ঈদুল আযহার নামে বিশ্ব প্রাণী হত্যা দিবস বন্ধ করুন ! - UHC বাংলা

Untitled+2

...মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম!

Home Top Ad

Thursday, November 29, 2018

demo-image

ঈদুল আযহার নামে বিশ্ব প্রাণী হত্যা দিবস বন্ধ করুন !

11069735_369217539869432_8527753271618079904_n


#কোরবানীরঈদ স্পেশাল পোস্ট :

 কোরবানীর ঈদের সময়  চারিদিকে যেন উৎসব উৎসব ভাব থাকে । কিন্তু কোরবানীর ঈদ কি, কেন, ইহা জীবজগতে অথবা মানব সমাজের জন্য কি বার্তা দিচ্ছে ? আসুন একটু ঘেটে দেখি। ইসলামের মতে : মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে কোরবানির সূত্রপাত। যুগে যুগে মানুষ তার প্রিয়জনের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করতে কুণ্ঠিত হয়নি। এমনকি দেব-দেবীর সামনে জীবন দান করাকে নিজের জন্য সৌভাগ্য মনে করে থাকে। আর এটাই হচ্ছে কোরবানির উচ্চতম বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু আল্লাহ এভাবে জীবনদানকে পছন্দ করেন না। জীবনদানকে আল্লাহ তাঁর নিজের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি ছাড়া অন্য কারও জন্য জীবন উত্সর্গ করাকে হারাম ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় কর ও কোরবানি কর।’ (সূরা কাউসার : ২)
মানব ইতিহাসে সর্বপ্রথম কোরবানি দেওয়া হয় হজরত আদম (আ.) এর দুই ছেলে

হাবিল ও কাবিলের কোরবানি [কোরআনে বলা হয়েছে ‘এবং তাদেরকে আদম (আ.)-এর দুই ছেলের কাহিনী সঠিকভাবে শুনিয়ে দাও। যখন তারা দু’জনে কোরবানি করল, একজনের কোরবানি কবুল হলো, অপরজনের হলো না।’ (সূরা আল মায়েদা : ২৭)
আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে যত শরিয়ত নাজিল হয়েছে সেসবের মধ্যে কোরবানির হুকুম ছিল। প্রত্যেক উম্মতের জন্য ইবাদতের এ ছিল একটা গুরুত্বপূর্ণ অপরিহার্য অংশ।
‘এবং আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানির এক রীতি-পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছি, যেন তারা ওইসব পশুর ওপর আল্লাহর নাম নিতে পারে যেসব আল্লাহ তাদের দান করেছেন।’ (সূরা হজ্জ : ৩৪) অর্থাত্ কোরবারি প্রত্যেক শরিয়তের ইবাদতের মধ্যে বিদ্যমান ছিল। অবশ্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ ও জাতির নবীদের শরিয়তে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কোরবারির নিয়ম-পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন রয়েছে। কিন্তু মৌলিক দিক দিয়ে সব শরিয়তে এ বিধান ছিল যে পশু কোরবানি শুধু আল্লাহর জন্যই করতে হবে এবং করতে হবে তাঁর নাম নিয়েই।


