান এর অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
ASI এর ফলক অনুযায়ী তাজমহল তৈরির তারিখ লিপিবদ্ধ আছে সাল 1631 থেকে 1653 অথচ পুনর্নির্মাণ এর অনুমতি পত্রের তারিখ হলো সাল 1651। অত্যন্ত বৈপরীত্য। নতুন ভবন পুনর্নির্মাণ কেনো।
কার্বন টেস্ট একবার হয় ও তাতে দেখা যায় এর বয়স আরো পাঁচশ বছর পুরানো।
22 টি বিশাল ভবন আছে এই তাজমহলে যা বন্ধ। সব প্রাচীর দেওয়া। সীল করা।
একটি সঙ্গীত মহল আছে যা সমাধি সৌধে বড় বেমানান।
( তাজমহলে স্ত্রীর সাথে রোমান্টিক মুহূর্তে প্রিন্স হ্যারি )
ASI মানে Archeology Survey of India কোনো দিন চায়নি এর সত্যতা প্রকাশ পায়। তাই কোনো মেরামতির কাজ করাতে হলে খুব গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। তবে বেশ কিছু শ্রমিক একবার আওয়াজ উঠিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে গরীব শ্রমিকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ইতিহাস এই ভাবেই বদলে গেছে। বদলে দিয়েছে সুপরিকল্পিত ভাবে। বিচার হয়নি আজো।
আর একটা ভাঙা বাবরি মসজিদ নিয়ে কত রাজনীতি। যদিও সেটাও হিন্দু মন্দির ভেঙেই হয়েছিল।
(তথ্য সংগ্রহে : শ্রী অরুপ গুহ from the Research of P. N. Oak)
পি এন ওক ১৯৯৭ সালে মারা গেছেন। কিন্তু তার গবেষণা মূলক বই, Tajmahal: The True Story আজ ভারতীয়দের মাঝে এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন রেখে গেছে। আদালত এর সুরাহা দিয়েছে। কিন্তু মানুষ সেটা মেনে নিচ্ছে না কেন ? আদালতের সুরাহা মেনেই দিল্লির মানুষ দীপাবলিতে পটকা বাজিবন্ধ রেখেছে।আসলে বাজি ছাড়া দীপাবলি কল্পনা করা যায় না যেমন খ্রিষ্টমাস ট্রি ছাড়া ক্রিসমাস। তবু মানুষ সংযম দেখিয়েছে। অযোধ্যায় আদালতের সিদ্বান্ত মেনেই হিন্দু-মুসলিম পাশাপাশি প্রার্থনা করছে। তাহলে মানুষ তালমহলের ক্ষেত্রে মানতে চাইছে না কেন ? তাহলে কি এক্ষেত্রে আদালতের সিদ্বান্ত বড় একপেশে হয়ে গেছে ? হয়তোবা তাই !
বলা হয়ে থাকে তাজমহল বিশাল এক প্রেমের সৌধ। সম্রাট শাহজাহান বানিয়েছেন স্ত্রী মমতাজ মহলকে ভালোবেসে।
( তাজমহলে মেয়ে চেলসির সাথে সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারী ক্লিনটন )
কিন্তু কিছু প্রশ্ন এর সামনে দাড় করিয়েছে বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন !
যদি ভালোই বাসতেন তিনি, তাহলে মমতাজ মহলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হবে জেনেও কেন বিয়ে করেছিলেন অন্য কাউকে? কেন মমতাজ মহলকে বিয়ে করার পরও বিয়ে করার লোভ সামলাতে পারেননি ? কেন মমতাজের মৃত্যুর পরও উপপত্নী রাখলেন ? যদি ভালোই বাসতেন, ১৯ বছরে ১৪টি সন্তান জন্ম দিতে মমতাজকে বাধ্য করেছিলেন কেন ? ১৪তম সন্তান জন্ম দিতে গিয়েই তো মমতাজের মৃত্যু হলো ! যদি মমতাজকে তিনি ভালোই বাসতেন, এত উপপত্নী বা রক্ষিতাই তিনি কী করে রাখতেন ? এসব প্রশ্নের কোন উত্তর মেলে না। আমরা এতোই দূর্ভাগা যে ব্যক্তির ১৯ বছর বয়সী স্ত্রী ১৪ তম সন্তান জন্মদানের সময় মৃত্যুবরণ করেন তাকেই ইতিহাস নায়ক বানিয়েছে। এ যেন ঠিক জনসংখ্যা বোমা রোহিঙ্গাদের মতো। বাংলাদেশ কেন রোহিঙ্গা মুসলিম পুরুষদের বন্ধ্যা করে দিচ্ছে ? এরা তো সম্রাট শাহজাহানকে অনুসরণ করছে।তাহলে আমাদের উচিত রোহিঙ্গাদের অনুসরণ করা! আরো কঠিন বাস্তব হচ্ছে তাজমহল যেসব কঠোর পরিশ্রমী শ্রমিকের হাতের ছোঁয়ায় বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেইসব শ্রমিকের হাত কেটে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিলেন সম্রাট শাহজাহান ! শুনতে খারাপ লাগলেও এইসব কঠিন সত্য ভারতীয় ইতিহাসে লেখা হয় না।
হিন্দুত্ববাদীদের বক্তব্য, এই তাজমহল ভারতের গৌরব হতে পারে না। কারণ মোগল সম্রাটেরা হিন্দুদের নির্যাতন করেছে, হিন্দুদের হাজার হাজার মন্দির ভেঙে দিয়েছে। তাই তাজমহলের নাম বাদ দিয়ে পর্যটন পুস্তিকায় দেওয়া হয়েছে।
হিন্দুদের মঠ মন্দিরের নাম থাকবে পর্যটন পুস্তিকায়, মুসলমানদের সৌধ বা মসজিদের নাম থাকবে না, কারণ মুসলমানেরা হিন্দুদের নির্যাতন করেছে। এ কথা সত্য যে বহিরাগত মুসলিমরা হিন্দুদের নির্যাতন করেছে।কঠোর হিন্দুত্ত্ববাদীরা আরো একধাপ এগিয়ে সেখানে শিব মন্দির তৈরীর দাবি জানাচ্ছে। সম্প্রতি কঠোর হিন্দুত্ত্ববাদীরা সেখানে শিব চেলিসা সম্পন্ন করেছে।
তাদের দাবি তাজমহলে মুসলমানদের নামাজ পড়ার অধিকার থাকলে আমাদেরকে হনুমান চেলসির অধিকার দিতে হবে। তাজমহল বিতর্কের জল অনেক দূর গড়িয়েছে। বিজেপির অনেক নেতা এই বিতর্ককে উস্কে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি কিছু না বললেও তার সুর তার রাজনৈতিক সৈনিকদের মতোই (যদিও তিনি সম্প্রতি ১৮০ ডিগ্রি টার্ন করেছেন)। ...তাহলে সমাধান ? এই তাজমহলকে ভেঙে ফেলতে হবে ?
কোন কিছু ভেঙে ফেলা অত্যন্ত সহজ। কিন্তু গড়া অনেক কঠিন। তাজমহলের ইতিহাস যা হোক না কেন তাজমহল ভাঙা কোন সভ্যসমাজের কাজ হতে পারে না। বখিয়ার খলজি নান্দলায় পুড়িয়েছে বলে আমরা তাজমহলকে পুড়িয়ে দিতে পারি না। এরকম হতে দিলে একদল অসভ্যের সাথে আমাদের পার্থক্য কি থাকলো ? তাজমহল ও ভারত অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত।তাজমহল বিশ্বের মাঝে ভারতকে গর্বিত করেছে। তাজের সাথে ভারতের ট্যুরিজম শিল্প জড়িত। স্ট্যাচু অফ লিবার্টি ছাড়া যেমন নিউ ইয়র্ক কল্পনা করা যায় না আইফেল টাওয়ার ছাড়া যেমন প্যারিস ভাবা যায় না তেমনি তাজমহল ছাড়া ইন্ডিয়া কল্পনাতীত। এই তাজমহলের নামে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার একটি ক্যাসিনোর নামকরণ করেছিলেন। আমরা যদি কম্বোডিয়ায় অবস্থিত এককালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির এঙ্কর ওয়াট এর দিকে তাকাই তারা কিন্তু এটাকে ভেঙে ফেলেনি। বরং এরসাথে বৌদ্ধ মন্দির করে এর সৌন্দর্য্যকে বৃদ্ধি করেছে।
