এ অবস্থায় আপনি আপনার বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন হ্যান্ডি স্যানিটাইজার।
উপকরণঃ
১. এ্যালোভ্যারা বা ঘৃতকুমারী
২ ইথাইল এলকোহল (স্পিরিট) বা আইসোপ্রোপাইল এলকোহল (৭০%)
৩. ভিটামিন ই ক্যাপসুল (অপশনাল)
হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির দুটো মূল উপাদান হলো মিথাইল এলকোহল (স্পিরিট) ও এ্যালোভ্যারা জেল। Centers for Disease Control and Prevention (CDC)-এর সাজেশন অনুসারে এই মিশ্রনে স্পিরিটের অনুপাত হবে কম্পক্ষে ৭০%।ইথাইল এলকোহল (স্পিরিট)ফার্মেসীতে পাওয়া যায়।এর বিকল্প হিসেবে ডেটল লিকুইডও ব্যবহার করা যায়।তবে ডেটলের চেয়ে স্পিরিট বেশি কার্যকর। মিথাইল এলকোহল জীবানু নষ্ট করে।তবে শুধু স্পিরিট দিয়ে হাত পরিষ্কার করলে হাত শুষ্ক-খসখসে হয়ে যায়।তাই এর সাথে এ্যালোভ্যারা জেল মিশালে তা ত্বককে মসৃন ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।ভিটামিন ই ক্যাপ এ্যালোভ্যারা জেলটাকে ভাল রাখতে প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে।তা না হলে কয়েকদিন পর জেলটা নষ্ট হয়ে যায় এবং একটা বিশ্রি গন্ধ বের হয়।
প্রণালী:
৪০০এমএল হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জন্য একটি আস্ত এ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ডগা লাগবে।ডগাটি প্রথমে ভাল করে ধুইয়ে এর উপরের ত্বক চাকু দিয়ে তুলে নিন।এরপর একটি কাঁটা চামচ দিয়ে জেলটাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নরম করে নিন।এরপর একটা চামচ দিয়ে জেলটাকে একটা পরিষ্কার পাত্রে তুলে নিন। এরপর এটিকে হাত দিয়ে ভাল করে ম্যাশ করে নিন যাতে এটি জমাটবদ্ধ না থাকে।এরপর এর সাথে ৪০০ এমজির চারটি ভিটামিন ই ক্যাপুসুলের ভিতরে থাকা জেল মিশিয়ে নিন।এখন এর সাথে স্পিরিট মিশিয়ে নিন যাতে ৪শ এমএল’র পাত্রটি পূর্ণ হয়ে যায়।কাঁটা চামচ দিয়ে কিছুক্ষণ জমাট হয়ে থাকা জেলটা নেড়ে নিন।এরপর ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন, তাহলে এদুটোর বিক্রিয়ায় একটি তরলে পরিণত হবে এবং জমাটবদ্ধ থাকবে না।
তৈরি হয়ে গেলো আপনার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও সবচেয়ে উৎকৃষ্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার।এখন এটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে ব্যবহার করুন নিশ্চিন্তে। যখন ট্রাভেল করবেন তখন এটি সঙ্গে রাখুন। এটি হাতে এপলাই করার পর হাত ধোয়ার প্রয়োজন নেই। তবে আপনার ২০-৩০ সেকেন্ড হাত ভালো করে ডলে ডলে ঘষতে হবে। তাতে জীবাণু মোর যাবে।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।