আপনাদের জন্য আমাদের এখনকার আয়োজনে রয়েছে ১৯টি নাড়ু, মোয়া ও লাড্ডুর রেসিপি। একসঙ্গে সবগুলো দেখে নিন। আর বানিয়ে ফেলুন নিজের পছন্দ মতো।
মাওয়া লাড্ডু
উপকরণ :
১. মাওয়া ২ কাপ,২. সিদ্ধ গাজর ১ কাপ,৩. ঘি ১ কাপ,৪. চিনি ১ কাপ,৫. এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ।
প্রণালি :> ঘি গরম করে সিদ্ধ গাজর দিয়ে ভাজুন।> এর মধ্যে মাওয়া দিয়ে আরো ২ মিনিট ভেজে চিনি দিন।> এলাচি গুঁড়া দিন।> মাখা মাখা হয়ে পাক ধরে এলে নামিয়ে লাড্ডু আকারে গড়ে পরিবেশন করুন।
নারকেলের নাড়ু
উপকরণ :
১. নারিকেল কোরানো ৪/৫ কাপ,২. ২৫০ গ্রাম গুড়।
প্রণালি :> গুড় ও কোরানো নারিকেল একসঙ্গে করে জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল দেওয়ার সময় লক্ষ রাখতে হবে যখন আঁশ হয়ে আসবে তখন নামিয়ে ফেলতে হবে। এরপর নাড়ু বানাতে হবে।
সুজির সন্দেশ
উপকরণ :১. সুজি এক কাপ,২. এক কাপ নারিকেল কোরানো,৩. চিনি এক কাপ,
৪. ৩/৪ কাপ দুধ,৫. কিশমিশ,৬. লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি :> সুজি ভেজে নিতে হবে। নারিকেল কোরা মিহি করে বেটে নিতে হবে। নারিকেল বাটার সঙ্গে সুজি, চিনি ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে কড়াইয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। এরপর ২/৩ কাপ ঘি এর মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। সবকিছু ভালোভাবে মিশে গেলে আঁশ হয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। বিভিন্ন আকারে সুজির সন্দেশ বানাতে হবে।
নারিকেলের নশকরা
উপকরণ :১. নারিকেল কোরানো ৩/৪ কাপ,২. চিনি দেড় কাপ,৩. এলাচ গুঁড়া, ৪. সামান্য কর্পূর,৫. দুধ ১ কাপ।
প্রণালি :> কোরানো নারিকেল চিনি ও দুধ দিয়ে ভালভাবে মেখে চুলায় জ্বাল দিতে হবে। খুব ভালোভাবে কষাতে হবে। আঠালো হয়ে যাওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে হবে। লক্ষ করতে হবে নারিকেলে আঁশ ধরেছে কি না। আঁশ ধরলে সামান্য পরিমাণ এলাচের গুঁড়া, কর্পূর দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। এরপর নামিয়ে মুঠো করে পরিবেশন।
খইয়ের মুড়কি
উপকরণ :১. খই ৫০০ গ্রাম, ২. গুড় ৩০০ গ্রাম।
প্রণালি :> গুড় কড়াইয়ের মধ্যে জ্বাল দিতে হবে। গুড়ে আঁশ হয়ে গেলে খইয়ের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন। খই নির্দিষ্ট একটি বড় পাত্রে রাখলে খইয়ের মুড়কি বানাতে অনেক সুবিধা হয়।
চিঁড়ার মোয়া
উপকরণ :১. ৫০০ গ্রাম চিঁড়া,২. ২০০ গ্রাম গুড়, ৩. গোলমরিচের গুঁড়া পরিমাণমতো।
