লিখেছেনঃ প্রতিবাদী প্রীতিলতা
খৎনা সাধারণতঃ করা হয় কালচারলী এবং ধর্মীয় ভাবে।
তবে বেশির ভাগ হয় ধর্মীয় ভাবে। ইহুদি এবং ইসলামে খৎনা আবশ্যিক। অন্যদিকে খ্রিষ্টান ধর্মে খৎনা একটি - চয়েস। করতে পারে আবার নাও পারে। অধিকাংশ খ্রীষ্টিয়ান খৎনা না করার পক্ষে। তবে অধিকাংশ মুসলিম দেশে পুরুষের পাশাপাশি মেয়েদের
খৎনা …
করা হয়। আমাদের সমাজের মেয়েদের বিশেষ করে হিন্দু মেয়েদের এক বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। সমাজে কল্পকাহিনী প্রচলিত রয়েছে খৎনাকারী পুরুষরা বেশি সেক্সি হয়। তাই এই নিয়ে অন্যদের মতো আমারো আগ্রহের কমতি ছিল না। শুরু করলাম রিসার্চ। অনেক রিসার্চের পর লিখতে বসলাম। আজ আমি বিশ্বের বড় বড় মেডিকেল রিসার্চ এমন কিছু তথ্য দিবো যা পড়লে আপনি চমকে উঠবেন ! উন্নত দেশে খৎনা সাধারণতঃ ১ বছর বয়সে করা হয়ে থাকে যদিও আমাদের দেশে একটু বড় হলে করা হয়। যে বয়সে করা হোক না কেন সেটা অবশ্যই ছোট বেলায় করা করা। এখন একজন অভিভাবক হিসেবে আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কি আপনার বাচ্চার সেক্স নিয়ে বেশি চিন্তিত না তার সেফটি (নিরাপত্তা) নিয়ে ? অবশ্যই, কোন পিতামাতা বাচ্চা সেক্সি হবে কি হবে না তা নিয়ে ভাবে না। বরং বাচ্চা কিভাবে সুস্থভাবে বড় হবে সেই ভাবনায় থাকে। অনেক পুরুষ বলছেন যে তাদেরকে খৎনা করার জন্য বেশি সেক্সি মনে হয় যা একটি প্রচলিত ধারণা মাত্র !
চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক খৎনার ফলে যেসব সমস্যা দেখা দেয় :
১. রক্তক্ষরণ
২. প্রচন্ড ব্যাথা
৩. ইনফেকশন
৪. রাশ এবং
বিরক্তিকর খৎনার পর :
১.পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ নিচের দিকে ঝুলে যায়।
২. পেনিস বাঁকা হয়ে যেতে পারে।
৩. প্রসবনালী সরু হয়ে যাওয়া (Meatal stenosis)।
৪. পুরুষাঙ্গের গঠন বদলে যাওয়া।
৫. পুরুষাঙ্গের আগায় চামড়া প্রতিস্থাপন।
আর একটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার যে উন্নত বিশ্বে খৎনা করা হয় হাসপাতালে ডাক্তারের মাধ্যমে। কিন্তু ১-২ সপ্তাহ বয়সের একটি বাচ্চার একটি অপ্রয়োজনীয় অপারেশন আপনি কেন করবেন ? আর আমাদের মতো দেশে খৎনা করা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক উপায়ে একটি অশিক্ষিত হাজাম দিয়ে যার ন্যূনতম কোন মেডিকেল জ্ঞান নেই। এই ক্ষেত্রে রিস্ক ৩০০ গুন্ বেশি। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে ব্রিটিশ জার্নাল অফ মেডিসিন (Volume 99, Issue 4, pp. 864–869, Morris L. Sorrells, et. al.) একটি স্টাডি প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে খৎনা করে যৌনাঙ্গের যে অংশটি কেটে ফেলা হয় সেই অংশটি খৎনাকারী যৌনাঙ্গের অগ্রভাগের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল। বেলজিয়ামের একটি স্টাডি ঠিক একই কথা বলছেন। তারা বলছেন একটি নরমাল যৌনাঙ্গের চেয়ে একটি খৎনাকারী যৌনাঙ্গ কম সংবেদনশীল। (Bronselaer GA, Schober JM, Meyer-Bahlburg HF, T’sjoen G, Vlietinck R, Hoebeke PB., Department of Urology, Ghent University Hospital, Ghent, Belgium.)তাদের মতে, পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেললে পুরুষাঙ্গ আদ্রতা হারায়। যার ফলে এটি কম সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ২০১১ সালে একটি ড্যানিশ রিসার্চ প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে, একজন খৎনাকারী ব্যক্তি একজন নরমাল পেনিসের অধিকারী ব্যক্তির চেয়ে তিন গুন্ বেশি সেক্সচুয়াল্লি অকার্য্যকর। অর্থাৎ খৎনাকারী ব্যক্তি তিনগুন কম সেক্সি !
