১. ডিমের ঝাল পোয়াপিঠা-আতপ চালের গুঁড়া ১ কাপ সেদ্ধ চালের গুঁড়া ১ কাপ ময়দা আধা কাপ ডিম ২টি পেঁয়াজ মিহি কুচি সিকি কাপ কাঁচামরিচ কুচি ২ চা চামচ ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ লবণ পরিমাণমতো চিনি আধা চা চামচ কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ তেল ভাজার জন্য, আতপ চাল ও সেদ্ধ চালের গুঁড়া, ময়দা, বেকিং পাউডার, চিনি একসঙ্গে খুব ভালো করে মিলিয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, লবণ একসঙ্গে ভালো করে চটকিয়ে ডিম দিয়ে মাখিয়ে ময়দার মিশ্রণে মেলাতে হবে।একটু পানি দিয়ে গোলা করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, গোলা যেন খুব পাতলা না হয়ে যায়। তেল গরম করে সিকি কাপ পরিমাণ গোলা ছাড়তে হবে। পিঠা ফুলে উঠলে উল্টিয়ে দিয়ে কাঠি দিয়ে পিঠার মাঝখানে ছিদ্র করে ভেতরের বাতাস বের করে দিতে হবে। পিঠা ভাজা হলে চুলা থেকে নামিয়ে টমেটো সস অথবা গ্রিন চিলি সসের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
২. লাল পুয়া পিঠা-আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ, মিহি করে বাটা নারকেল আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, খেজুরের গুঁড় বা রস মিষ্টি অনুযায়ী, পানি পরিমাণমতো, ডিম ২টি, এক চিমটি লবণ এবং তেল ১ কাপ। তেল ছাড়া সবকিছু মিশিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার তেল গরম হলে গোল চামচে গোলা নিয়ে একটা একটা করে ভেজে তুলতে হবে।
৩.ছিট রুটি- চালের গুঁড়ো ২ কাপ, পানি ২ কাপ, লবণ আন্দাজমতো।চালের গুঁড়োর মধ্যে পানি-লবণ দিয়ে গোলা তৈরি করে ১ ঘণ্টা রেখে তাওয়ায় অল্প তেল মাখিয়ে ছিটিয়ে ছিটিয়ে গোল করে দিয়ে একটু পরে উঠিয়ে ভাঁজ করে রেখে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
৪.কলাই রুটি-মাসকলাই ডাল ভাঙা ২৫০ গ্রাম,আতপ চালের গুঁড়ি ১০০ গ্রাম,লবণ পরিমাণমতো।সব উপকরণ একসঙ্গে পরিমাণমতো পানি দিয়ে সঙ্গে রুটি বেলে মাটির খোলা অথবা মোটা তাওয়ায় ছেঁকে নিতে হবে।
৫. মালপোয়া –ময়দা ১ কাপ তেল, দই আধা কাপ, দুধ ২ লিটার,গুড় বা চিনি ১ কা এলাচের গুঁড়া সিকি চা চামচ।ময়দার সঙ্গে দই দিয়ে ফেটে অল্প পানি দিয়ে ঘন গোলা তৈরি করতে হবে।দুধ জ্বাল দিয়ে চিনি মিলিয়ে ঘন করে নামিয়ে রাখতে হবে এবং ওপরে এলাচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিতে হবে।ময়দার গোলা গোল চামচে করে গরম তেলে ছেড়ে ভাজতে হবে। হালকা রং ধরলে নামিয়ে দুধে ছাড়তে হবে।
৬. খেঁজুর রসে মালপোয়া-খেজুর রস ১ কেজি, ময়দা ২৫০ গ্রাম, ক্ষীর ১ কাপ, খাবার সোডা ১ চিমটি, মৌরি আধা চামচ, লবণ স্বাদমতো, ঘি ২৫০ গ্রাম।রস জাল দিয়ে ঘন করে নিয়ে ময়দা, ক্ষীর, মৌরি, খাবার সোডা, লবণ ও পানি দিয়ে ঘন গোলা তৈরি করতে হবে। চুলার হাড়িতে দেওয়া ঘি গরম হলে পিঠা ভেজে গরম গরম খেজুর রসে চুবিয়ে দিতে হবে।
৭. দই-মালপোয়া –আতপ চালের গুঁড়া ৩ কাপ ময়দা ১ কাপ খেজুরের গুড় ১ কাপ,তরল দুধ ২ কাপ মিষ্টি দই ২ কাপ গোলাপজল ৩-৪ ফোটা তেল ভাজার জন্য,কুসুম গরম দুধে চালের গুঁড়া, ময়দা, গুড় দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তবে মিশ্রণ যেন বেশি পাতলা বা ঘন না হয়। কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল দিয়ে এক হাতা করে মিশ্রণ দিয়ে বাদামি করে পিঠা ভেজে তুলে রাখতে হবে। তারপর গোলাপজল দিয়ে মিষ্টি দই ফেটে তার মধ্যে মালপোয়াগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে হবে।
৮. রসবড়া-কলাইয়ের ডাল ১ কাপ, চালের গুঁড়া আধা কাপ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, ২টি এলাচ গুঁড়া, ভাজার জন্য তেল।
শিরার জন্য: চিনি ১ কাপ, পানি ১ কাপ। জ্বাল দিয়ে শিরা তৈরি করে নিতে হবে। পুরের জন্য: নারকেল ও চিনি জ্বাল দিয়ে পুর বানাতে হবে।ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সেদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ডালবাটার সঙ্গে মিলিয়ে খুব ভালো করে মাখাতে হবে। হাতে ১ টেবিল চামচ ঘি নিয়ে এর সঙ্গে মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। গোল গোল করে বড়ার মতো বানিয়ে মাঝখানে পুর ভরে ডুবো তেলে ভেজে শিরায় দিয়ে দু-তিন ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।
