হিন্দু ভাইদের কে বলছি...
আর এই প্রশ্ন গুলো মুসলিমদেরকে আমি করলাম যদি আপনাদের কাছে এই সকল প্রশ্ন সঠিক উত্তর থাকে তাহলে আমাকে যুক্তিসমন্তো উত্তর দিবেন...!
কেউ আপনাকে মুসলমান হতে বললেই, তাকে সঙ্গে সঙ্গে উল্টো প্রশ্ন করুন, আমাকে মুসলমান হতে হবে কেনো ? আমার ধর্ম কি খারাপ ? তোদের মধ্যে পুরুষেরা চারটা বিয়ে করতে পারে, এটা কি কোনো আদর্শ পরিবারের ছবি ? কোনো মুসলিম মেয়ের সাথে আপনি যদি কথা বলতে থাকেন, তাকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করুন, তুই কি চাস, তোর স্বামী আরেকটা বিযে করুক ? দেখবেন, তার মুখ সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর বলুন, পৃথিবীর কোনো মেয়েই তার স্বামীকে অন্য মেয়ের সাথে ভাগ করতে চায় না, কিন্তু ইসলামে এই সতীনের সংসারের বিধান আছে। এইভাবে কি কোনো সুখী পরিবার তৈরি করা সম্ভব ? না নিজে সুখ পাওয়া সম্ভব ? তারপর তাকে একটু ইসলামের ইতিহাসের জ্ঞান দিন; বলুন, জানিস, তোদের নবীর প্রিয় নাতি, হাসান, কেনো মরেছিলো ? চার বিয়ের বিধান পূর্ণ করতে তৃতীয় বিয়ে করায়, দ্বিতীয় স্ত্রী ওকে বিষ খাইয়ে মেরেছিলো। এখন তুই ই বল, ইসলামের এই চার বিয়ের বিধান কী বাস্তব সম্মত ? এই বিধানকে কি কোনো নারী মেনে নিতে পারে ? দেখবেন, ও স্তব্ধ হয়ে গেছে।
এরপর বলুন, শুধু তাই ই নয়, বিয়ের পর যখন তখন তালাক দিয়ে বউকে রাস্তায় বের করে দেওয়ার বিধানও ইসলামে আছে। এটা্ কি ন্যায় সঙ্গত ? প্রকৃতিগতভাবেই মেয়েরা পুরুষের তুলনায় পিতৃতান্ত্রিক সমাজে কিছুটা দুর্বল ও অসহায়, এরপর তাকে যদি যখন তখন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়, তখন তার যাওয়ার কোনো জায়গা থাকে ? তোরা বলিস ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা, এটা কি তার নমুনা ? কিন্তু হিন্দু ধর্মে এই তালাক দেওয়ার বিধান নেই, আর হিন্দু ছেলেরা, একটা বউ থাকতে দ্বিতীয় আর একটা বিয়ে করার চিন্তা কখনো করবে না। এখন তুই ই বল, কোন পরিবারে মেয়েরা সুখে আছে বা থাকবে, হিন্দু না মুসলিম ?