প্রণালি :> চিঁড়া ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর কাঠের খোলায় চিঁড়া ভেজে নিতে হবে। চিঁড়া লাল লাল হয়ে গেলে এতে গুড় ঢেলে দিতে হবে। একসঙ্গে গুড় ও চিঁড়া কষাতে হবে। কষানোর সময় কাঠি বা কোনো কিছু দিয়ে সারাক্ষণ নাড়তে হবে। যেন গুড় ও চিঁড়া লেগে না যায়। আঠালো হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে গোলমরিচের গুঁড়া দিতে হবে। গরম থাকতে থাকতে মোয়া বানিয়ে ফেলতে হবে। চিঁড়া ঠান্ডা হয়ে গেলে মোয়া তৈরি করা যায় না। তাই গরম থাকা অবস্থায়ই তৈরি করে ফেলতে হবে।
মতিচুর
উপকরণ :১. বুন্দিয়ার জন্য বেসন ১ কাপ২. বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ৩. পানি আধা কাপ৪. তেল পরিমাণ মতো৫. বাদাম কুচি-১/২কাপ (কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম)৬. খাবার রঙ সামান্য (যদি লাড্ডু রঙিন বানাতে চান)
বুন্দিয়া তৈরি :
প্রথমে বেসন আর বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে। বেসনের এই মিশ্রণ এক ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিতে হবে। এই দিকে চুলায় তেল গরম করতে দিতে হবে। যেহেতু বুন্দিয়া ডুবো তেলে ভাজতে হবে তাই বেশি পরিমাণ তেল নিতে হবে।
এখন একটা ছিদ্র করা চামচ কিংবা ঝাঁঝরি নিতে হবে বুন্দিয়া ভাজার জন্য। ঝাঁঝরির উপর বেসনের মিশ্রণ অল্প করে ঢেলে দিয়ে হাতের উপর ঝাঁকাতে হবে, তাহলে নিচে থেকে ছোট ছোট বুন্দিয়া বের হবে। এভাবে ডুবো তেলে ভাজতে হবে এই বুন্দিয়া। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে বুন্দিয়াগুলো উঠিয়ে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতিতে সবটুকু বেসনের মিশ্রণকে বুন্দিয়া তৈরি করতে হবে। সব বুন্দিয়া হয়ে গেলে একটা ট্রেতে রাখতে হবে।
সিরার জন্য লাগবে :১. চিনি- ১ কাপ,২. পানি- ১ কাপ।
সিরা বানাতে হলে একটা প্যানে পানি গরম করে তার মধ্যে চিনি দিয়ে নেড়ে নেড়ে জ্বাল দিতে হবে। যখন ঘন হয়ে আসবে তখন সিরা তৈরি হয়ে যাবে।
প্রণালি :
সিরা যখন খুব ঘন হয়ে আসবে বুন্দিয়াগুলো সিরায় ছেড়ে দিতে হবে। আরো এর সাথে ১ টেবিল-চামচ পরিমাণ ঘি, বাদাম কুচি ও এলাচের গুড়া দিতে হবে। খানিকক্ষণ নেড়েচেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে একটা বড় থালায় বুন্দিয়াগুলো ঢেলে ছড়িয়ে দিতে হবে। বুন্দিয়াগুলো হালকা গরম থাকতে থাকতে হাতে ঘি মাখিয়ে গোল গোল আকার দিয়ে লাড্ডু বানিয়ে ফেলতে হবে। তারপর উপরে বাদামকুচি দিয়ে বুন্দিয়ার লাড্ডু পরিবেশন করতে পারেন। হয়ে গেল মজাদার বুন্দিয়া বা মতিচুর লাড্ডু।
মুড়ির মোয়া