৯. রসের ক্ষীর-আতপ চাল ১ কেজি, খেজুর রস ৫ কেজি, এলাচ-৬/৭টি, কিশমিশ আধাকাপ।আতপ চাল ১ ঘণ্টা আগে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। হাতে কচলিয়ে চালটা একটু ভাঙা ভাঙা করে নিন। এবার খেজুর রসসহ সব উপকরণ চুলায় বসিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। ঘন হয়ে চাল ফুটে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
১০. কাউনের পায়েস-কাউনের চাল ১ কাপ, লিকুইড দুধ ২ কেজি, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, খেজুরের গুড় ১/৪ কাপ, আস্ত এলাচ ও দারুচিনি ৩/৪টি করে, কিসমিস, পেস্তাবাদাম কুচি ।কাউনের চাল ভালো করে ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। ২ কেজি দুধ জ্বাল দিয়ে ১ কেজি করতে হবে। চাল ও গুঁড়াদুধ, আস্ত এলাচ-দারুচিনি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। চাল ফুটে এলে চিনি দিতে হবে, নামানোর আগে খেজুরের গুড় গ্রেট করে মেশাতে হবে। গরম অবস্থায় বাটিতে ঢেলে কিছু বাদাম দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
১১.কাউনের পায়েসের পাটিসাপটা-চালের গুড়া ২ কাপ, ময়দা আধা কাপ, লবণ পরিমাণমত, চিনি আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমত, কাউনের পায়েস ১ কাপ।চালের গুঁড়া, ময়দা, চিনি, লবণ, পানি দিয়ে ঘন করে গোলা করে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এবার একটি ননস্টিক ফ্রাইপ্যানে হালকা তেল ব্রাশ করে সামান্য গোলা দিয়ে ছড়িয়ে মাঝে কাউনের পায়েস দিয়ে ভাঁজ দিতে হবে।
১২.নতুন গুড়ের ফিরনি-দুধ ১ লিটার, পানি ১ কাপ, পোলাওয়ের চাল ১ মুঠ (২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে আধা ভাঙা করে নিতে হবে), গুড় (কুচি কুচি করে নেওয়া) আধা কাপ, মাওয়া আধা কাপ (নামানোর আগে), নারকেল কুড়ানো আধা কাপ, বাদাম সাজানোর জন্য।দুধ ও পানি জ্বাল দিয়ে নিন। বলক এলে অল্প অল্প করে চাল দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিলিয়ে নিতে হবে। চাল ও দুধের মিশ্রণ যেন দলা না হয়। এবার এতে নারকেল মিশিয়ে অল্প আঁচে নেড়ে নেড়ে চাল সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে ১ টেবিল-চামচ চিনি দিয়ে জ্বাল করে গুড় মেলাতে হবে। গুড় মিলিয়ে নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে মাওয়া মিশিয়ে নামাতে হবে।
১৩.ফুল পিঠা-চালের গুঁড়া ২ কাপ, লবণ ১ চা চামচ, সয়াবিন তেল ৬ কাপ, মুগ বা মাসকলাই ডাল ১ কাপ, ময়দা ২ কাপ, গরম পানি ৩ কাপ, জর্দার রং ১/২ চা চামচ, চিনি ১/২ কাপ।মাসকলাই বা মুগডাল আগে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে নরম হলে পাটাতে পিষে নিতে হবে। এবার চুলায় হাড়িতে পানি গরম করতে হবে। পানি ফুটে উঠলে তাতে একে একে ময়দা, চালের গুঁড়া ও ডাল বাটা দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে জর্দার রং দিয়ে ভালো করে মেখে ময়দার ডো’টি মোটা করে রুটি বেলে একটি গোল ছাঁচ দিয়ে কাটতে হবে। এবার কাটা চামচ বা টুথপিক দিয়ে নকশা করে তেলে একটি একটি করে পিঠা ভেজে তুলতে হবে। গরম অবস্থায় উপরে চিনি ছিটিয়ে দিতে হবে।
১৪.রাবড়ি-কেসর এক চা চামচ গরম দুধে মিশিয়ে রেখে পেস্তা খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট ছিলকা কেটে নিতে হবে। এলাচ গুঁড়োর সঙ্গে পেস্তা মিশিয়ে একটা ডেকচিতে দুধ ভাল করে গরম করতে হবে। ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে ঘন করে নিয়ে দুধের মধ্যে চিনি, এলাচ-পেস্তা মিশ্রণ, কেসর দিয়ে আরও ৩ থেকে ৪ মিনিট ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে আগুন থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে ২ ঘণ্টা রেখে জমিয়ে নিতে হয়।
১৫. কাটা পিঠা–চালের গুড়ো ২কাপ, আধ চা-চামচ লবন, কাই/ সিদ্ধ করার জন্য পানি পরিমান মতো।চালের গুড়ো রুটির আটা যেভাবে সিদ্ধ করে সেভাবে সিদ্ধ করে ঠান্ডা হলে ভালো ভাবে মেখে ছোট ছোট পিঠা বানাতে হবে। কোল বালিসের আকৃতিরও বানালে কাটতে সুবিধা হয়। বানানো হয়ে গেলে একটি হাড়িতে অর্ধেক পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে স্টিলের ঝাঝরিতে পিঠাগুলো রেখে একটি প্লেট বা ঢাকনি দিয়ে ঢেকে ঐ গরম পানির হাড়ির উপর ১০ মিনিট পর বসিয়ে নামাতে হবে। গরম গরম পিঠা আপনি মাংসের ঝোল বা ঝোলা গুড় দিয়ে খাওয়া যায়।