এই প্রশ্নের কোনো জবাব কোনো মুসলিম মেয়ে দিতে পারবে না বা দেবে না; কিন্তু তর্কের খাতিরে বলবে, ইসলাম নারীকে পিতার সম্পত্তির অধিকার দিয়েছে, কিন্তু হিন্দু ধর্ম দেয় নি। জবাবে বলবেন, দিয়েছে, কিন্ত পুরুষের অর্ধেক (কোরান, ৪/১১), বাংলাদেশে আমরা আর কয়টা হিন্দু বাস করি, আমাদের কথা বাদ দে, কিন্তু ভারত, যে ভারতে পৃথিবীর সমগ্র হিন্দুর প্রায় ৯০% এর বাস, সেই ভারতে কিন্তু পিতার সম্পত্তিতে হিন্দু ছেলের মেয়ের সমান অধিকার। এছাড়াও বাংলাদেশে অধিকাংশ হিন্দু পরিবার তাদের মেয়ের বিয়েতে যে পরিমান টাকা-পয়সা-গয়না, মেয়ের জন্য দেয়, তা কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে তার পাওনার চেয়েও অনেক বেশি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মাথার উপর তালাকের খড়গ ঝুলিয়ে তোকে যদি সোনার খাটে শুইয়ে রাখা হয়, তাহলে কি তোর ঘুম হবে ? প্রত্যকটা মুসলিম মেয়েকে সব সময় এই ভয়ে থাকতে হয় যে, কখন তাকে তালাক দিয়ে তার স্বামী তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় বা আরেকটা বিয়ে করে আনে ? কিন্তু কোনো হিন্দু মেয়ের এই টেনসন নেই। তাহলে কাদের পরিবার আদর্শ, আর কারা সুখী ? মুসলমান পুরুষরা যাতে যখন তখন তালাক দিতে না পারে, সেজন্যই তো বিয়ের সময় কাবিন নামায় বেশি করে দেনমোহর লিখে রাখে, যা তালাকের পর ছেলেদের মেয়েদেরকে দিতে হয়। এ প্রসঙ্গে আরো বলুন, ইসলাম ধর্ম কিন্তু কোনো মুসলিম মেয়ের সংসার টিকে থাকার গ্যারান্টি দেয় নি বা দিতে পারছে না, গ্যারান্টি আদায় করতে হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। তাহলে এখানে কিন্তু টাকা ই বড়, ইসলাম ধর্ম বড় নয়।
যখন তখন সংসার ভেঙ্গে যেতে পারে, এই ভয়ে মুসলিম মেয়েরা বিয়ের পর পরই বাচ্চা নেয় বা সিনিয়ররা মেয়েকে বাচ্চা নেওয়ার পরামর্শ দেয়, যাতে বাচ্চার কারণে সংসারটা টিকে যায়, এটাও কি জীবনের একটা অনিশ্চয়তা নয় ? হিন্দু মেয়েদের কিন্তু এসব চিন্তা নেই। তাহলে কোনটা ভালো ধর্ম ? আবার শুনি, দেনমোহরে যে নগদ টাকা লিখা থাকে সেই টাকা স্বামী, স্ত্রীকে না দিলে বা মাফ চেয়ে না নিলে স্বামীর নাকি স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ারও অধিকার নেই, এটা কি পতিতাবৃত্তির মতো হয়ে গেলো না ? আগে টাকা তারপর শরীর ? এখানে স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কোথায় ? বিয়ের সময় কুমারী মেয়েদের সম্মতি নেবার দরকার নেই, বলা আছে হাদিসে ( মুসলিম শরীফ, ৩৩০৭), মেয়েরা কি গরু ছাগল যে, যার হাতে খুশি দড়ি ধরিয়ে দিলো ? অনেক হিন্দু পরিবার আছে, যেখানে বাচ্চা-কাচ্চা না হলেও স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে নি বা করে না, এজন্য যে সংসারে অশান্তি হবে, এটা কি মুসলিম সমাজে সম্ভব ? একজন বন্ধ্যা নারীর প্রতি এই যে সম্মান, এটা কি ইসলাম দেয় ? ইসলামে তো বন্ধ্যা নারীকে বিয়ে করাই নিষেধ ( সুনান আবু দাউদ, ১১/২০১৪৫)
ইসলাম মানলে দেবর-ভাসুরের সাথে কথা পর্যন্ত বলা যাবে না (Sahih Bukhari 7:62:159)। ইসলাম কি মনে করে, মেয়েরা যার সাথে কথা বলবে তাকে নিয়েই বিছানায় শোবে ?