( কম্বোডিয়ায় অবস্থিত এককালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির এঙ্কর ওয়াট )
একটি সুন্দর সমাধান হতে পারে তাজমহলের সাথে একটি মন্দির করা। মুসলমানরা যেমন নামাজ পড়ছে হিন্দুরাও তেমন পূজা করবে। এতে তাজমহলের আরো শ্রীবৃদ্ধি হবে।
একজন ঈমানদার মুসলমান হিসেবে আপনি হয়তো এখনই যাবেন না। কিন্তু সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষের ঢল নামবে
একথা নিশ্চিত বলা যায়। আপনি এখনই না গেলে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম ভুলে যাবে। সৌন্দর্যের টানে তারা সেখানে যাবে। মানুষ যেমন ভুলে গিয়েছে সৌদি আরবের ইহুদিদের মন্দির গুলো কথা, পাগনদের মন্দিরগুলোর কথা।সবাই ব্যস্ত ১০০% মুসলমানের দেশ সৌদির মুসলমানিত্ব নিয়ে। কেউ পুরানো ইতিহাস ঘটতে চাই না। কেউ যদি ভুলে ঘটতে যায় তার গায়ে পড়ে নাস্তিক তকমা মৌলবাদীর ঝটিকা। ঠিক তেমন আসুন দেখে নেই তাজমহল আসলে কি শিব মন্দির ছিল ? হিন্দুত্ত্ববাদী সংঘঠনগুলোর দাবি তাই। কিন্তু এই দাবি কি যুক্তিযুক্ত ? পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য এই তাজমহল মোগল সম্রাট শাহজাহান তৈরি করেছিল বলে বলা হয়।
এখানে নাকি তার প্রিয় বেগম মমতাজ মহলের সমাধিস্থ। এমন ইতিহাস বিকৃতি বোধহয় ভারতবর্ষেই সম্ভব। যেমনটি হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দার ক্ষেত্রে। একদা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে নালন্দার লাইব্রেরীতে আগুন ধরিয়ে হাজার হাজার মূল্যবান গ্রন্থকে পুড়িয়ে ফেলে, শত শত বৌদ্ধ ও হিন্দু সন্যাসীকে হত্যা করে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি পেয়েছেন বীরের তকমা ! ভারতীয় ইতিহাস এমন হাস্যকর যা পৃথিবীর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
দেখুন বিস্তারিতঃ
যাইহোক তাজমহল এক ইতিহাসের নাম। ঐতিহাসিক পুরুষোত্তম নাগেশ ওক যিনি প্রফেসর পি এন ওক নামে পরিচিত, একটি গবেষণা মূলক বই লেখেন তাজমহল ও তার ইতিহাস সংক্রান্ত।
বই এর নাম Tajmahal: The True Story .
1. তাজমহল নির্মাণের কোনো উল্লেখ কোনো সমসাময়িক সরকারী নথি বা দস্তাবেজে পাওয়া যায়নি। যে সৌধ গড়তে প্রায় 22 বছর লেগেছিল তার কোথাও কোনো উল্লেখ নেই।
2. অথচ মকরানা মার্বেল পাথরের খনি থেকে মার্বেল নেবার ফরমান আজো আছে। জয়পুরের রাজা জয়সিংহের আওতায় ছিল ওই খনি। প্রশ্ন হচ্ছে মৃত্যুর পরে পরেই যদি সৌধ নির্মাণ শুরু হয় তাহলে কম পক্ষে 15 থেকে 20 বছর তো ভবন নির্মিত হতেই লাগার কথা। সঙ্গে সঙ্গে মার্বেল তখন লাগবে যদি ভবন আগে থেকেই ছিল।
3. তাজ ও মহল দুটোই সংস্কৃত শব্দ। এটাও নজিরবিহীন। কোনো ইসলামিক সৌধ কোথাও নেই যার নাম মহল।