(Frisch M, Lindholm M, Grønbæk M.) Morten Frisch যিনি এই রিসার্চ পরিচালনা করেছেন তার মতে, খৎনাকারী ব্যক্তির ক্ষেত্রে তিন ধরণের ফ্যাক্টর রয়েছে। ১. খৎনাকারী ব্যক্তির যৌনক্রিয়ার সময় নরমাল ব্যক্তির চেয়ে অনেক বেশি অসুবিধা হয়। ২. সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে যৌনক্রিয়ার সময় খৎনাকারী ব্যক্তির নির্গমন দেরীতে (delayed ejaculation) হয়। অনেক ক্ষেত্রে, নির্গমন হয়না। ৩. খৎনাকারী ব্যক্তির সাথে সঙ্গমকারী মহিলাদের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা ১০% কম যৌন আনন্দ উপভোগ করেন। Christopher Guest, M.D, co-founder of the Children’s Health & Human Rights Partnership (CHHRP) বলছেন খৎনা মানুষের পেনিসের গঠন বদলে দেয় যা দীর্ঘ্য দিনের ক্ষতি ( Long term harm) বয়ে আনে। কানাডা বেসড গ্লোবাল সার্ভে অফ সার্কাম্সিশন হার্ম (Global Survey of Circumcision Harm) ৯০০ পুরুষের উপর জরিপ করে খৎনার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেছে। একজন বলছেন, ছোট বেলার খৎনার ফলে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমার মনে আছে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর আমার পুরুষাঙ্গে অনেক সেলাই ছিল। খৎনার সময় আমার যৌনাঙ্গ থেকে অনেক বেশি মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। যার ফলে অনেক শিরা-উপশিরা ধ্বংশ প্রাপ্ত হয়েছে। এখন একজন বয়সপ্রাপ্ত পুরুষ হিসাবে যৌনক্রিয়ার সময় নিজেকে খুব ভীত মনে হয়। খৎনার কারণে ডেভিড আত্মহত্যা করেন : ১৯৯৭ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে ডেভিড রেইমেররা ছিল যমজ ভাই। তাদেরকে খৎনার জন্য জন্মের দুই সপ্তাহ পর হাসপাতালে নেয়া হয়। ডেভিডের পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ ছিল বেশি টাইট। ডাক্তারা সেটি ভুলভাবে সনাক্ত করে এবং সেখানে অপারেশন করে। অপারেশন ঠিকভাবে না হওয়ার দরুন তার পেনিস সম্পূর্ণ কালো বর্ণ ধারণ করে এবং ডেভিডের জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় জোন্স হপকিন্স মেডিকেল সায়েন্টিস্টরা
ডেভিডের পিতামাতাকে বলেন, ডেভিডের পুরুষাঙ্গ আর ফিরে সম্ভব না। তাকে বাঁচাতে হলে তার অন্ডকোষ কেটে ফেলে তাকে হরমোন দিয়ে একজন মেয়ের মতো করে গড়ে তুলতে হবে। এই ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নেই। ছেলের জীবন বাঁচাতে ডেভিডের পিতামাতা তাই মেনে নেন। যৌনাঙ্গ বিহীন ডেভিড বড় হতে থাকে। কিশোর ডেভিড একদিন জানতে পারলো তার কোন যৌনাঙ্গ নেই। এ বিষয়ে সে খুব অনুসন্ধানী হয়ে ওঠে এবং জানতে চেষ্টা করে ঠিক কি ঘটেছিলো তার জীবনে। সে তার মার্ কাছ থেকে তার খৎনার বিষয়টি জানতে পারে। বিষয়টি জানার পর ডেভিড আত্মহত্যা করে। ডেভিডের পুরো