হিলা বিয়ের ব্যাপারটা তো জানিস, স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার তাকে নিতে চায়, তাহলে সেই স্ত্রীকে অন্য একজনকে বিয়ে করে তার সাথে কমপক্ষে একরাত সেক্স করে তারপর পুরোনো স্বামীর কাছে ফিরতে হবে (কোরান, ২/২৩০, মুসলিম শরীফ, ৩৩৫৪), এটা কি কোনো সভ্য আইন ? ইসলাম কি সকল মেয়েকে বেশ্যা বানাতে চায় ?
আরো বলবেন, তুই জানিস মুসলমান পুরুষরা কোন কারণ ছাড়াই স্ত্রীকে পেটাতে পারে এবং এর জন্য তাকে কোনোদিন জবাব দিহি করতে হবে না ? (বুখারি, ৮/৮২/৮২৮)। এটা সংসার, না নরক ? এভাবে কি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা গড়ে উঠতে পারে ?
ইসলাম নাকি নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা, তাহলে ইসলাম নারী নেতৃত্বকে স্বীকার করে না কেনো ? কেনো হাদিসে বলা হয়েছে, নারীর হাতে নেতৃত্ব দিলে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে ? (বুখারি, ১০/৬৬১৮)। এটাকে কি তোর সত্য বলে মনে হয় ? নারীর নেতৃত্বে কোনো দেশ ধ্বংস হয়েছে, দেখাতে পারবি ?
আবার শুনি ইসলামে জন্মনিয়ন্ত্রণ নিষেধ (সুনান আবু দাউদ, ১১/২০১৪৫)। এজন্য ইসলাম সঠিকভাবে মানলে কোনো নারীকে সারাজীবন সন্তানের জন্ম দিয়ে যেতে হবে, এটা কি মানুষের জীবন, না পশুর জীবন ?
বোরকা পড়ে বস্তায় বন্দী হওয়ার ব্যাপারটা তো আছেই। তোরা মনে করিস, বোরকা পরা ভালো, এতে পুরুষের কুদৃষ্টি থেকে নিজেকের রক্ষা করা যায়। আচ্ছা বলতো, চরিত্রহীন মুসলমান পুরুষদের মনকে কন্ট্রোল করার ভার মেয়েদেরকে নিতে হবে কেনো ? সভ্য শালীন পোষাক, যা পৃথিবীর সব দেশে চলে, সে রকম পোষাক প'রে শরীরে প্রকৃতির আলো বাতাস লাগানোর অধিকার কি আমার নেই ? যতই বোরকা পর বা শালীন পোষাক পর, কোনো মুসলমান পুরুষের সামনে গেলে ওরা যেভাবে মেয়েদের দিকে তাকায়, সাধারন ড্রেস পরে কোনো হিন্দু ছেলেদের সামনে গেলেও ওরা সেভাবে তাকায় না, তাহলে কাদের চরিত্র ভালো ?
স্বামীর ইচ্ছা হলেই নাকি তাকে দেহ ভোগ করতে দিতে হবে (মুসলিম ৮/২০/৩৩৬৬), আর সে যেভাবে খুশি সেভাবে ভোগ করবে (কোরান- ২/২২৩), ইসলামে মেয়েদের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনো মূল্য আছে ?
তোদের নবী, মেয়েদের মনে করতো অশুভ এবং ক্ষতিকর (বুখারি, ৭/৩০, ৩৩), সেটা জানিস ?
তোদের নবী, মেয়েদের মনে করতো অশুভ এবং ক্ষতিকর (বুখারি, ৭/৩০, ৩৩), সেটা জানিস ?
তোদের নবী বলেছে, মেয়েদেরকে মাখতে হবে গন্ধবিহীন পারফিউম (সুনান আবু দাউদ, ৩২/৪০৩৭) । এটা কি সম্ভব যে পারফিউম গন্ধবিহীন হবে? এই লোকটাকে তোরা নবী বলে মানিস কিভাবে ?