১৬.আমের ঝালপিঠা-পাকা আমের ক্বাথ ১ কাপ, চালের গুড়া ১ কাপ, ডিম ১টা, ভাজা মরিচ গুড়া আধা চা-চামচ, ভাজা জিরা গুড়া আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ময়দা আধাকাপ, পানি আধা কাপ, চিনি ৩ টেবিল চামচ।ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ভেজে ডুবো তেলে গোল গোল পিঠা করে ভাজতে হবে।
১৭.ঝিনুক পিঠা-চালের গুঁড়া ১ কাপ, তালের গোলা ১ কাপ, পানি আধা কাপ, তেল ভাজার জন্য আধা কাপ, চিনি ১ কাপ, পানি ১ কাপ।তালের গোলা পানি মিশিয়ে জ্বাল দিতে হবে। ফুটে উঠলে চালের গোলা দিতে হবে।কাই করে নিয়ে পরিমাণমতো গোলা নিয়ে হাতের তালুতে ডলে লম্বা করে প্লাস্টিকের ঝুড়িতে চেপে দাগ বসিয়ে নিয়ে মচমচে করে তেলে ভাজতে হবে।চিনি ও পানি জ্বাল দিয়ে সিরা করে পিঠাগুলো তেল থেকে তুলে সিরায় দিতে হবে।
১৮. তালের রসবড়া-তালের কাঁদ ঘন-১ কাপ, ময়দা-১/৪ কাপ, চিনি-২ কাপ, গোলাপজল-১ চা. চা., বেকিং পাউডার-২ চা. চা., লবণ-সামান্য, দুধ- ১ কাপ, ঘি-২ চা. চা., চালের গুঁড়া-১/২ কাপ, সয়াবিন তেল-পরিমাণমতো।দেড় কাপ চিনি ও পানি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিতে হবে। এরপর তালের কাঁদ ময়দা, ১/২ কাপ চিনি, গোলাপজল, বেকিং পাউডার, লবণ, দুধ, ঘি, চালের গুঁড়া ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে গোলা তৈরি করে মালপোয়া আকারে ডুবো তেলে ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সিরায় দিয়ে পরিবেশন করুন।
১৯. তালের পাটি সাপটা–তালের গোলা ১ কাপ,ময়দা আধা কাপ,চালের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ,চিনি ২ টেবিল চামচ,ডিম ১টিপুর-কোরানো নারকেল ১ কাপ, দুধের ক্ষীর আধা কাপ, চিনি আধা কাপ জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করে নিতে হবে।পাকাতালের গোলার সঙ্গে বাকি সব উপকরণ মিলিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এবার তাওয়াতে সামান্য ঘি লাগিয়ে হাতলে করে গোলা দিয়ে তাওয়া ঘুরিয়ে রুটি তৈরি করতে হবে। ওপরটা শুকিয়ে এলে পুর দিয়ে পাটির মতো রোল করে পিঠা তৈরি করতে হবে।
২০. তালের রুটি-ঘন তাল ২ কাপ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, আটা ২ কাপ, গুড় ১ কাপ, লবণ ১ চা-চামচ, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল-চামচ।
ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে খামির বানাতে হবে। এবার কলাপাতায় ঘি বা তেল মাখিয়ে রুটির মতো বিছিয়ে দিতে হবে। আরও একটি কলাপাতা দিয়ে রুটি ঢেকে দিতে হবে। পাতাসহ রুটি গরম তাওয়ায় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। অল্প আঁচে পাতা পোড়া পোড়া হওয়া পর্যন্ত ছেঁকে নিতে হবে।
২১. চিড়ার বরফি-ভাজা চিড়া ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, নারিকেল কুরা ২ কাপ, ঘি ২ চা চামচ, কাজুবাদাম, কিশমিশ ও চেরি কুচি সাজানোর জন্য।
প্রথমে ভাজা চিড়া গুঁড়া করে নিন। গুঁড়া করা চিড়া নারিকেল ও চিনি একসঙ্গে মেখে নিতে হবে। তারপর কড়াইতে মাখানো চিড়া দিয়ে নাড়তে হবে। আঠা আঠা হয়ে এলে থালায় ঘি মেখে ঢেলে দিন এবং চামচ দিয়ে সমান করে নিয়ে ঠাণ্ডা হলে ছুরি দিয়ে বরফির আকারে কেটে নিতে হবে।পরিবেশনের আগে কিশমিশ, কাজুবাদাম ও চেরি সাজিয়ে দেওয়া যায়।
২২.চিড়ার পোলাও-চিড়া ১/২ কেজি, পানি ১ কাপ, লবণ সামান্য, চিনি সামান্য, টেস্টিং সল্ট ১/২ চা চামচ, আলু কিউব কাটা ১/২ কাপ, গাজর বা পেঁপে কিউব কাটা ১/২ কাপ, তৈল ২ টেবিল চামচ, জর্দার রং সামান্য, পেঁয়াজ ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১/২ চা চামচ।
প্রথমে চিড়া হালকা পানি ও জর্দার রং মিশিয়ে তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার অন্যপাত্রে আলু, পেঁপে, গাজর, লবণ ও টেস্টিং সল্ট দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। কড়াইতে তেল গরম করে তাতে একে একে পেঁয়াজ, সিদ্ধ সবজি ও ভাজা চিড়া দিয়ে নেড়ে নিতে হবে। এবার ১ কাপ, পানি দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট সিদ্ধ করে নিতে হবে। গরম গরম পরিবেশন করতে হবে মজাদার চিড়ার পোলাও।