উপকরণ :১. মুড়ি ৫০০ গ্রাম,২. গুড় ২৫০ গ্রাম, ৩. লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি :
গুড় কড়াইয়ে জ্বাল দিতে হবে। গুড়ে আঁশ হয়ে গেলে মুড়ির মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। তারপর বিভিন্ন আকার অনুযায়ী মোয়া তৈরি করতে হবে। গুড় আঠালো থাকা অবস্থায় মোয়া বানিয়ে ফেলতে হবে।
নারিকেলের লাড্ডু
উপকরণ :১. নারিকেল কোরা ২ কাপ,২. চিনি আধা কাপ, ৩. ঘি ২ টেবিল চামচ,৪. এলাচ গুঁড়া সিকি চা চামচ।
প্রণালি : ঘি বাদে বাকি সব উপকরণ কড়াইতে দিয়ে চুলায় বসান।চিনি গলে শুকিয়ে আঠালো ও মাখা মাখা হলে ঘি দিয়ে নাড়তে থাকুন।পাক হলে নামিয়ে গোল গোল লাড্ডু বানিয়ে সংরক্ষণ করুন।
বেসনের লাড্ডু
উপকরণ :১. বেসন ৫০০ গ্রাম,২. পানি ৫০০ মি.লি,৩. ঘি ৭৫০ মি.লি,৪. এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ৬. খাবার রঙ আধা চা চামচ,৭. চিনি ২৫০ গ্রাম,৮. পানি ২৫০ গ্রাম।
সিরা তৈরি : চিনি ও পানি একত্রে জ্বাল দিয়ে সিরা বানিয়ে রাখুন।
প্রণালি :
বেসন, পানি, খাবার রঙ, এলাচ গুঁড়া দিয়ে বেটার (গোলা) বানিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে লাড্ডু বানানোর বিশেষ চামচে এই বেটার দিয়ে মুচমুচে করে ভেজে নিন।এবার বানানো সিরায় ভেজে রাখা উপকরণ দিয়ে ২ মিনিট অপেক্ষা করুন।উঠিয়ে বড় বড় লাড্ডুর আকারে বানিয়ে পরিবেশন করুন।
পারসিয়ান লাড্ডু
উপকরণ :১. কাঠবাদামের গুঁড়া ৫০০ গ্রাম,২. ঘি ২৫০ গ্রাম,৩. কাজু বাদামের গুঁড়া ২৫০ গ্রাম, ৪. কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ,৫. চিনি গুঁড়া আধা কাপ।
প্রণালি :
কড়াইতে ঘি গরম করে নিন।বাদামের গুঁড়া হালকা আঁচে ভাজুন।এবার চিনি বাদে বাকি সব উপকরণ এর মধ্যে দিয়ে দিন।নাড়তে থাকুন। পাক হলে নামিয়ে লাড্ডুর আকারে গড়ে চিনিতে গড়িয়ে পরিবেশন করুন।
রাকা লাড্ডু
উপকরণ :১. সুজি ১ কাপ,২. পানি আধা কাপ,৩. চিনি আধা কাপ, ৪. নারিকেল বাটা ১ কাপ,৫. ঘি আধা কাপ,৬. নারিকেল গুঁড়া আধা কাপ।
প্রণালি :
পানি ও চিনি একত্রে জ্বাল দিয়ে ঘন সিরা বানিয়ে রাখুন।ফ্রাইপ্যানে ঘি গরম করে তাতে সুজি দিয়ে ভাজুন। লালচে হলে এর মধ্যে সিরা ঢেলে দিন। ঘন হলে তাতে নারিকেল বাটা দিন। আবারও ঘন হয়ে এলে সামান্য ঘি দিয়ে নামিয়ে নিন।গোল লাড্ডুর আকারে গড়ে নারিকেল গুঁড়ায় গড়িয়ে পরিবেশন করুন।
মিহি দানা
উপকরণ :১. বেসন ২৫০ গ্রাম,২. পানি ২৫০ গ্রাম,৩. সুজি ১০ গ্রাম, ৪. খাবার রঙ আধা চা চামচ,৫. তেল ১ কাপ।
সিরা তৈরি :> চিনি ১ কাপ, পানি আধা কাপ একত্রে জ্বাল দিয়ে সিরা বানিয়ে নিন।