গল্প পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন। ডেভিডের স্টোরি প্রকাশের পর একজন নার্স আরো একটি বিষয় সামনে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন আমাদের হাসপাতালে এরকম একটি কেস ঘটেছিলো। খৎনার সময় বাচ্চা ছেলেটির পেনিস সম্পূর্ণ কালো হয়ে যায় এবং দুই সপ্তাহ পর ছেলেটি মারা যায়। খৎনা মানুষের মৃত্যুর কারণ : ২০১১ সালের মার্চের ৯ তারিখে আর একটি কেস স্টাডি থেকে জানা যায় ১১ দিন বয়সী একটি ছেলেকে খৎনার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু খৎনা অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের দরুন সে মারা যায়। ডাক্তাররা বলছেন সে ছিল হেমেফেলিক/hemophiliac (যার রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব)! তার যদি খৎনা করা না থাকতো তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব হতো। মেডিকেল ভাষ্য অনুযায়ী, শিশুর শরীর থেকে ২.৩ আউন্স রক্ত ক্ষরণ হলে তার মৃত্যু অনিবার্য্য। এ বিষয়ে বিস্তারিত পড়ুন। খৎনাবাদী কলামিস্ট ড্যান স্যাভেজ যিনি সবসময় খৎনার পক্ষে প্রচারণা চালাতেন তিনি তার ছেলের খৎনার আগে নিজ অবস্থান পরিবর্তন করেন। তিনি বলেন খৎনার ফলে আমি আমার পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ হারিয়েছি যা আমার সারা জীবনের পীড়া। আমার ছেলের ক্ষেত্রে আমি তা হতে দেব না। বরং পুরুষাঙ্গ নরমাল থাকা অনেক ভালো। খৎনা পুরুষের সারা জীবনের জন্য যন্ত্রণাদায়ক: পিটার একজন ফিলিপিনো যুবক যিনি নিউজীল্যান্ডে বড় হয়েছেন তিনি বলছিলেন কিশোর বয়সে আমার খৎনা করা হয়। এখন আমি আমার পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে কিছু একটা মিস করি। খৎনা আমার হস্তমৈথুন বন্ধ করতে পারেনি। বরং তা কম আনন্দময় করে তুলেছে। জনাথন ফ্রিয়ডমান একজন ইহুদী যুবক ৮দিন বয়সে ইহুদি খৎনাশালায় তাকে খৎনা করা হয়েছিল। তিনি বলছিলেন খৎনার ফলে আমার পুরুষাঙ্গের মাথার চামড়া টাইট হয়ে গেছে। আমি হস্তমৈথুন বা সেক্স করার সময় আমার পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ ফেটে রক্ত পড়ে। আমি আমার স্ত্রীর সাথে সেক্স করার সময় কিছু অনুভব করি না। রক্ত পড়ার দরুন আমি খুবই কম বা একেবারে সেক্স করি না। লিও নামের আর একজন এক্টিভিটিস্ট বলছিলেন আপনাকে আগে ভাবতে হবে বিধাতা কেন আমাদের পুরুষানদের অগ্রভাগে চামড়া দিয়েছেন ? নিশ্চয় এটা গুরুত্ত্বপূর্ণ। তা না হলে উনি এটি কেটেই আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠাতেন। যেমন আমাদের মাথার চুল তেমন কোন কাজে লাগে না। আমি বলতে চাচ্ছি চুল ফেলে দিয়ে টাক হয়েও মানুষ বাঁচতে পারে। হ্যা, চুল ফেলে দিয়েও মানুষ বাঁচতে পারে। কিন্তু মানুষকে নাট্যারালি অর্থাৎ চুল থাকলেই বেশি ভালো লাগে !
