রমনা কালী মন্দির, শেখ মুজিব ও বাংলাদেশ: মুছে ফেলা ইতিহাস ! - UHC বাংলা

Untitled+2

...মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম!

Home Top Ad

Monday, November 26, 2018

demo-image

রমনা কালী মন্দির, শেখ মুজিব ও বাংলাদেশ: মুছে ফেলা ইতিহাস !


C0B9CdEUAAAcCmK আজ ২৭ শে মার্চ।এই দিনটি বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য একটি কালোদিবস। ১৯৭১ সালের (২৬শে মার্চ গভীর রাতে) এই দিনে পাক বাহিনী #রমনাকালীমন্দির কে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়!মন্দিরটির টাওয়ার এতো উঁচু ছিল যে এটা একসময় ঢাকার সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং ছিল। নাম কালী মন্দির হলেও এর সাথে ছিল দূর্গা মন্দির, মা আনন্দময়ীর মন্দির, রাধা-কৃষ্ণ মন্দির সহ আরো কয়েকটি মন্দির।মন্দিরটি শুধু গুড়িয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি হায়েনারা। এই মন্দিরেই ৫০০ ভক্তকে জীবন্ত পুড়ানো হয়। 
বলতে পারেন ওটা তো পাকিস্তানিরা করে গেছে। হ্যা, ওটা পাকিস্তানিরা করে গেছে!বাংলাদেশ কম কিসে ? #স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের #হিন্দুরা স্বপ্ন দেখে -
"দেশ তো এখন স্বাধীন"~ ধুলার সাথে মিশে যাওয়া মন্দিরটি আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। কিন্তু সেই স্বপ্নে প্রথম ছুরি মারেন #আওয়ামীলীগ প্রধান ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি #শেখমুজিবুররহমান !
 আরো দেখুন : বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার বিচার হয়না কেন ?
সবার সমান অধিকারের উদ্দেশ্যে দেশ স্বাধীন হলেও মুজিব সরকার ১৯৭২ সালে রমনা কালী মন্দিরের যে শেষ ছোট্ট বিল্ডিংটি ছিল তা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় এবং এই মন্দিরের জায়গা শেখ সাহেব ঢাকা ক্লাবের নিকট হস্তান্তর করেন। 
 
Screenshot+%252824%2529
Photo Courtesy: Wikipedia


[রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় বৌদ্ধ বসতিতে হামলা অগ্নিসংযোগ ]
ফলে বাংলাদেশের হিন্দুরা শুধু মন্দির হারালো না, হারালো মন্দিরের জায়গাটিও যেখানে তারা হাজার বছর ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছিলো। (রেফ: দৈনিক বাংলা, ডিসেম্বর ২৭, ১৯৭২) আওয়ামী সরকার এখানে কোন ধরণের পূজা করা সম্পুর্ন্ন নিষিদ্ধ করে। এই মন্দিরের বিশাল জায়গায় গড়ে তোলা হয় ঢাকা ক্লাব ও রমনা পার্ক। আজকের রমনা পার্ক মূলত রমনা কালী মন্দিরের অরিজিনাল স্পট। ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এই মন্দিরে কোন পূজা হয়নি। কিন্তু হিন্দুদের আন্দোলন থেকে থাকেনি।
আরো দেখুনঃ হিন্দু নির্যাতনে আওয়ামীলীগের লাভ-ক্ষতির হিসাব এবং হিন্দুদের করণীয়  

17309687_626807040777146_2244297268466815204_n
 বাংলাদেশের হিন্দুরা রাজপথে আন্দোলন ও কোর্টে যায়। কোর্ট ১৯৮২ সালে একবারের জন্য অস্থায়ী ভাবে শুধু মাত্র কালী পূজা করার অনুমতি দেয়। ২০০০ সালে দূর্গা পূজার সময় আওয়ামীলীগ প্রধান #শেখহাসিনা মন্দির পুনঃনির্মাণে হিন্দুদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন।২০০৪ সালে এখানে সেমি-পারমানেন্ট ভাবে একটি কালী প্রতিমা স্থাপন করা হয় এবং কালী পূজা করা হয়।
  আরো দেখুনঃ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তাণ্ডবে চার জেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, আগুন, লুট

 ২০০৬ সালে #বিএনপি সরকার প্রধান #বেগমখালেদাজিয়া মন্দিরটি পুনঃনির্মাণের ঘোষণা দেন। কিন্তু হিন্দুরা তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কারণ মন্দিরটি মূল ফটক হতে সরিয়ে পাশ্বর্তী সৌরওয়ার্দী উদ্যানে নেয়া হয়। তার পর থেকে মন্দিরটি সরওয়ার্দী উদ্যানে আংশিকভাবে পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং এখানে নিয়মিত পূজা হচ্ছে। 
 আরো দেখুনঃ রসরাজ স্কুলেই যায়নি তার পক্ষে এ কাজ সম্ভব নয় 


আরো দেখুনঃ নাসিরনগরে হিন্দুদের উপর হামলায় লীগের মন্ত্রী জড়িত

 আরো দেখুনঃ ফেসবুকে কথিত স্ট্যাটাস দেওয়া টিটু রায় ‘নিরক্ষর’, এলাকায় নেই ৭ বছর
রেফঃ উইকি, দৈনিক বাংলা
বিস্তারিত জানতে: উইকি দেখুন  
#রমনাকালীমন্দির, #শেখমুজিব #বাংলাদেশ #আওয়ামীলীগ

অন্যান্য

Post Bottom Ad

আকর্ষণীয় পোস্ট

code-box

Contact Form

Name

Email *

Message *