২৩. চিড়ার লাচ্ছি-চিড়া আধা কাপ, মিষ্টি দই দেড় কাপ, দুধ তিন কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, ব্যানানা এসেন্স অল্প, লবণ সামান্য ও বরফ কুচি।
চিড়া ভালো করে ধুয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে গ্গ্নাসে বরফের টুকরো দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
২৪.চিড়ার লাড্ডু-চিড়া ২৫০ গ্রাম, আখের গুড় ২৫০ গ্রাম, আস্ত এলাচ ও দারুচিনি ৩/৪টি, পানি আধা কাপ।চিড়া ভাল করে পরিষ্কার করে মচ মচ হওয়া পর্যন্ত টেলে নিতে হবে। আখের গুড়, আস্ত এলাচ-দারুচিনি পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। সিরা আঠালো হলে হালকা ঠাণ্ডা করে গরম অবস্থায় চিড়া-গুড় মাখিয়ে সামান্য ময়দা ছিলিয়ে গোল গোল লাড্ডু বানাতে হবে।
২৫.রুমালী রুটি-চালের গুঁড়া এক বাটি, আদা বাটা আধা চা-চামচ, পেয়াঁজ বাটা এক চা-চামচ, ডিম ২টা, লবণ স্বাদমত, তেল সামান্য।চালের গুঁড়ায় আদা, রসুন, পেঁয়াজ বাটা, লবণ ও ডিম ভেঙে এবং এক বাটি পানি দিয়ে একদম পাতলা করে একটি মিশ্রণ তৈরি করে তা ফ্রাইপ্যান বা মাটির হাঁড়ি বা পিচ্ছিল কড়াইতে তুলা দিয়ে তেল মুছে এক চামচ (ডালের চামচ) করে মিশ্রণটি কড়াইতে ভালো করে ছড়িয়ে ঢেলে দিতে হবে। এক মিনিট ঢেকে রেখে একটু মচমচে হলে তা নামিয়ে যে কোনো রকম ভর্তা, মাংস বা কলিজা ভুনা দিয়ে খাওয়া যায়।
২৬.খেজুর রসে চুই পিঠা-চালের গুঁড়া ২০০ গ্রাম, খেজুর রস এক লিটার, এলাচি ও দারুচিনি দুই/তিনটা করে, তেজপাতা ২টা, নারিকেল কোরানো এক বাটি।চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ছোট ছোট লেচি তৈরি করে এক একটা লেচি দিয়ে ছোট ছোট সেমাই/চুই পিঠা তৈরি করে নিতে হবে। চুলায় একটি হাঁড়িতে খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে এবং তাতে এলাচি, দারুচিনি ও তেজপাতাও দেবেন। সেমাই বা চুই পিঠা বানানো হয়ে গেলে রস হালকা রং ধারণ করলেই তাতে পিঠাগুলো ছেড়ে দিয়ে ১০ মিনিট সিদ্ধ করতে হবে।
২৭. মাংসের পিঠা-মাংসের কিমা ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, ধনেপাতা ১ টেবিল-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, তেল ভাজার জন্য, লবণ স্বাদমতো, আতপ চালের গুঁড়া ৩০০ গ্রাম।সসপ্যানে লবণ ও পানি জ্বাল দিয়ে তাতে বলক উঠলে চালের গুঁড়া দিতে হবে। মৃদু আঁচে ঢাকনা দিয়ে তিন-চার মিনিট দমে রেখে ভালোভাবে নেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা গরম অবস্থায় মাখিয়ে নিতে হবে। ছোট ছোট লেচি কেটে রুটি আকারে বেলে নিয়ে ফ্রাইপ্যানে ৪ টেবিল-চামচ তেল দিয়ে তাতে কিমা, পেঁয়াজ, আদাবাটা, রসুনবাটা, গরম মসলা, ধনেপাতা, লবণ দিয়ে একটি পুর তৈরি করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। রুটির টুকরোর ভিতর পুর দিয়ে পছন্দমতো আকার গড়ে ডুবোতেলে ভেজে সস দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
২৮.গোকুলপিঠা-গরুর দুধ- ১ লিটার, গমের লাল আটা- ২৫০ গ্রাম,চিনি- আধা কেজি, ভাজার জন্য তেল ও পানি।দুধ জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে ক্ষীরসা করতে হবে। ক্ষীরসা অল্প অল্প করে হাতে নিয়ে ছোট ছোট চ্যাপ্টা বড়া বানিয়ে রাখতে হবে। চিনি ২ কাপ পানিসহ জ্বাল দিয়ে সিরা করে নামিয়ে রাখতে হবে। এবার গমের আটায় ১ কাপ পানি দিয়ে গুলে নিন। গোলার মধ্যে ক্ষীরসার বড়া ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে সিরায় ফেলতে হবে। হালকা ভাজতে হবে, না হলে পিঠা শক্ত হয়ে যাবে। সিরাসহ পরিবেশন করতে হবে।
২৯.শাহী টুকরা বাকেরখানি –বাকেরখানি ৮-১০ পিস, দুধ ১ কাপ, গুড় ২ কাপ, ঘি ১ কাপ।বাকেরখানিগুলি একটা কানা উচু প্লেটে রেখে গুড় ও দুধ জ্বাল দিয়ে বাকেরখানিগুলির উপরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩০.কুশলী পিঠা-ময়দা আধা কেজি, তেল এক কেজি, মাংসের কিমা আধা কেজি, লবণ পরিমাণমতো, পানি পরিমাণমতো।ময়দা, লবণ ও পানি দিয়ে খামির তৈরি করতে হবে। তারপর ছোট রুটি বেলতে হবে। রুটির ভেতর কিমা দিয়ে পুঁটলি তৈরি করতে হবে। তারপর তেলে বাদামি রঙ করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।
