মানুষের জীবনে অনেক স্বপ্ন থাকে। অনেকে ভাল পড়াশুনা বা চাকুরীর সুযোগের জন্য বিদেশে যাওয়ার জন্য উদগ্রীপ থাকে। কিন্তু কিছু নেগেটিভ চিন্তা সব কিছুকে ধ্বংশ করে দেয়।যেমন ধরুন প্রথমে মাথায় যা আসে তা হলো টাকা। শুধুই ভাবনা "বিদেশে যেতে হলে অনেক টাকার দরকার।আমি এতো টাকা পাবো কোথায় ?" ভুল ! ১০০% ভুল। বিদেশে যেতে হলে দুটো জিনিস দরকার। ১. ডিটার্মিনেশন ২. ইনফরমেশন।আপনার মন স্থির করতে হবে আপনি কি চান এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আর কাজ করতে হলে দরকার ইনফরমেশন।
যোগ্যতা ও টাকা থাকা সত্ত্বেও অনেকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না সঠিক ইনফর্মাশনের অভাবে। অথবা ভুল পথে এগিয়ে
ওসব কিছু শেষ হয়ে যায়। তাই সঠিক ইনফরমেশন খুবই জরুরি।
ভাল রেজাল্ট এবং ভালো IELTS স্কোর দরকার। অনেক সময় ভালো রেজাল্টের দরকারও হয়না। আপনি হয়তো দেখে থাকবেন অনেক খারাপ স্টুডেন্ট স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশে গেছে যা হয়তো আপনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। হ্যা, এটাও সম্ভব। অনেক দেশের অনেক ইউনিভার্সিটি ভালো রেজাল্টের গুরুত্ত্ব দেয় না। কিন্তু নিজ খরচে পড়াশুনা করতে হয়। সেক্ষেত্রে পার্টটাইম জব ম্যানেজ করতে হয়। বিদেশে সেটা খুব একটা কঠিন কিছু না। আজ আমি IELTS নিয়ে আলোচনা করবো। IELTS এর পুরো অর্থ হলো International English Language Testing System. এটা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ইংরেজী ভাষার উপর দক্ষতার একটি সনদ। যারা উন্নত বিশ্বে উচ্চশিক্ষা বা ইমিগ্রেশনের চিন্তা করছেন তাদের জন্য IELTS আলাদিনের চেরাগের মতো।
যারা মূলত পড়াশুনা, চাকুরী বা স্থায়ীভাবে বিদেশে যেতে চান তারা IELTS এড়াতে পারবেন না।পড়াশুনা, চাকুরী বা স্থায়ীভাবে বিদেশে যেতে চাইলে ভালো IELTS স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশে ঢাকাসহ বড় বড় জেলা শহরে IELTS প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা (কোচিং সেন্টার ) আছে। IELTS দুই ধরণের : ১. Academic IELTS - যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চান।
২. General IELTS - যারা চাকুরী, ইমিগ্রেশন বা কারিগরী শিক্ষায় বিদেশে যেতে চান।
মজার ব্যাপার হলো IELTS পরীক্ষার জন্য কোন যোগ্যতার দরকার নেই - যে কেউ এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।
IELTS এর পাশাপাশি আর একটি কোর্স আছে তা হলো TOEFL. TOEFL শুধু আমেরিকায় স্বীকৃত। কিন্তু IELTS পৃথিবীর সব দেশে সমান ভাবে স্বীকৃত। এমনকি আমেরিকার অধিকাংশ ইউনিভার্সিটি TOFEL এর পাশাপাশি IELTS একসেপ্ট করে।
সারা বিশ্ব থেকে প্রতি বছর ১৪ লাখের উপর মানুষ IELTS পরীক্ষা অংশ নেয়। ব্রিটিশ কাউন্সিল,ইউনিভার্সিটি অফ ক্যামব্রিজ এবং আইডিপি অস্ট্রেলিয়া সার্বিক ভাবে সারা বিশ্বে IELTS পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের ধারণা IELTS পরীক্ষা খুবই কঠিন - যা আসলে সম্পূর্ণ ভুল।
ইংরেজিতে মাঝারি ধরণের দক্ষতা নিয়ে IELTS এ ভাল স্কোর করতে দেখা যায়। এই পরীক্ষায় কয়েকটি বিষয়ে দক্ষতা পর্যালোচনা করা হয়। ১. Reading ২. Writing ৩. Listening এবং ৪. Speaking সো, আপনি এক বিভাগে কম স্কোর করতে অন্য বিভাগে বেশি স্কোর করে টেনে তুলে সম্ভব।দুই ধরণের IELTS এ এই চারটি বিভাগে পরীক্ষা দিতে হয়। গুগল থেকে পাওয়া আরো কিছু রিসোর্স দিচ্ছি যা আপনাদের কাজে লাগবে। এই লিঙ্কগুলোর মধ্যে প্রাকটিস টেস্টও আছে। নিজেকে টেস্ট করে নিতে পারেন। আর এগুলো সম্পূর্ণ ফ্রি।
অনেক ইনফোরমেটিভ আর্টিকেল।
ReplyDeleteHelpful post. Thanks.
ReplyDelete