আরো বলবেন, তোদের মধ্যে এই যে পারিারিক বিয়ে (কোরান, ৩৩/৫০), চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো ভাই বোনকে, এটা কি বিজ্ঞানসম্মত ? আমি নিশ্চিত তোর কোনো না কোনো কাজিন তোকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছে, আর তোকে কামনা করে রাতে …., থাক আর বললাম না। কিন্তু আমার সকল কাজিন আমাকে বোনের মতোই দেখে। তাহলে কাদের কালচার শ্রেষ্ঠ ? মুসলমানদের, না হিন্দুদের ?
আরো বলবেন, তুই যদি কখনো রেপ হোস, তাহলে ইসলামী আইনে কি তুই তার বিচার পাবি ? ৪ জন পুরুষ সাক্ষীকে তুই কি যোগাড় করতে পারবি, যারা তোকে রেপ হতে দেখেছে ? (কোরান, ৪/১৫)। আর এটা কি সম্ভব, কাউকে সাক্ষী রেখে কোনো মেয়ের পক্ষে ধর্ষিতা হওয়া ? এর পরও কি তোর মনে হয় ইসলাম কোনো বাস্তব ধর্ম ?
আরো বলুন, তুই কি জানিস, ইসলাম তোর স্বামীকে তোর বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে সেক্স করার অধিকার দিয়েছে ? (কোরান, ৩৩/৫২)। এটা কি তুই সহ্য করতে পারবি ? কোনো মেয়ে এটা সহ্য করতে পারে ? এরকম জঘন্য একটি ধর্মকে তুই আমাকে গ্রহণ করতে বলছিস !
আরো বলুন, শুনেছি, ইসলামে গান শোনা, ছবি আঁকা, ছবি তোলা, কবিতা লিখা ও খেলাধুলা করা হারাম। এগুলো কি কোনো ক্ষতিকর জিনিস ? ইসলামে এগুলো নিষিদ্ধ কেনো ? আমি গান গাইতে চাই, শুনতে চাই, ছবি তুলতে চাই, ছবি আঁকতে চাই, কবিতা লিখতে চাই, খেলাধুলাও করতে চাই, বোরকায় বন্দী হয়ে থাকতে চাই না, সুতরাং ইসলাম আমার জন্য নয়।
আরো বলুন, তুই কি জানিস, ইসলাম,মুসলমানদেরকে, বিনা কারণে অমুসলিমদের ধন সম্পত্তি লুঠ করতে, তাদেরকে হত্যা করতে এবং মেয়েদেরকে ধরে এনে ধর্ষণ করার অনুমতি দিয়েছে ? (কোরান- ৪/২৪, ৮/১, ৮/৪১, ৮/৬৯)। যে ধর্মে এসব অমানবিক নির্দেশ থাকে, সেটাকে তোর কিভাবে সভ্য বলে মনে হয় ?
শেষ একটা আক্রমন যে প্রসঙ্গে করতে পারে, সেটা হলো, ইসলাম গ্রহন না করলে তো তুই বেহেশতে যেতে পারবি না। জবাবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে বলুন, তুই কি জানিস বেহশেতের রূপ কী ? বেহেশতে গিয়ে পুরুষরা কী করবে ? আর সেখানে মেয়েদের কাজ কী হবে ? এমনিতে মুসলিম মেয়েদের বেহেশতে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, তারপরও ধরে নিলাম, তোর স্বামীর সাথে তুই বেহেশতে গেলি, বেহেশতে তোর স্বামী পাবে কমপক্ষে ৭২টা হুর, হুর বুঝিস তো ? স্বর্গের বেশ্যা। আর কিছু গেলমান, গেলমান বুঝিস তো ? হিজড়া। তোর স্বামী ওদেরকে নিয়ে দিন রাত ফুর্তি করবে, আর তোকে সেটা বসে বসে দেখতে হবে। সহ্য করতে পারবি তো ? শুধু বসে বসে দেখা ই নয়, তোর স্বামী কার পর কাকে বিছানায় নিচ্ছে সেই হিসেব ও কিন্তু তোকে রাখতে হবে। এখন বল, বেহেশতে এত সুন্দরীকে পেলে তোর স্বামী কি তোর দিকে ফিরে তাকাবে ? এরপরও তুই কি বেহেশতে থাকতে পারবি ?