কৃতজ্ঞতাঃ Tom Gualtieri
পরবর্তী আর্টিকেল : মেয়েদের খৎনা ! (শীগ্রই প্রকাশিত হবে )
করা হয়। আমাদের সমাজের মেয়েদের বিশেষ করে হিন্দু মেয়েদের এক বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। সমাজে কল্পকাহিনী প্রচলিত রয়েছে খৎনাকারী পুরুষরা বেশি সেক্সি হয়। তাই এই নিয়ে অন্যদের মতো আমারো আগ্রহের কমতি ছিল না। শুরু করলাম রিসার্চ। অনেক রিসার্চের পর লিখতে বসলাম। আজ আমি বিশ্বের বড় বড় মেডিকেল রিসার্চ এমন কিছু তথ্য দিবো যা পড়লে আপনি চমকে উঠবেন ! উন্নত দেশে খৎনা সাধারণতঃ ১ বছর বয়সে করা হয়ে থাকে যদিও আমাদের দেশে একটু বড় হলে করা হয়। যে বয়সে করা হোক না কেন সেটা অবশ্যই ছোট বেলায় করা করা। এখন একজন অভিভাবক হিসেবে আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কি আপনার বাচ্চার সেক্স নিয়ে বেশি চিন্তিত না তার সেফটি (নিরাপত্তা) নিয়ে ? অবশ্যই, কোন পিতামাতা বাচ্চা সেক্সি হবে কি হবে না তা নিয়ে ভাবে না। বরং বাচ্চা কিভাবে সুস্থভাবে বড় হবে সেই ভাবনায় থাকে। অনেক পুরুষ বলছেন যে তাদেরকে খৎনা করার জন্য বেশি সেক্সি মনে হয় যা একটি প্রচলিত ধারণা মাত্র !
চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক খৎনার ফলে যেসব সমস্যা দেখা দেয় :
১. রক্তক্ষরণ
২. প্রচন্ড ব্যাথা
৩. ইনফেকশন
৪. রাশ এবং
বিরক্তিকর খৎনার পর :
১.পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ নিচের দিকে ঝুলে যায়।
২. পেনিস বাঁকা হয়ে যেতে পারে।
৩. প্রসবনালী সরু হয়ে যাওয়া (Meatal stenosis)।
৪. পুরুষাঙ্গের গঠন বদলে যাওয়া।
৫. পুরুষাঙ্গের আগায় চামড়া প্রতিস্থাপন।
(খৎনার ফলে পুরুষাঙ্গ যেমন দেখায়) |
আর একটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার যে উন্নত বিশ্বে খৎনা করা হয় হাসপাতালে ডাক্তারের মাধ্যমে। কিন্তু ১-২ সপ্তাহ বয়সের একটি বাচ্চার একটি অপ্রয়োজনীয় অপারেশন আপনি কেন করবেন ? আর আমাদের মতো দেশে খৎনা করা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক উপায়ে একটি অশিক্ষিত হাজাম দিয়ে যার ন্যূনতম কোন মেডিকেল জ্ঞান নেই। এই ক্ষেত্রে রিস্ক ৩০০ গুন্ বেশি। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে ব্রিটিশ জার্নাল অফ মেডিসিন (Volume 99, Issue 4, pp. 864–869, Morris L. Sorrells, et. al.) একটি স্টাডি প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে খৎনা করে যৌনাঙ্গের যে অংশটি কেটে ফেলা হয় সেই অংশটি খৎনাকারী যৌনাঙ্গের অগ্রভাগের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল। বেলজিয়ামের একটি স্টাডি ঠিক একই কথা বলছেন। তারা বলছেন একটি নরমাল যৌনাঙ্গের চেয়ে একটি খৎনাকারী যৌনাঙ্গ কম সংবেদনশীল। (Bronselaer GA, Schober JM, Meyer-Bahlburg HF, T’sjoen G, Vlietinck R, Hoebeke PB., Department of Urology, Ghent University Hospital, Ghent, Belgium.)তাদের মতে, পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ কেটে ফেললে পুরুষাঙ্গ আদ্রতা হারায়। যার ফলে এটি কম সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ২০১১ সালে একটি ড্যানিশ রিসার্চ প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে, একজন খৎনাকারী ব্যক্তি একজন নরমাল পেনিসের অধিকারী ব্যক্তির চেয়ে তিন গুন্ বেশি সেক্সচুয়াল্লি অকার্য্যকর। অর্থাৎ খৎনাকারী ব্যক্তি তিনগুন কম সেক্সি !