4. বলা হয় তাজমহল শব্দটা শাহজাহান এর বেগম মমতাজ মহল এর নামে রাখা হয়। পুরোটাই গোঁজামিলে ভরা।
বেগমের নাম ছিল মমতাজ- উল- জামানি। অদ্ভুত হলো কারোর নামের স্মৃতি সৌধ অথচ তার নামের প্রথম অক্ষর দুটোই গায়েব। এখানে তাজমহল এর জ আর বেগম মমতাজ এর জ এর মধ্যে উচ্চারণগত বিভেদ আছে যা বাংলা ভাষার মানুষ ব্যবহার করে না। অক্ষর টাই নেই আমাদের। আমি ইংরেজি আর হিন্দিতে বলছি এই জন্য।
( তাজমহলে প্রিন্সেস ডায়ানা )
তাজমহল Tajmahal ताजमहल
মমতাজ Mamtaz ममताज़
4. অসংখ্য ইউরোপীয় পর্যটক তাভার্ণিয়ের, পিটার মান্ডি, ডে লয়েড,, বার্ণিয়ের, জোহান আলবার্ট এই সময় ভারত ভ্রমণ করতে আসেন। তাদের কারোর বর্ণনায় তাজমহল নির্মাণ এর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অথচ ওই জায়গায় এক বিশাল প্রাসাদের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ শাহজাহান এর আমলে ওই মহলের অস্তিত্ব ছিল।
5. তাজমহল তো সমাধি। সেক্ষেত্রে মহল বলা কতটা যুক্তিসম্মত।
সমাধি নয় এটি একটি বহু প্রাচীন মন্দির। নাম তেজো মহালয়া। এখানে অগ্রেশ্বর শিবের লিঙ্গ ছিল যা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। এই অগ্রেশ্বর মহাদেবের নাম থেকে আগ্রা শহরের নামকরণ হয়। বিশ্বকর্মা বাস্তুশাস্ত্র বলে এক পৌরাণিক বইতে এর উল্লেখ আছে। 1155 সালের এক পাথরের স্তম্ভ আছে যাতে সংস্কৃতে খোদাই করে লেখা আছে " এই মন্দির এত বেশি সাদা আর সুন্দর যে শিব আর কৈলাশে ফিরে যাননি। " তাজমহল থেকে মাত্র 36 কিমি দূরে পাওয়া যায় এটি। লক্ষ্নৌ মিউজিয়ামে আজো সেই স্তম্ভ বটেশ্বর স্তম্ভ বলে উল্লেখ আছে। ASI এর 1874 সালের বার্ষিক রিপোর্টে একে কিন্তু তেজো মহালয়া স্তম্ভ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। পরবর্তী কালে কি এমন ঘটলো যে সব ধামাচাপা দিতে হলো।
**এটা যে মন্দির ছিল তার প্রমাণ জুতো খুলে প্রবেশ করতে হয়। সমাধিক্ষেত্রে জুতো কিন্তু খোলা হয় না।
** যে কক্ষে মমতাজ বেগমের সমাধি তার মেঝের মার্বেল কিন্তু অন্য বাকি মার্বেলের থেকে আলাদা। মেঝেতে সত্যি কিন্তু আজো শিব লিঙ্গের অংশ আছে।
** গম্বুজের মাথায় আজো ত্রিশূল আছে।
** 108 সংখ্যা বিভিন্ন জায়গায় খোদাই আছে।
** জাট অধ্যুষিত আগ্রা, তাদের আরাধ্য দেবতা তেজ জী। অথচ তার মন্দির থাকার কথা ছিল যা অদ্ভুত ভাবে অনুপস্থিত। আসলে আজকের তাজমহল হলো তাদের দেবতার মন্দির তেজো মহালয়া।
** পদ্ম ফুলের কারুকার্য আছে যেটা কোনো মুসলিম সৌধে সম্পূর্ণ অসম্ভব।
( তাজমহলে স্ত্রীর সাথে রোমান্টিক মুহূর্তে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন )
এই মন্দির যে শাহজাহান এর সময় ভগ্নদশা ছিল তার অকাট্য প্রমাণ আছে শাহজাহান এর দরবারী বিবরণে। " বাদশাহনামা " (vol 1, page 403) তে মমতাজ বেগমের সমাধি নির্মাণ করবার জন্য জয়পুরের রাজা জয়সিংহের কাছ থেকে এক বিশাল প্রাসাদ নেওয়ার কথা নথিবদ্ধ আছে। ওই প্রাসাদ রাজা মানসিংহের প্রাসাদ বলে পরিচিত ছিল যা "ইমারত-এ-আলিশান-ওয়া-গম্বুজ" বলে উল্লেখ আছে সরকারী নথিপত্রে। আজো জয়পুরে সেই ফরমান আছে। তবে কেন তারা প্রকাশ করেনি সেটা অজ্ঞাত।