আজকাল দুনিয়ার সর্বত্র মুসলমানরা যে কোরবানি করে তা প্রকৃতপক্ষে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর ফিদিয়া। আল্লাহ বলেন, ‘যখন সে (ইসমাইল) তার সঙ্গে চলাফেরার বয়সে পৌঁছল তখন একদিন ইব্রাহিম (আ.) তাকে বললেন, প্রিয় পুত্র! স্বপ্নে দেখেছি যে আমি তোমাকে যেন জবেহ করছি। বল দেখি কী করা যায়? পুত্র বলল, আব্বা! আপনাকে যে আদেশ করা হয়েছে তা শিগগির করে ফেলুন। ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীল দেখতে পাবেন। অবশেষে যখন পিতা-পুত্র উভয়ে নিজেরদের আল্লাহর কাছে সোপর্দ করলেন এবং পুত্রকে উপুড় করে শুইয়ে দিলেন জবেহ করার জন্য, তখন আমরা তাকে সম্বোধন করে বললাম, ইব্রাহিম তুমি স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখিয়েছো। আমরা সত্কর্মশীলদের এরূপ প্রতিদানই দিয়ে থাকি। বস্তুত এক সুস্পষ্ট অগ্নিপরীক্ষা। আর অমরা বিরাট কোরবানি ফিদিয়াস্বরূপ দিয়ে তাকে (ইসমাইলকে) উদ্ধার করেছি। আর অমরা ভবিষ্যতের উম্মতের মধ্যে (ইব্রাহিমের) এ সুন্নাত স্মরণীয় করে রাখলাম। শান্তি ইব্রাহিমের ওপর, এভাবে জীবন দানকারীদের আমরা এ ধরনের প্রতিদানই দিয়ে থাকি। নিশ্চিতরূপে সে আমাদের মুমিন বান্দাদের মধ্যে শামিল। (সূরা আস সাফ্ফাত : ১০২-১১১)
দেখা যাচ্ছে প্রথমে মানুষ কোরবানির প্রথা ছিল (এমন কি নিজ পুত্র !) এবং পরে তা পরিবর্তিত হয়ে পশু কোরবানিতে রুপান্তরিত হয়। আমার প্রশ্ন হলো মানুষ হত্যা (কোরবানী ) করলে সৃষ্টিকর্তা খুশি হয় ? কি অবাস্তব ? এবার আসি পশু কোরবানিতে। কোরবানীর ঈদের দিনে সারা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পশু (বৃহৎ অর্থে ) কোরবানী করা হয়। উপমহাদেশে মূলত গরু জবাই করে উল্লাস করা হয়ে থাকে। আরব জাহানসহ সারা বিশ্বে জবাই করা হয় লক্ষ লক্ষ ভেড়া, দুম্বা, মহিষ ও গরু ! আর এগুলো জবাই করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বরতম পদ্ধতি "হালাল" নামক পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে পশু গুলোকে পৃথিবীর জগন্যতম ভাবে কষ্ঠ দিয়ে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়। এই পশুর রক্ত ও অনান্য বজ্রপদার্থ গুলো যেভাবে খোলা রাস্তায় পরে থাকে তা মানব সমাজ ও পরিবেশের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর।
dhaka-street_1473832126
কোরবানি ঈদের সময় ঢাকায় রক্তের নদী


 তাই অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশবাদী সংস্থা গুলো এর বিরুধ্যে আন্দোলন গড়ে তোলে। তাদের আন্দোলনে সাড়া দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সরকার মিডল ইস্ট এ কোরবানীর পশু রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছে। এবং নিউজিল্যান্ড বন্ধ করার কথা ভাবছে।
লিংক : http://latimesblogs.latimes.com/babylonbeyond/2010/11/muslim-world-eid-adha-animal-rights-islam.html
উল্লেখ্য যে, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড আরব বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কোরবানির পশু রপ্তানিকারক দেশ। অস্ট্রেলিয়া প্রতি বছর ২৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা ) পশু মধ্যপ্রাচ্চ্যে রপ্তানী করতো।
এদিকে Huff Post এর মুসলিম লেখিকা অনিলা মুহাম্মদ মুসলমানদের কোরবানির পশু নিধন বন্ধ করা উচিত কিনা তা নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছেন। সেখানে 31.27% না ভোট এবং 68.73% হ্যা ভোট পড়েছে। আপনি চাইলে নিচের লিঙ্কে ঢুকে ভোট দিতে পারেন : http://www.huffingtonpost.ca/anila-muhammad/animal-muslim-eid_b_1971072.html

এখন কথা হলো ভারত যখন গো-হত্যা বন্ধ করলো বা বাংলাদেশে নির্মম ভাবে হত্যার জন্য গরু রপ্তানি বন্ধ করলো তখন বাংলাদেশ বা ভারতের কোনো পরিবেশবাদীকে ধন্যবাদ দিতে দেখলাম না। বরং তারা ভারতকে তিরস্কার করে যাচ্ছে ! আর কংগ্রেস বরাবরের মতো মুসলিমদের পক্ষ নিয়েছে। উপমহাদেশের মহাপন্ডিত পরিবেশবাদীরা কেন অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন না তাও বোধগম্য নয় ! আসুন আমরা যে কোন পশুবলি বা নির্মম পশু জবাই কে না বলি !
লিখেছেনঃ প্রতিবাদী প্রীতিলতা
প্রথম প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫, আমাদের পেইজ- ইউনাইটেড হিন্দু কনসার্ন 

পরবর্তী পোস্টঃ ( হিন্দু )ধর্মের নামে পশুবলী  বন্ধ করুন।

অন্যান্য

Post Bottom Ad

আকর্ষণীয় পোস্ট

code-box

Contact Form

Name

Email *

Message *