৩১.মেথি-পরোটা-ময়দা ২ কাপ, চিনি ১ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ১ চা চামচ, বেকিং আধা চা চামচ, তেল ভাজার জন্য ২ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো, মেথি ১ টেবিল চামচ।ময়দা একটি পাত্রে নিতে হবে। মেথি ৪/৫ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। একটি ছাঁকনিতে পানি ঝরিয়ে পাটায় মিহি করে বেটে নিতে হবে। তারপর ময়দার মধ্যে লবণ, চিনি, তেল, ঘি, মেথি ও পানি দিয়ে ভালো করে মেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ২/৩ ঘণ্টা। আবার গোলা ময়দা ভালো করে মেখে তারপর পিঁড়ির ওপর ময়দা ছিটিয়ে গোল করে আধা ইঞ্চির মতো রুটি বেলে ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
৩২.নতুন গুড়ে বাঁধাকপির পায়েস-খেজুরের গুড় এক কাপ, দুধ দুই লিটার, বাঁধাকপি কুচি এক কাপ (ভাপ দেওয়া), এলাচ দুইটি, বাদাম কুচি এক টেবিল চামচ, ঘি এক টেবিল চামচ, নারকেল কোরা দুই টেবিল চামচ।দুধ জাল দিয়ে ঘন করুন। সস্প্যানে ঘি দিয়ে ভাপ দেয়া বাঁধাকপি ভেজে নিতে হবে। ঘন দুধে বাঁধাকপি দিন। গুড় ও নারকেল দিন। বাঁধাকপি সেদ্ধ হলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
৩৩.দোল্লা পিঠা-চালের গুঁড়া আধা কেজি, কোরানো নারকেল ১টা, গুড় ২৫০ গ্রাম।হাঁড়িতে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে জ্বাল দিন। পানিতে নারকেল ও গুড় দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে চালের গুঁড়া দিয়ে শক্ত কাই করে ভালো করে মথে নিন। এবার ওই কাই থেকে অল্প নিয়ে দুই হাতের তালুতে নিয়ে পিঠা তৈরি করুন। সবগুলো হলে বাঁশের চালনিতে রাখুন। এবার অন্য হাঁড়িতে পানি বলক তুলে তার ওপর চালনি রেখে ঢেকে ১৫-২০ মিনিট জ্বাল দিন। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
৩৪.ডিম চালে ঝাল পিঠা-আতপ চালের গুঁড়া ১ কাপ, ময়দা ১-২ কাপ, লবণ স্বাদমতো, ডিম ৩টি, চিনি ১ চা-চামচ, সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১-২ কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার ১-২ চা-চামচ।আতপ চালের গুঁড়া, ময়দা, লবণ, চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর পেঁয়াজ,কাঁচামরিচ, ধনেপাতা কুচি চটকে নিয়ে ময়দার সঙ্গে ডিম দিয়ে মেশান। ডুবো তেলে ভেজে ধনেপাতার চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।
৩৫.ফুলকপির পায়েস-ফুলকপি (ছোট টুকরা) ১ কাপ, দুধ ২ লিটার, চিনি ১ কাপ, জাফরান ১ চিমটি, এলাচ ৩-৪টি, ঘি ২ টেবিল চামচ, বাদাম ও কিশমিশ ১ টেবিল চামচ করে।প্যানে ঘি দিয়ে ফুলকপি হালকা করে ভেজে নিতে হবে। ২ লিটার দুধ ফুটিয়ে ঘন করে নিতে হবে। এবার ফুলকপি দিয়ে দ্রুত হাতে নাড়তে হবে। ফুলকপি সেদ্ধ হলে চিনি ও এলাচ দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে হবে। পায়েস ঘন হয়ে এলে তাতে দুধে ভেজানো জাফরান, বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করা যায় মজাদার ফুলকপির পায়েস।
৩৬.লাউ ও গাজরের পায়েস-লাউ মিহি কুচি গ্রেট করা ২ কাপ, গাজর মিহি কুচি গ্রেট করা ১ কাপ, নারিকেল কোরানো ১ কাপ, দুধ ২ লিটার, কনডেন্সড দুধ ১ কৌটা, এলাচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম ও কিসমিস সাজানোর জন্য পরিমাণমতো।লাউ ও গাজর বলক ওঠা পানিতে আধা সেদ্ধ করে কাপড়ে চিপে শুকিয়ে নিতে হবে। পাত্রে ঘি দিয়ে লাউ ও গাজর ভুনা করে নিতে হবে। এরপর ২ লিটার দুধ ঘন করে নিয়ে লাউ ও গাজর নারিকেল দিয়ে ভাল করে নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে এলাচ গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে নিতে হবে। পেস্তাবাদাম ও কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে।