(Frisch M, Lindholm M, Grønbæk M.) Morten Frisch যিনি এই রিসার্চ পরিচালনা করেছেন তার মতে, খৎনাকারী ব্যক্তির ক্ষেত্রে তিন ধরণের ফ্যাক্টর রয়েছে। ১. খৎনাকারী ব্যক্তির যৌনক্রিয়ার সময় নরমাল ব্যক্তির চেয়ে অনেক বেশি অসুবিধা হয়। ২. সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে যৌনক্রিয়ার সময় খৎনাকারী ব্যক্তির নির্গমন দেরীতে (delayed ejaculation) হয়। অনেক ক্ষেত্রে, নির্গমন হয়না। ৩. খৎনাকারী ব্যক্তির সাথে সঙ্গমকারী মহিলাদের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা ১০% কম যৌন আনন্দ উপভোগ করেন। Christopher Guest, M.D, co-founder of the Children’s Health & Human Rights Partnership (CHHRP) বলছেন খৎনা মানুষের পেনিসের গঠন বদলে দেয় যা দীর্ঘ্য দিনের ক্ষতি ( Long term harm) বয়ে আনে। কানাডা বেসড গ্লোবাল সার্ভে অফ সার্কাম্সিশন হার্ম (Global Survey of Circumcision Harm) ৯০০ পুরুষের উপর জরিপ করে খৎনার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেছে। একজন বলছেন, ছোট বেলার খৎনার ফলে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমার মনে আছে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর আমার পুরুষাঙ্গে অনেক সেলাই ছিল। খৎনার সময় আমার যৌনাঙ্গ থেকে অনেক বেশি মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। যার ফলে অনেক শিরা-উপশিরা ধ্বংশ প্রাপ্ত হয়েছে। এখন একজন বয়সপ্রাপ্ত পুরুষ হিসাবে যৌনক্রিয়ার সময় নিজেকে খুব ভীত মনে হয়। খৎনার কারণে ডেভিড আত্মহত্যা করেন : ১৯৯৭ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে ডেভিড রেইমেররা ছিল যমজ ভাই। তাদেরকে খৎনার জন্য জন্মের দুই সপ্তাহ পর হাসপাতালে নেয়া হয়। ডেভিডের পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ ছিল বেশি টাইট। ডাক্তারা সেটি ভুলভাবে সনাক্ত করে এবং সেখানে অপারেশন করে। অপারেশন ঠিকভাবে না হওয়ার দরুন তার পেনিস সম্পূর্ণ কালো বর্ণ ধারণ করে এবং ডেভিডের জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় জোন্স হপকিন্স মেডিকেল সায়েন্টিস্টরা
ডেভিডের পিতামাতাকে বলেন, ডেভিডের পুরুষাঙ্গ আর ফিরে সম্ভব না। তাকে বাঁচাতে হলে তার অন্ডকোষ কেটে ফেলে তাকে হরমোন দিয়ে একজন মেয়ের মতো করে গড়ে তুলতে হবে। এই ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নেই। ছেলের জীবন বাঁচাতে ডেভিডের পিতামাতা তাই মেনে নেন। যৌনাঙ্গ বিহীন ডেভিড বড় হতে থাকে। কিশোর ডেভিড একদিন জানতে পারলো তার কোন যৌনাঙ্গ নেই। এ বিষয়ে সে খুব অনুসন্ধানী হয়ে ওঠে এবং জানতে চেষ্টা করে ঠিক কি ঘটেছিলো তার জীবনে। সে তার মার্ কাছ থেকে তার খৎনার বিষয়টি জানতে পারে। বিষয়টি জানার পর ডেভিড আত্মহত্যা করে। ডেভিডের পুরো গল্প পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন। ডেভিডের স্টোরি প্রকাশের পর