ঔরঙ্গজেবের তিনটি চিঠি আছে যাতে ওই প্রাসাদ পুনর্নির্মাণ এর জন্য শাহজাহান এর অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
ASI এর ফলক অনুযায়ী তাজমহল তৈরির তারিখ লিপিবদ্ধ আছে সাল 1631 থেকে 1653 অথচ পুনর্নির্মাণ এর অনুমতি পত্রের তারিখ হলো সাল 1651। অত্যন্ত বৈপরীত্য। নতুন ভবন পুনর্নির্মাণ কেনো।
কার্বন টেস্ট একবার হয় ও তাতে দেখা যায় এর বয়স আরো পাঁচশ বছর পুরানো।
22 টি বিশাল ভবন আছে এই তাজমহলে যা বন্ধ। সব প্রাচীর দেওয়া। সীল করা।
একটি সঙ্গীত মহল আছে যা সমাধি সৌধে বড় বেমানান।
( তাজমহলে স্ত্রীর সাথে রোমান্টিক মুহূর্তে প্রিন্স হ্যারি )
ASI মানে Archeology Survey of India কোনো দিন চায়নি এর সত্যতা প্রকাশ পায়। তাই কোনো মেরামতির কাজ করাতে হলে খুব গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। তবে বেশ কিছু শ্রমিক একবার আওয়াজ উঠিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে গরীব শ্রমিকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ইতিহাস এই ভাবেই বদলে গেছে। বদলে দিয়েছে সুপরিকল্পিত ভাবে। বিচার হয়নি আজো।
আর একটা ভাঙা বাবরি মসজিদ নিয়ে কত রাজনীতি। যদিও সেটাও হিন্দু মন্দির ভেঙেই হয়েছিল।
(তথ্য সংগ্রহে : শ্রী অরুপ গুহ from the Research of P. N. Oak)
পি এন ওক ১৯৯৭ সালে মারা গেছেন। কিন্তু তার গবেষণা মূলক বই, Tajmahal: The True Story আজ ভারতীয়দের মাঝে এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন রেখে গেছে। আদালত এর সুরাহা দিয়েছে। কিন্তু মানুষ সেটা মেনে নিচ্ছে না কেন ? আদালতের সুরাহা মেনেই দিল্লির মানুষ দীপাবলিতে পটকা বাজিবন্ধ রেখেছে।আসলে বাজি ছাড়া দীপাবলি কল্পনা করা যায় না যেমন খ্রিষ্টমাস ট্রি ছাড়া ক্রিসমাস। তবু মানুষ সংযম দেখিয়েছে। অযোধ্যায় আদালতের সিদ্বান্ত মেনেই হিন্দু-মুসলিম পাশাপাশি প্রার্থনা করছে। তাহলে মানুষ তালমহলের ক্ষেত্রে মানতে চাইছে না কেন ? তাহলে কি এক্ষেত্রে আদালতের সিদ্বান্ত বড় একপেশে হয়ে গেছে ? হয়তোবা তাই !
বলা হয়ে থাকে তাজমহল বিশাল এক প্রেমের সৌধ। সম্রাট শাহজাহান বানিয়েছেন স্ত্রী মমতাজ মহলকে ভালোবেসে।
( তাজমহলে মেয়ে চেলসির সাথে সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারী ক্লিনটন )
কিন্তু কিছু প্রশ্ন এর সামনে দাড় করিয়েছে বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন !
যদি ভালোই বাসতেন তিনি, তাহলে মমতাজ মহলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হবে জেনেও কেন বিয়ে করেছিলেন অন্য কাউকে? কেন মমতাজ মহলকে বিয়ে করার পরও বিয়ে করার লোভ সামলাতে পারেননি ? কেন মমতাজের মৃত্যুর পরও উপপত্নী রাখলেন ? যদি ভালোই বাসতেন, ১৯ বছরে ১৪টি সন্তান জন্ম দিতে মমতাজকে বাধ্য করেছিলেন কেন ? ১৪তম সন্তান জন্ম দিতে গিয়েই তো মমতাজের মৃত্যু হলো ! যদি মমতাজকে তিনি ভালোই বাসতেন, এত উপপত্নী বা রক্ষিতাই তিনি কী করে রাখতেন ? এসব প্রশ্নের কোন উত্তর মেলে না। আমরা এতোই দূর্ভাগা যে ব্যক্তির ১৯ বছর বয়সী স্ত্রী ১৪ তম সন্তান জন্মদানের সময় মৃত্যুবরণ করেন তাকেই ইতিহাস নায়ক বানিয়েছে। এ যেন ঠিক জনসংখ্যা বোমা রোহিঙ্গাদের মতো। বাংলাদেশ কেন রোহিঙ্গা মুসলিম পুরুষদের বন্ধ্যা করে দিচ্ছে ? এরা তো সম্রাট শাহজাহানকে অনুসরণ করছে।