বাংলাদেশে জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকায় দুই সন্তান, স্ত্রী ও মাকে আমেরিকায় রেখে আসছেন বলে জানিয়েছেন সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে ফেসবুক লাইভ নিয়ে আলোচনায় আসা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে আমি সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছি। এ বাড়েই প্রথম আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার বউ বাচ্চা আমেরিকায় রেখে যাচ্ছি। আমার সম্ভাবনা, আমি যদি বেঁচে না থাকি তাহলে আমি চাইনা আমার পরবর্তী প্রজন্ম ওইভাবে সাফার করুক। ওরা যেন আমাকে দোষারোপ করতে না পারে। আমার দুই বাচ্চা, আমার মা এবং আমার বউ আমেরিকায় রেখে যাচ্ছি। আমি যদি কখনও ফিরে আসতে না পারি, পৃথিবীতে বেঁচে না থাকি, তাহলে আপনারা তাদের খেয়াল রাখবেন।
বৃহস্পতিবার নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে আমেরিকায় প্রবাসীদের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সুমন। পরে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যটির ভিডিও নিজ ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন তিনি।
বাংলাদেশের ভালো যারা চেয়েছেন তারা বেশিদিন বাঁচতে পারেনি উল্লেখ করে সুমন বলেন, আপনারা জানেন, বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, যারা বাংলাদেশের ভালো চেয়েছেন তারা কেউ বেঁচে থাকতে পারেন নাই। যারা বিএনপি করে তাদের উদ্দেশ্যে বলি- জিয়াউর রহমান বেচে থাকতে পারেন নাই। যারা আওয়ামী লীগ করেন- বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে পারেন নাই। শেখ হাসিনার উপর এ পর্যন্ত ১৯/২০ বার হামলা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাও যদি বেঁচে থাকতো তাহলেও বাংলাদেশ এতো পিছনে থাকতো না।
বাংলাদেশী এই আইনজীবী বলেন, নুসরাত হত্যার পর ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে যখন মামলা করেছিলাম তখন আমার প্রতিপক্ষ আইনজীবী বলেছিলন, মাইলর্ড- ব্যারিস্টার সুমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসার জন্য এসব করেছে। আমি পরের দিন মহামান্য আদালতকে বলেছিলাম, শেখ হাসিনার নজরে পড়ার জন্য আমার মত মানুষ যদি আরো দাঁড়িয়ে যেত তাহলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেত। অনেকে বলেন বাংলাদেশে মাইনোরিটি হচ্ছে হিন্দু। আবার অনেকে বলেন বাংলাদেশে মাইনোরিটি মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা। কিন্তু আমি বলি এরা কেউ মাইনোরিটি সম্প্রদায় নয়। মাইনোরিটি হলো সত্যতা। সত্য বলার লোক বাংলাদেশে অনেক কম।বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হচ্ছে সৎ মানুষগুলো।
নোট: অথচ আমেরিকায় একটি মানবাধিকার সম্মেলনে প্রিয়া সাহা যখন বাংলাদেশের নির্যাতিতদের জন্য কথা বলেছিলেন তখন এই সুমন তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন। আজ তিনি নিজেই তার ও পরিবারের জীবন রক্ষার্থে আমেরিকায় পালিয়ে গেলেন। আজ হয়তো ব্যারিস্টার সুমন প্রিয়া সাহা ও এদেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের যন্ত্রনা বুঝতে সমর্থ হয়েছেন।
ইত্তেফাক/আরআই অবলম্বনে
কথা,কাজ,হৃদয় আর মন যদি সততায় যায় তো বলবো খুব ভাল লোকটি...।
ReplyDeleteযে প্রিয়া সাহার নামে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করে নিজেই পরিবার নিয়ে আমেরিকায় পালিয়ে গেলো সে ভালো লোক হয় কি করে? তার মানে সে সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি। প্রিয়া সাহা রাষ্ট্রদ্রোহী হলে সে তার চেয়ে বেশি রাষ্ট্রদ্রোহী।
Delete