একজন নার্স আরো একটি বিষয় সামনে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন আমাদের হাসপাতালে এরকম একটি কেস ঘটেছিলো। খৎনার সময় বাচ্চা ছেলেটির পেনিস সম্পূর্ণ কালো হয়ে যায় এবং দুই সপ্তাহ পর ছেলেটি মারা যায়। খৎনা মানুষের মৃত্যুর কারণ : ২০১১ সালের মার্চের ৯ তারিখে আর একটি কেস স্টাডি থেকে জানা যায় ১১ দিন বয়সী একটি ছেলেকে খৎনার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু খৎনা অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের দরুন সে মারা যায়। ডাক্তাররা বলছেন সে ছিল হেমেফেলিক/hemophiliac (যার রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব)! তার যদি খৎনা করা না থাকতো তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব হতো। মেডিকেল ভাষ্য অনুযায়ী, শিশুর শরীর থেকে ২.৩ আউন্স রক্ত ক্ষরণ হলে তার মৃত্যু অনিবার্য্য। এ বিষয়ে বিস্তারিত পড়ুন। খৎনাবাদী কলামিস্ট ড্যান স্যাভেজ যিনি সবসময় খৎনার পক্ষে প্রচারণা চালাতেন তিনি তার ছেলের খৎনার আগে নিজ অবস্থান পরিবর্তন করেন। তিনি বলেন খৎনার ফলে আমি আমার পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ হারিয়েছি যা আমার সারা জীবনের পীড়া। আমার ছেলের ক্ষেত্রে আমি তা হতে দেব না। বরং পুরুষাঙ্গ নরমাল থাকা অনেক ভালো। খৎনা পুরুষের সারা জীবনের জন্য যন্ত্রণাদায়ক: পিটার একজন ফিলিপিনো যুবক যিনি নিউজীল্যান্ডে বড় হয়েছেন তিনি বলছিলেন কিশোর বয়সে আমার খৎনা করা হয়। এখন আমি আমার পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে কিছু একটা মিস করি। খৎনা আমার হস্তমৈথুন বন্ধ করতে পারেনি। বরং তা কম আনন্দময় করে তুলেছে। জনাথন ফ্রিয়ডমান একজন ইহুদী যুবক ৮দিন বয়সে ইহুদি খৎনাশালায় তাকে খৎনা করা হয়েছিল। তিনি বলছিলেন খৎনার ফলে আমার পুরুষাঙ্গের মাথার চামড়া টাইট হয়ে গেছে। আমি হস্তমৈথুন বা সেক্স করার সময় আমার পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ ফেটে রক্ত পড়ে। আমি আমার স্ত্রীর সাথে সেক্স করার সময় কিছু অনুভব করি না। রক্ত পড়ার দরুন আমি খুবই কম বা একেবারে সেক্স করি না। লিও নামের আর একজন এক্টিভিটিস্ট বলছিলেন আপনাকে আগে ভাবতে হবে বিধাতা কেন আমাদের পুরুষানদের অগ্রভাগে চামড়া দিয়েছেন ? নিশ্চয় এটা গুরুত্ত্বপূর্ণ। তা না হলে উনি এটি কেটেই আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠাতেন। যেমন আমাদের মাথার চুল তেমন কোন কাজে লাগে না। আমি বলতে চাচ্ছি চুল ফেলে দিয়ে টাক হয়েও মানুষ বাঁচতে পারে। হ্যা, চুল ফেলে দিয়েও মানুষ বাঁচতে পারে। কিন্তু মানুষকে নাট্যারালি অর্থাৎ চুল থাকলেই বেশি ভালো লাগে !
কৃতজ্ঞতাঃ Tom Gualtieri
পরবর্তী আর্টিকেল : মেয়েদের খৎনা ! (শীগ্রই প্রকাশিত হবে )
শুধুই কি মহাউন্মাদ ৫৫ বছরে ৬ বছরের আয়শা কে বিয়ে করছিলো ? ছি : ওকে নাকি আবার মহানবী বলে !
ReplyDelete