প্রণালি :> সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে বেটার বানিয়ে রাখুন।> কড়াইয়ে তেল গরম করে মিহি দানার লাড্ডু ভাজার বিশেষ চামচ দিয়ে বেটার গরম তেলে ভাজুন।> ভাজা হয়ে গেলে তুলে সিরায় দিয়ে ১০ মিনিট রেখে উঠিয়ে নিন।> এবার হাত দিয়ে আধা ভাঙা করে গোল গোল লাড্ডু বানিয়ে পরিবেশন করুন।
বুন্দি লাড্ডু
উপকরণ :১. বেসন ৩০০ গ্রাম,২. সুজি ৫০ গ্রাম,৩. পানি ২৫০ মি.লি,৪. হলুদ খাবার রঙ সিকি চা চামচ,৫. তেল ১ কাপ।
সিরা তৈরি :১. পানি ২৫০ মি.লি,২. চিনি ২ কাপ।> একত্রে চুলায় জ্বাল দিয়ে সিরা বানিয়ে রাখুন।
প্রণালি :> তেল বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে বেটার (গোলা) বানিয়ে রাখুন।> কড়াইয়ে তেল গরম করে ঝাঝরি চামচ দিয়ে গোলা ছেড়ে ভাজুন।ভাজা বুন্দি উঠিয়ে সিরায় ভিজিয়ে রাখুন।> ১০ মিনিট পরে উঠিয়ে লাড্ডু বানিয়ে পরিবেশন করুন।
নারিকেলের নাড়ু
উপকরণ :১. দুটি নারিকেল,২. আধা কেজি খেজুরের গুড়,৩. ১/৪ চা চামচ এলাচ গুঁড়া, ৪. ১টি তেজপাতা,৫. এক চিমটি লবণ,৬. দারুচিনি ১.৫ ইঞ্চি।
প্রণালি : > নারিকেল কুরিয়ে নিন। > এবার কোরানো নারিকেল ও গুড় ভালো করে মিশিয়ে মিশিয়ে প্যানে দিন। কড়াই ননস্টিক হলে ভালো হয় তাহলে তলায় পোড়া লাগবে না।> দারুচিনি, তেজপাতা, এলাচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দিন। > এরপর প্যানে ভাজতে থাকুন। নাড়তে থাকুন যাতে তলায় লেগে না যায়।> ভাজতে ভাজতে নরম ও আঠালো হয়ে গেলে চুলা থেকে কড়াই নামিয়ে নিন।> তারপর সহনীয় গরম থাকতে থাকতে হাতের তালুতে অল্প ঘি মেখে নারিকেল নিয়ে ছোট বলের মতো গোল আকৃতি দিন।> ঠাণ্ডা হলে সংরক্ষণ করুন মুখবন্ধ পাত্রে। চাইলে চাল ভাজার মিহি গুঁড়াতে গড়িয়ে রাখতে পারেন।
নারিকেলের নাড়ু
উপকরণ :১. নারিকেল কোরানো দুটি,২. খেজুরের গুড় ১ কেজি,৩. এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ,৪. তেজপাতা একটি, ৫. লবণ সামান্য,৬. দারুচিনি ১ ইঞ্চি ,৭. বাদাম সাজানোর জন্য।
প্রণালি :> প্রথমেই কোরানো নারিকেল ও গুড় ভালো করে মিশিয়ে কড়াইয়ে দিন। কড়াই নন-স্টিকি হলে ভালো হয়। তাহলে নিচে পোড়া লাগবে না। নারিকেল ও গুড়ের সঙ্গে দারুচিনি, তেজপাতা, এলাচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দিন। এরপর সব উপাদান কড়াইয়ে ভাজতে থাকুন। ভাজতে ভাজতে নরম ও আঠালো হয়ে এলে চুলা থেকে কড়াই নামিয়ে নিন। এরপর হালকা ঠান্ডা হলে অল্প অল্প করে হাতের তালুতে সামান্য ঘি মেখে ছোট বলের মতো গোল আকৃতি দিন। এবার বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
ক্ষীরের সন্দেশ