তাহলে আমাদের উচিত রোহিঙ্গাদের অনুসরণ করা! আরো কঠিন বাস্তব হচ্ছে তাজমহল যেসব কঠোর পরিশ্রমী শ্রমিকের হাতের ছোঁয়ায় বিশ্বের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেইসব শ্রমিকের হাত কেটে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিলেন সম্রাট শাহজাহান ! শুনতে খারাপ লাগলেও এইসব কঠিন সত্য ভারতীয় ইতিহাসে লেখা হয় না।
হিন্দুত্ববাদীদের বক্তব্য, এই তাজমহল ভারতের গৌরব হতে পারে না। কারণ মোগল সম্রাটেরা হিন্দুদের নির্যাতন করেছে, হিন্দুদের হাজার হাজার মন্দির ভেঙে দিয়েছে। তাই তাজমহলের নাম বাদ দিয়ে পর্যটন পুস্তিকায় দেওয়া হয়েছে।
হিন্দুদের মঠ মন্দিরের নাম থাকবে পর্যটন পুস্তিকায়, মুসলমানদের সৌধ বা মসজিদের নাম থাকবে না, কারণ মুসলমানেরা হিন্দুদের নির্যাতন করেছে। এ কথা সত্য যে বহিরাগত মুসলিমরা হিন্দুদের নির্যাতন করেছে।কঠোর হিন্দুত্ত্ববাদীরা আরো একধাপ এগিয়ে সেখানে শিব মন্দির তৈরীর দাবি জানাচ্ছে। সম্প্রতি কঠোর হিন্দুত্ত্ববাদীরা সেখানে শিব চেলিসা সম্পন্ন করেছে।
তাদের দাবি তাজমহলে মুসলমানদের নামাজ পড়ার অধিকার থাকলে আমাদেরকে হনুমান চেলসির অধিকার দিতে হবে। তাজমহল বিতর্কের জল অনেক দূর গড়িয়েছে। বিজেপির অনেক নেতা এই বিতর্ককে উস্কে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরাসরি কিছু না বললেও তার সুর তার রাজনৈতিক সৈনিকদের মতোই (যদিও তিনি সম্প্রতি ১৮০ ডিগ্রি টার্ন করেছেন)। ...তাহলে সমাধান ? এই তাজমহলকে ভেঙে ফেলতে হবে ?
কোন কিছু ভেঙে ফেলা অত্যন্ত সহজ। কিন্তু গড়া অনেক কঠিন। তাজমহলের ইতিহাস যা হোক না কেন তাজমহল ভাঙা কোন সভ্যসমাজের কাজ হতে পারে না। বখিয়ার খলজি নান্দলায় পুড়িয়েছে বলে আমরা তাজমহলকে পুড়িয়ে দিতে পারি না। এরকম হতে দিলে একদল অসভ্যের সাথে আমাদের পার্থক্য কি থাকলো ? তাজমহল ও ভারত অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত।তাজমহল বিশ্বের মাঝে ভারতকে গর্বিত করেছে। তাজের সাথে ভারতের ট্যুরিজম শিল্প জড়িত। স্ট্যাচু অফ লিবার্টি ছাড়া যেমন নিউ ইয়র্ক কল্পনা করা যায় না আইফেল টাওয়ার ছাড়া যেমন প্যারিস ভাবা যায় না তেমনি তাজমহল ছাড়া ইন্ডিয়া কল্পনাতীত। এই তাজমহলের নামে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার একটি ক্যাসিনোর নামকরণ করেছিলেন। আমরা যদি কম্বোডিয়ায় অবস্থিত এককালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির এঙ্কর ওয়াট এর দিকে তাকাই তারা কিন্তু এটাকে ভেঙে ফেলেনি। বরং এরসাথে বৌদ্ধ মন্দির করে এর সৌন্দর্য্যকে বৃদ্ধি করেছে।
( কম্বোডিয়ায় অবস্থিত এককালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির এঙ্কর ওয়াট )
একটি সুন্দর সমাধান হতে পারে তাজমহলের সাথে একটি মন্দির করা। মুসলমানরা যেমন নামাজ পড়ছে হিন্দুরাও তেমন পূজা করবে। এতে তাজমহলের আরো শ্রীবৃদ্ধি হবে।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।