Thursday, February 13, 2020

Home
UHC নিউজ
বাংলাদেশ
ভারত
সচেতনতা
হিন্দু একতা
পার্বত্য সমস্যার সমাধানের জন্য জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা এখন ভারতে!
পার্বত্য সমস্যার সমাধানের জন্য জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা এখন ভারতে!
৯৭২ সালে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (PCJSS) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ভারতে এসেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থন আদায়ের জন্যে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সন্তু লারমার নেতৃত্ব সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিগুলো মেনে না নিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয়। ফলে চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এখনো সমাপ্ত করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
এদিকে জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমার অভিযোগ, “সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে আগ্রহী নয়, তারা বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে।”
ফলে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্যে এবার তিনি ভারতে চিকিৎসার খাতিরে এসেছেন এই আড়ালে নয়া দিল্লিতে উপস্থিত হয়ে শীঘ্রই সরকারি মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করতে চাইছেন।
তাঁর একান্ত বিশ্বাস ভারত সরকারের সমর্থন তিনি পাবেন।
উল্লেখযোগ্য যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “তামিলদের আরও স্বায়ত্তশাসনের জন্য দেশটির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে, সেভাবে লারমা নয়া দিল্লিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাইছেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে একই ভূমিকা ভারত পালন করলে উপকার হবে।
তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র নর্থ ইস্ট নাও’ কে জানিয়েছে যে পিসিজেএসএস এবং এর সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনী বিদ্রোহ ছেড়ে দিয়েছিল এবং লারমা ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সাথে চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য ভারতের “সুস্পষ্ট আশ্বাস” গ্রহণ করে স্বাক্ষর করে।
“তবে ২০০০-০৬ সালে হাসিনার উত্তরসূরি সরকার অ্যাকর্ডকে হ্রাস করে দিয়েছিল এবং সেনাবাহিনীকে ভারত ও মায়ানমারের সীমান্তবর্তী পার্বত্য অঞ্চল পরিচালনা করার জন্য কার্যকর ক্ষমতা প্রদান করেছিল। এরপর ফের হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরও এই অঞ্চলে বেসামরিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করেননি এবং এই বিষয়ে তিনি সেনাবাহিনীকে হতাশ করতে চাননি।”
পিসিজেএসএসের শীর্ষ নেতা এই কথা জানিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে।
এদিকে বসতি স্থাপনকারীরা এখন সিএইচটি-র জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি। কিন্তু আদিবাসী উপজাতি লোকেরা জমি ও জীবিকার ক্ষতি আশংকায় এ মুহূর্তে ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে।
চিটাগং হিল ট্রাকটস (CHT) ইস্যু নিয়েই লারমা ভারতের দুই সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইছেন। এবং তিনি যথেষ্ট আশাবাদী মোদি সরকারের ওপর যে CHT চুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্যে ভারত, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করবে, যেভাবে তামিল ইস্যু নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে করছে।
প্রসঙ্গত পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি পাহাড়ীদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্পাদিত একটি শান্তি চুক্তি।
সূত্রঃ North East Now
Tags
# UHC নিউজ
# বাংলাদেশ
# ভারত
# সচেতনতা
# হিন্দু একতা
Share This

About Joy Shaw
হিন্দু একতা
Tags:
UHC নিউজ,
বাংলাদেশ,
ভারত,
সচেতনতা,
হিন্দু একতা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
অন্যান্য
Post Bottom Ad
Author Details
সত্য ও সঠিক ইনফর্মেশনে সম্মৃদ্ধ একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম।বিশ্বব্যাপী হিন্দুর গৌরব তুলে ধরতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ।
বাংলাদেশের কোনো ব্যাপারে সিন্ধান্ত ভারত নিবে কেন? আমরা তো কোনো দেশের ব্যাপারে সিন্ধান্ত নেই না। সন্তু লারমা বাংলাদেশের নাগরিক তো? নাকি উনার বাংলাদেশ ভালো লাগে না? দেশের আমাদের সিন্ধান্ত ও আমাদের। বাংলাদের আমাদের মাতৃভূমি, বাংলাদেশ আমার আপনার। তাই আমাদের দেশের সার্থ আগে দেখতে হবে। এইদেশে হিন্দু মুসলমান কোনো সমস্যা না। কোনো ধর্মই খারাপ না। সমস্যা আমাদের চিন্তা ভাবনা। আমাদের এই নিচ চিন্তা ভাবনার কারনেই আমাদের দ্বারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
ReplyDelete