৩৭.শাকপিঠালী ও চিতই-পালংশাক ৪ আঁটি, টাকি মাছ ২০০ গ্রাম, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৮টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ছেঁচা ১ চা চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়ো দেড় চা চামচ, চিনি ১ চিমটি, চালের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ।পালংশাক কেটে অল্প লবণ-মরিচ দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে।মাছ লবণ-হলুদ দিয়ে মাখিয়ে একটু তেল দিয়ে সেদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিতে হবে।তেল গরম করে রসুন, পেঁয়াজ, আদা ছেঁচা ও মরিচ দিন। হালকা বাদামি হলে মাছ দিয়ে দিতে হবে।কিছুক্ষণ নেড়ে শাক দিয়ে মাছের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলুন। পানি দিয়ে চালের গুঁড়ো গুলিয়ে শাকের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। অল্প আঁচে ঘন ঘন নেড়ে ঘণ্ট করে ফেলুন। চিতই পিঠার সঙ্গে খেতে অনেক মজা।
৩৮.শাহী গোলাপ-আতপ চালের গুঁড়া ২৫০ গ্রাম, মাওয়া গুঁড়া ১ কাপ, বাদাম গুঁড়া, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, ময়দা আধা কাপ, লবণ সামান্য, চিনি পরিমাণ মতো, পানি পরিমাণ মতো, তেল ভাজার জন্য ও ঘি ১ টেবিল চামচ।প্রথমে একটি হাঁড়িতে পরিমাণ মতো পানির সঙ্গে সামান্য লবণ দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে তাতে চালের গুঁড়া এবং ময়দা দিয়ে ১০-১২ মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধ করে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে। তারপর তাতে মাওয়া ও ঘি দিয়ে ভালো করে হাত দিয়ে মাখিয়ে গোল গোল ছোট ছোট লুচির মতো বেলে ছোট ছোট লুচিগুলো এক সঙ্গে ৪-৫টি একটির ওপর একটি করে বসিয়ে মাঝে আঙুলের চাপ দিতে হবে। পরে চাপ দেওয়া জায়গায় ছুরি দিয়ে ৩টি করে দাগ কেটে গোলাপের মতো করে আকার করে ডুবন্ত গরম তেলে মচমচে করে ভেজে চিনিতে অল্প পানি, বাদামের গুঁড়া এবং কিশমিশ দিয়ে ঘন সিরা তৈরি করে তাতে ভাজা গোলাপগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তুলে পরিবেশন করুন।
৩৯.সবজি পুলি-গাজর কিউব কাট আধা কাপ, আলু কিউব কাট ১ কাপ, পেপে কিউব কাট ১ কাপ, বরবটি কিউব কাট আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, ময়দা ১ কাপ, চিনি কোয়ার্টার চা চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, সেদ্ধ ডিম ১টি, গরম মসলা গুঁড়ো আধা চা চামচ, তেল ও লবণ পরিমাণমতো।ময়দা, তেল, লবণ দিয়ে শক্ত খামির করে ঢেকে রাখতে হবে, সবজিগুলো আধা সেদ্ধ করে একটি পাত্রে চুলায় ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি একটু ভেজে সেদ্ধ সবজি দিয়ে নেড়ে চেড়ে অন্যান্য মসলা দিতে হবে। হয়ে এলে ১ টেবিল চামচ ময়দা ছিটিয়ে নামাতে হবে। ছোট ছোট লুচি বানিয়ে ভেতরে পুর দিয়ে মুখ বন্ধ করে ডুবো তেলে ভেজে তুলতে হবে।
৪০.খেজুরের গুড়ে বরফি-আতপ চাল ২৫০ গ্রাম, তিল ১ কাপ, বাদাম ১ কাপ, খেজুরের গুড় ৫০০ গ্রাম বা প্রয়োজন হলে বেশিও দেওয়া যেতে পারে।
প্রথমে চাল, তিল এবং বাদাম আলাদাভাবে শুকনো করে ভালো করে ভেজে নিয়ে এক সঙ্গে পাটায় বা ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিতে হবে। বেশি মিহি যেন না হয়। এরপর একটা পাতিলে গুড় জ্বাল দিয়ে নিয়ে যখন গুড়ের রস আঠা আঠা হয়ে আসবে তখন তাতে গুঁড়া করা সব উপকরণ দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নেড়ে গরম থাকা অবস্থায় একটি প্লেটে ঢেলে হাত দিয়ে সমান করে বরফির মতো করে কেটে নিতে হবে।
৪১.খেজুরের গুড়ে ছানার পায়েস–ছানা ২৫০ গ্রাম, ছোট ছোট কিউব করে কেটে নিন, পোলাওর চাল ১০০ গ্রাম, বাদাম মিহি করে কাটা ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, খেজুরের গুড় বা চিনি প্রয়োজনমতো, দুধ ঘন ২ লিটার, কনডেন্সড মিল্ক পরিমাণমতো।প্রথমে পোলাওর চাল ধুয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে মিহি করে গুঁড়া করে নিয়ে খেজুরের গুড় জ্বাল দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। ঘন দুধে চালের গুঁড়া দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে হবে। যখন চাল সিদ্ধ হয়ে আসবে তখন তাতে গুড়, বাদাম, কিশমিশ এবং ছানার টুকরো দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নেড়ে চুলায় রেখে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে।