এত কথা শোনার এনার্জি আমার মনে হয় না কোনো মুসলমানের থাকবে, কিন্তু যখন যুদ্ধে নামা, তখন বেশি অস্ত্র নিয়ে নামা ই ভালো। যেগুলো বলেছি তার থেকে প্রসঙ্গ মতো ৩/৪ টা পয়েন্ট তুলে ধরতে পারলেই দেখবেন লেজ গুটিয়ে পালাবে বা বলবে, তোকে একদিন বড় হুজুরের কাছে নিয়ে যাবো, উনি তোকে এগুলোর জবাব দিতে পারবেন, যদি এই কথা বলে, তাহলেই বুঝবেন, আপনার জয় হয়েছে।
এই পুরো পোস্ট আমি লিখেছি একজন নারীর জবানীতে। কিন্ত এর মানে এই নয় যে, পুরুষেরা এভাবে জবাব দিতে পারবেন না। বিষয়গুলো জেনে নিয়ে জায়গা মতো প্রয়োগ করবেন, দেখবেন জয় আপনার নিশ্চিত। এছাড়াও যে ধরণের প্রশ্নের মুখে আপনার পড়েন, সেগুলো আমাকে জানাবেন, আমি তার উত্তর জানিয়ে দেবো।
------------------------------------------------------
------------------------------------------------------
উপরে যে রেফারেন্সগুলো দিয়েছি, সেগুলো দেখে নিন নিচে-
সম্পত্তি ভাগ : পুরুষের অংশ ২ জন মেয়ের সমান। -( কোরান, ৪/১১)
বিয়ের সম্মতি :
কুমারী বালিকার সম্মতি চাইতে হবে এবং নীরবতাই তার সম্মতি। (মুসলিম শরীফ, ৩৩০৭)
কুমারী বালিকার সম্মতি চাইতে হবে এবং নীরবতাই তার সম্মতি। (মুসলিম শরীফ, ৩৩০৭)
বন্ধ্যা নারীকে বিয়ে করা নিষেধ :
মালিক ইবনে ইয়াসার বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি নবীকে বললো, একটা উচ্চ বংশের সুন্দরী মেয়ে আছে, কিন্তু সে বন্ধ্যা। আমি কি তাকে বিয়ে করতে পারি ? নবী বললেন, না। সে নবীর কাছে আবার এলে নবী তাকে নিষেধ করলেন। সে তৃতীয়বার এলে নবী তাকে বললো, সেই মেয়েদের বিয়ে করো, যারা প্রেমময়ী ও উৎপাদন শীল। কারণ, আমি তোমাদের দিয়ে সংখ্যায় অন্যদের পরাস্ত করবো। ( সুনান আবুব দাউদ, ১১/২০৪৫)
মালিক ইবনে ইয়াসার বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি নবীকে বললো, একটা উচ্চ বংশের সুন্দরী মেয়ে আছে, কিন্তু সে বন্ধ্যা। আমি কি তাকে বিয়ে করতে পারি ? নবী বললেন, না। সে নবীর কাছে আবার এলে নবী তাকে নিষেধ করলেন। সে তৃতীয়বার এলে নবী তাকে বললো, সেই মেয়েদের বিয়ে করো, যারা প্রেমময়ী ও উৎপাদন শীল। কারণ, আমি তোমাদের দিয়ে সংখ্যায় অন্যদের পরাস্ত করবো। ( সুনান আবুব দাউদ, ১১/২০৪৫)
দেবর-ভাশুরের সাথে সম্পর্ক :
নারীর নিকট স্বামীর ভাই মরন সদৃশ। (Sahih Bukhari 7:62:159)
নারীর নিকট স্বামীর ভাই মরন সদৃশ। (Sahih Bukhari 7:62:159)
হিলা বিবাহ :
অতঃপর (তৃতীয়বার) সে যদি তাকে তালাক দেয়, সে আর তার জন্য বৈধ হবে না, যে পর্যন্ত সে অন্য ব্যক্তির সাথে বিবাহিত হবে। তারপর সে তাকে যদি তালাক দেয় এবং যদি উভয়ে মনে করে যে, তারা আল্লার সীমারেখা রক্ষাকরতে সমর্থ হবে,তবে তাদের পুনর্মিলনে অপরাধ হবে না।- (কোরান, ২/২৩০)
অতঃপর (তৃতীয়বার) সে যদি তাকে তালাক দেয়, সে আর তার জন্য বৈধ হবে না, যে পর্যন্ত সে অন্য ব্যক্তির সাথে বিবাহিত হবে। তারপর সে তাকে যদি তালাক দেয় এবং যদি উভয়ে মনে করে যে, তারা আল্লার সীমারেখা রক্ষাকরতে সমর্থ হবে,তবে তাদের পুনর্মিলনে অপরাধ হবে না।- (কোরান, ২/২৩০)