উপকরণ :১. দুধ ১ লিটার,২. চিনি ১ কাপ,৩. এলাচি গুঁড়া ১/৮ চা চামচ, ৪. ঘি ১ চা চামচ,৫. বিভিন্ন ডিজাইনের ছাঁচ কয়েকটা।
প্রণালি :> একটা ননস্টিক প্যানে করে দুধ চুলায় বসান এবং অনবরত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না দুধ শুকিয়ে ঘন হয়ে কাইয়ের মতো হয়। খেয়াল রাখবেন যাতে নিচে পুড়ে না যায়। দুধ যখন ঘন হয়ে আসবে, তখন আগুন খুব কম করে দিতে হবে। কারণ, একটুও যদি নিচে লেগে যায় তাহলে রংটা নষ্ট হয়ে যাবে। দুধ শুকিয়ে যখন ক্ষীর হয়ে যাবে (কাই এর মতো), তখন চুলা থেকে নামিয়ে ক্ষীর একটা বাটিতে নিয়ে নিন এবং প্যানটা ধুয়ে নিন। এবার ক্ষীরটা অর্ধেক ভাগ প্যানে নিয়ে ১/২ কাপ চিনি এবং ২ চা চামচ পানি দিয়ে অল্প আঁচে চুলায় বসান এবং অনবরত নাড়ুন। এ সময়টা বেশি সাবধান থাকতে হবে যাতে পুড়ে না যায়। নাড়তে নাড়তে যখন আঠা আঠা ভাব আসবে, তখন সামান্য এলাচির গুঁড়া দিয়ে ভালো করে নেড়ে নামিয়ে নিন। এখন ছাঁচগুলোতে ঘি লাগিয়ে ও হাতে একটু ঘি লাগিয়ে ছাঁচের আন্দাজে ক্ষীর নিয়ে দুই হাতে ডলে ছাঁচের ওপর চেপে চেপে ভালো করে বসিয়ে আস্তে আস্তে হালকা হাতে সন্দেশ তুলে নিন। এভাবে সবগুলো করে নিন। হয়ে গেল ক্ষীরের সন্দেশ। এই ধরনের ছাঁচ দিয়ে করলে এক লিটার দুধ দিয়ে প্রায় ২০-২২টা সন্দেশ হবে।
খেজুর-তিলের লাড্ডু
উপকরণ :১. খেজুর ৩০০ গ্রাম (নরম ও দানা ছাড়া),২. তিল এক কাপ,৩. ভাজা কাজু এক টেবিল চামচ, ৪. সবুজ এলাচ চারটি।
প্রণালি :> একটি প্যানে তিলের দানাগুলো হালকা আঁচে কিছুক্ষণ ভেজে নিন, যতক্ষণ না ভাজা সুগন্ধ বের হয়। এরপর ঠান্ডা করে এলাচের সঙ্গে গুঁড়া করে নিন। অন্য একটি পাত্রে খেজুর থেঁতলে নিন। তিলের দানার গুঁড়ার সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে নরম মিশ্রণ তৈরি করে এর সঙ্গে ভাজা কাজু বা চিনাবাদাম মিশিয়ে নিন। এর পর অল্প অল্প মিশ্রণ নিয়ে ছোট ছোট গোল বল তৈরি করুন। ওপরে তিলে গড়িয়ে নিন।
তক্তি
উপকরণ :১. নারিকেল বাটা ১ কাপ,২. গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ৩. ফ্রেশ ক্রিম আধা কাপ,৪. চিনি আধা কাপ।
প্রণালি :> নারিকেল আর চিনি একসঙ্গে হাঁড়িতে নিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। চিনি আর নারিকেল থেকে পানি উঠবে। নাড়তে নাড়তে সেটা শুকিয়ে গেলে তাতে ফ্রেশ ক্রিম, গুঁড়া দুধ দিয়ে আবার নাড়তে হবে। মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিয়ে গরম থাকতে থাকতেই ছাঁচে কিংবা হাতে ইচ্ছেমতো শেপ দিয়ে দিন। তারপর ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।