৪২.তালের ক্ষীরসা-তালের গোলা ৩ কাপ, ঘন দুধ ৫ কাপ, চিনি ১ কাপ, নারকেল দুধ ১ কাপ, নারকেল কোরা পৌনে এক কাপ, এলাচ গুঁড়া কোয়ার্টার চা চামচ, কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ।দুধের সঙ্গে তালের গোলা চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে ফুটে উঠলেনারকেল দুধ ও কোরানো নারকেল দিয়ে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। ঘন হয়ে গেলে নামাতে হবে।
৪৩. উষ্ণগুজা বা ছাঁচ পিঠা-বানাতে হলে প্রথমে হাঁড়িতে গরম পানি চাপাতে হবে। হাঁড়ির ওপরের দিকে পাতলা কাপড় দিয়ে বেঁধে ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে। এবার পানি ফুটে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। চালের গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য গরম দুধ দিয়ে তা ভালোমতো মথতে হবে। মথা হয়ে গেলে হাতের তালুতে পরিমাণমতো চালের মণ্ড নিয়ে টোপা (খোল) বানাতে হবে; অনেকটা মাটি দিয়ে ছোট ছোট হাঁড়ি-পাতিল বানানোর মতো। টোপা তৈরি হয়ে গেলে এর ভেতর নারকেল-গুড়, এলাচ, দারচিনি দিয়ে বানানো পুর ভরে দিতে হবে। পুর ভরা হয়ে গেলে টোপার খোলা দিকটি হাতের আঙুলের ভাঁজে ভাঁজে মুড়ে দিতে হবে।মোড়া হয়ে গেলে গরম হতে দেওয়া পাত্রের ঢাকনা খুলে পাতলা কাপড়ের ওপরে দিতে হবে ভাপ লাগানোর জন্য। ভাপে নরম হয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। আবার বাইরের আবরণে দেওয়া যায় নানা ফুল আর লতাপাতার নকশা। এখন উষ্ণগুজা বানাতে ঢাকাই পরিবারগুলো ব্যবহার করে প্লাস্টিকের ছাঁচ। ফলে সময় আর শ্রম দুটোই বাঁচে।
৪৪.ফুলঝুরি পিঠা-চালের গুঁড়া ১ কাপ, ডিম ১টি, চিনি এক কাপের চার ভাগের তিন ভাগ, লবণ সামান্য, গরম পানি আধা কাপ, তেল ভাজার জন্য, ফুলঝুরি নকশা (বাজারে কিনতে পাওয়া যায়)।চালের গুঁড়া, লবণ, চিনি দিয়ে গরম পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।ডিম ফেটিয়ে চালের গুঁড়ার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। তেল গরম করে ফুলঝুরি নকশা তিন-চার মিনিট তেলে ডুবিয়ে রেখে তুলে ফেলুন। তেল ঝরিয়ে আটার গোলার মধ্যে নকশা অর্ধেকের বেশি ডুবিয়ে নিয়ে আবার তেলের কড়াইয়ে এটি ডোবাতে হবে। পিঠা ফুলে ওঠামাত্রই ফুলঝুরির নকশা থেকে কাঠি দিয়ে আলাদা করে বাদামি রং হলে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এভাবে সব পিঠা ভাজতে হবে।
৪৫.খাজুর পিঠা-প্রথমে চালের গুঁড়া হালকা করে ভেজে নিতে হবে। এতে চালের প্রকৃত গন্ধ ফুটে উঠবে। এবার তাতে সামান্য পানি দিয়ে খামির করে নিতে হবে। খামির হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো গুড়, নারকেল কুচি, কালোজিরার দানা আর সামান্য লবণ দিতে হবে। উপাদানগুলো ভালোমতো চটকে নিতে হবে। একটি বেলন পিঁড়িতে চটকানো মণ্ড এলিয়ে লম্বা লম্বা বানাতে হবে। এটিকে আড়াআড়িভাবে কেটে টুকরো বের করে নিতে হবে। কাটা টুকরোগুলোয় তিল মাখিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই হলো। ঢাকাই অনেক পরিবারে মণ্ড তৈরির সময়ই তিল দেওয়া হয়। আবার অনেকে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে শেষে তিল মেখে ভেজে পরিবেশন করেন।
৪৬.মুখশলা পিঠা-আতপ চালের গুড়া- ২৫০ গ্রাম, খেজুরের গুড় ২৫০ গ্রাম, চিনি ১২৫ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, ঘি ২ টেবিল চামচ, সবরি কলা ২টা, দারচিনি ১ ইঞ্চি মাপের ১ টুকরা,এলাচ ২টা, ভাজার জন্য তেল – পরিমান মত,পানি ৩ কাপ, লবন ১ চিমটি দুধে এলাচ, দারচিনি এবং চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে দিয়ে ক্ষীরের মত ঘন হয়ে আসলে দুই টেবিল চামচ চালের গুড়ি পানিতে গুলে একটু একটু করে ঢেলে নাড়তে হবে। একটু শক্ত হলে নামিয়ে নিতে হবে। পানি চুলায় নিয়ে গুড় মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে গুড় গলে মিশ্রণ ঘন হয়ে সিরার মত হয়ে আসলে আধা কাপ পরিমান সিরা তুলে আলাদা করে রাখতে হবে।বাকী সিরার সাথে চালের গুড়ি এবং লবণ মিশিয়ে নাড়তে হবে। চালের গুড়ি সেদ্ধ হয়ে দলা হয়ে আসলে নামিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি সামান্য ঠান্ডা হলে (গরম থাকতে থাকতেই) থালায় নিয়ে ঘি, কলা, মিশিয়ে মথতে হবে। শক্ত মনে হলে তুলে রাখা সিরা মিশিয়ে মিশ্রণটি মসৃন হওয়া পর্যন্ত মথতে হবে।এবার অল্প পরিমানে গুড়ির মিশ্রণ নিয়ে দুই হাতের তালু দিয়ে মার্বেলের দ্বিগুন পরিমাণ বড় গোল্লা বানাই। এবার গোল্লা গুলি প্রতিটি বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চেপে চেপে ছোট খেলনা বাটির মত আকৃতি দিতে হবে।এবার প্রতিটি বাটিতে চামচ দিয়ে পরিমান মত ক্ষির ভরে আর একটা বাটি উপরে উপুর করে দিয়ে কিনার গুলি নক্সা করে বন্ধ করে একটা থালায় তেল মাখিয়ে রাখি। সব গুলি বাটিতে পুর ভরা হয়ে গেলে ডুবো তেলে কড়া বাদামী রঙ করে ভেজে তুলতে হবে।