“না তা তুমি পারো না, যতক্ষণ না তোমার নতুন স্বামী তোমার মাধুর্য উপভোগ করছে এবং তুমি তার মাধুর্য উপভোগ না করছো। - (মুসলিম, ৩৩৫৪)
স্ত্রীকে প্রহার :
কোনো পুরুষ কোন কারণে তার স্ত্রীকে প্রহার করেছে, সে ব্যাপারে তাদেরকে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে না।- (বুখারি, ৮/৮২/৮২৮)
কোনো পুরুষ কোন কারণে তার স্ত্রীকে প্রহার করেছে, সে ব্যাপারে তাদেরকে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে না।- (বুখারি, ৮/৮২/৮২৮)
নারীর নেতৃত্ব :
সে জাতি কখনোই সফলকাম হবে না, যারা তাদের শাসনভার কোনো নারীর হাতে অর্পন করে। (বুখারি, ১০/৬৬১৮)
সে জাতি কখনোই সফলকাম হবে না, যারা তাদের শাসনভার কোনো নারীর হাতে অর্পন করে। (বুখারি, ১০/৬৬১৮)
সেক্সে নারীর অনিচ্ছার ফল :
যে নারী তার স্বামীর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ঘুমায় এবং তার স্বামী অসন্তষ্ট হয়ে রাত্রি যাপন করে, সেই নারীকে ফেরেশতারা সারা রাত্রি ধরে অভিশাপ দেয়।- (মুসলিম, ৮/২০/৩৩৬৬)
যে নারী তার স্বামীর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ঘুমায় এবং তার স্বামী অসন্তষ্ট হয়ে রাত্রি যাপন করে, সেই নারীকে ফেরেশতারা সারা রাত্রি ধরে অভিশাপ দেয়।- (মুসলিম, ৮/২০/৩৩৬৬)
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র , তাই তাতে যেভাবে খুশি গমন কর।- (কোরান, ২/২২৩)
নারী অশুভ ও ক্ষতিকর :
তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী বাড়ি আর ঘোড়া। (বুখারি- ৭/৩০)
আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর কিছু আর রইলো না। -(বুখারি, ৭/৩৩)
তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী বাড়ি আর ঘোড়া। (বুখারি- ৭/৩০)
আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর কিছু আর রইলো না। -(বুখারি, ৭/৩৩)
গন্ধবিহীন সুগন্ধি:
The perfume used by men should have an odour but no colour, and the perfume used by women should have a colour but no odour. Sunan Abu-Dawud, Book 32, Number 4037
The perfume used by men should have an odour but no colour, and the perfume used by women should have a colour but no odour. Sunan Abu-Dawud, Book 32, Number 4037
ইনসেস্ট বিবাহ :
তোমার সেই চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো ও খালাতো ভগ্নীদেরকেও হালাল করেছি, যারা তোমার সাথে হিজরত করে এসেছে।– (কোরান,৩৩/৫০)
তোমার সেই চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো ও খালাতো ভগ্নীদেরকেও হালাল করেছি, যারা তোমার সাথে হিজরত করে এসেছে।– (কোরান,৩৩/৫০)
ধর্ষিতার শাস্তি :
তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচার করে, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য হতে ৪ জন সাক্ষী তলব করবে, যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তাদের গৃহে অবরুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয়।- ( কোরান, ৪/১৫)
তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচার করে, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য হতে ৪ জন সাক্ষী তলব করবে, যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তাদের গৃহে অবরুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয়।- ( কোরান, ৪/১৫)
দাসীর সাথে স্বামীর সেক্স :
দাসী ব্যতীত আর কোনো স্বাধীন নারীকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করা বা অন্য কোনো নারীর সঙ্গে পরিবর্তন করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়, যদিও তাদের সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করে।-( কোরান, ৩৩/৫২)
দাসী ব্যতীত আর কোনো স্বাধীন নারীকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করা বা অন্য কোনো নারীর সঙ্গে পরিবর্তন করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়, যদিও তাদের সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করে।-( কোরান, ৩৩/৫২)
গনিমতে মাল সম্পর্কিত
তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের উপর অধিকার অর্জন করেছে সেইরূপ নারী ব্যতীত
অন্য কোনো সধবা নারী তোমাদের জন্য বৈধ নয়।- (কোরান, ৪/২৪)
তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের উপর অধিকার অর্জন করেছে সেইরূপ নারী ব্যতীত
অন্য কোনো সধবা নারী তোমাদের জন্য বৈধ নয়।- (কোরান, ৪/২৪)
এই গনিমতের মাল তো আল্লা এবং তার রসূলের। - (কোরান, ৮/১)
আর তোমরা জেনে রাখো যে, তোমরা যে গনিমতের মাল লাভ করেছো, তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ, তার রসূল এবং আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম মিসকিন ও পথিক মুসাফিরদের জন্য নির্দিষ্ট।- (কোরান, ৮/৪১)
অতএব তোমরা যা কিছু ধন মাল লাভ করেছো, তা খাও, তা হালাল এবং তা পবিত্র।- (কোরান, ৮/৬৯)
গান-বাজনা-ছবি আঁকা সংক্রান্ত হাদিস:
কবিতা থেকে পুঁজ উত্তম । (Sahih Muslim 28:5611)
বানর আর শুকর মানেই যারা পূর্বে বাধ্যযন্ত্র বাজাতো। (Sahih Bukhari 7:69:494)
যে রূপ পনি শস্য উৎপাদন করে, তদ্রুপ গান কপটতা জন্মায়।
যে ঘরে কুকুর ও ছবি আছে, সেই ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
নিশ্চয় জানিও আল্লার নিকটে তথা আখেরাতে সর্বাধিক কঠিন আজাব হবে ছবি তৈরি কারকদের।
যদি কেহ জীবজন্তুর ছবি অংকন করা হারাম জানা সত্ত্বেও উহা অংকন করে তবে সে কাফের হইয়া যায়।
মারহাবা!!!
কবিতা থেকে পুঁজ উত্তম । (Sahih Muslim 28:5611)
বানর আর শুকর মানেই যারা পূর্বে বাধ্যযন্ত্র বাজাতো। (Sahih Bukhari 7:69:494)
যে রূপ পনি শস্য উৎপাদন করে, তদ্রুপ গান কপটতা জন্মায়।
যে ঘরে কুকুর ও ছবি আছে, সেই ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
নিশ্চয় জানিও আল্লার নিকটে তথা আখেরাতে সর্বাধিক কঠিন আজাব হবে ছবি তৈরি কারকদের।
যদি কেহ জীবজন্তুর ছবি অংকন করা হারাম জানা সত্ত্বেও উহা অংকন করে তবে সে কাফের হইয়া যায়।
মারহাবা!!!
(আকাশ ভাইয়ের ফেইসবুক থেকে)
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।