৪৭.উটপিঠা-শৈলপাতা, রান্না করা খুব চর্বিদার ভেড়ার মাংস ও চাউলের আটা একসাথে মিশিয়ে ৩ ” পুরু করে গোল রুটি বানিয়ে মাটির খোলায় রেখে উপরে ও নীচে গনগনে কয়লা দিয়ে পনেরো মিনিট ধরে কয়লাকে বাতাস দিয়ে তাতিয়ে রাখতে হবে। তারপর নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।( রেসিপি বাই ত্রিশোন্কুভাইয়া। ৯৬.পোস্তদানা পিঠা -চালের গুঁড়া ২ কাপ, লবণ ১/৪ চা চামচ, বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ, পোস্তদানা ১/২ কাপ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমত, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ।পানি, চিনিগুড়া, লবণ, ডিম ভালো করে ফেটে নিন। অল্প ময়দা মিশিয়ে ভালোমত মেখে নিন। এবার লেচি কেটে নিয়ে চেপে সমান করে নিন ও ডোনাট কাটার দিয়ে কেটে উপরে পোস্তদানা বসিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। রেসিপিটা রাতুল শাহ কে আমিই দিলাম অনেক চেষ্টা করে আনকমন নাম বললেও রেসিপি না পারার জন্য।
৪৮.রাজাদৌলা পিঠা-৫কেজি দুধ জ্বাল দিয়ে ২কেজি বানাতে হবে। পাতলা পাতলা করে গুড় গ্রেট করে নিতে হবে। এলাচি আর দারুচিনি (অল্প পরিমান ) পাটায় বেটে নিতে হবে।এবার সব উপকরন আস্তে আস্তে মিশাতে হবে। কোন পানি ব্যবহার করা যাবে না। মিশ্রন যত ভাল হবে পিঠাও তওত সুস্বাদু হবে। এবার এই মিশ্রনকে মুঠি সাইজের গোল গোল বল বানাতে হবে। তারপর স্টীমড করতে হবে। শিপুভাইয়ার রেসিপি
৪৯. পানিদৌলা-চালের গুড়াকে পানি দিয়ে খামির করতে হবে। রসগোল্লা সাজের বল বল বানাতে হবে। এবার একটা করে বল হাতে নিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলির চাপে একটা গর্ত করতে হবে। সেই গর্তে গুড় ভরে গর্তটা বন্ধ করে দিতে হবে। এবার সবগুলো পিঠা পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। নামাকরণ ও রেসিপি বাই শিপুভাইয়া।
৫০.পাতা পিঠা-প্রথমে চালের গুড়া পানি দিয়ে নিতে হয়। তারপর তা পাতার একপাশে ভরাতে হবে। তারপর হালকা আচে রেখে দিলে পাতা উঠে যাবে। হয়ে যাবে পাতা পিঠা। তারপর রোদে শুকাতে হবে শুকানো শেষে ভাজতে হবে। রেসিপি বাই একরামুল হক শামীম।
৫১.নাম না জানা আন্ডা পিঠা–চালের গুড়ো পানি দিয়ে মন্ড করে নিয়ে দিয়ে সাথে চিনি মিশিয়ে মাঝখানে ঝাল মেশানো ডিম দিয়ে বল তৈরি করা হয়। তারপর ভাপে সেদ্ধ করতে হয়। রেসিপি বাই সকাল রয়।
৫২.চুঙ্গাপিঠা–সবচাইতে অবাক করা শ্রমসাধ্য পিঠা। ঢলুবাঁশ ছাড়া চুঙ্গাপিঠা তৈরি করা যায় না। ঢলুবাঁশে এক ধরনের তৈলাক্ত রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, যা আগুনে বাঁশের চুঙ্গাকে না পোড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে আগুনে না পুড়েই ভেতরের পিঠা আপনাআপনি সিদ্ধ হয়। ঢলুবাঁশের চুঙ্গা দিয়ে ভিন্ন স্বাদের পিঠা তৈরি করা হয়। কখনও কখনও চুঙ্গার ভেতরে বিন্নি চাল, দুধ, চিনি, নারিকেল ও চালের গুঁড়া দিয়ে পিঠা তৈরি করা হয়। পিঠা তৈরি হয়ে গেলে মোমবাতির মতো চুঙ্গা থেকে আলাদা হয়ে যায়। চুঙ্গা পিঠা পোড়াতে খড়ের প্রয়োজন হয়। কলাপাতায় মুড়িয়ে ভেজানো বিরন চাল ঢলুবাঁশের ভিতর ভরে মুখটা প্রথমে কলাপাতা ও পরে খড় দিয়ে শক্ত করে বন্ধ করে দিতে হয়। এরপর ইট দিয়ে দুই পাশে একটু উঁচু করে চাল ভর্তি বাঁশগুলো বিছানো হয়। নিচে ও উপরে খড় দিয়ে আগুন লাগিয়ে পোড়ানো হয়। পোড়ানোর সময় বাঁশগুলো উল্টিয়ে দিতে হয় যাতে চারপাশের চাল সেদ্ধ হয়। আধাঘণ্টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা আগুনে পোড়ালে বাঁশের ভেতরের চাল সেদ্ধ হয়ে যায়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য একটা দুইটা চুঙ্গার মুখ খুলে দেখে নিতে পারেন চাল সেদ্ধ হয়েছে কিনা।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।