শক্তি পীঠ কি ? কিভাবে ইহা সৃষ্টি হয়েছিল ? শক্তি পীঠের সংখ্যা কয়টি ? এগুলো কোথায় কোথায় অবস্থিত ? - UHC বাংলা

UHC বাংলা

...মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম!

ব্রেকিং নিউজ

Home Top Ad

Friday, September 20, 2019

শক্তি পীঠ কি ? কিভাবে ইহা সৃষ্টি হয়েছিল ? শক্তি পীঠের সংখ্যা কয়টি ? এগুলো কোথায় কোথায় অবস্থিত ?

 সত্য যুগের কোনও এক সময়ে মহাদেবের উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য দক্ষ রাজা বৃহস্পতি নামে এক যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। দক্ষ তার কন্যা সতী দেবী তার (দক্ষর) ইচ্ছার বিরুদ্ধে 'যোগী' মহাদেবকে বিবাহ করায় ক্ষুব্ধ ছিলেন। দক্ষ মহাদেব ও সতী দেবী ছাড়া প্রায় সকল দেব-দেবীকে নিমন্ত্রন করেছিলেন। মহাদেবের অনিচ্ছা স...ত্ত্বেও সতী দেবী মহাদেবের অনুসারীদের সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।

কিন্ত্তু সতী দেবী আমন্ত্রিত অতিথি না হওয়ায় তাকে যথাযোগ্য সম্মান দেয়া হয়নি। অধিকন্ত্তু দক্ষ মহাদেবকে অপমান করেন। সতী দেবী তার স্বামীর প্রতি পিতার এ অপমান সহ্য করতে না পেরে তার যোগীর শক্তির উত্থান ঘটিয়ে আত্মাহুতি দেন।
শোকাহত মহাদেব রাগান্বিত হয়ে দক্ষর যজ্ঞ ভন্ডুল করেন এবং সতী দেবীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। অন্যান্য দেবতা অনুরোধ করে এই নৃত্য থামান এবং বিষ্ণু দেব তার সুদর্শন চক্র দ্বারা সতী দেবীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখন্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে এবং পবিত্র পীঠস্থান শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিতি পায়।
শক্তিপীঠ হিন্দুধর্মের পবিত্রতম তীর্থগুলির অন্যতম। লোকবিশ্বাস অনুসারে, শক্তিপীঠ নামাঙ্কিত তীর্থগুলিতে দেবী দাক্ষায়ণী সতীর দেহের নানান অঙ্গ প্রস্তরীভূত অবস্থায় রক্ষিত আছে। সাধারণত ৫১টি শক্তিপীঠের কথা বলা হয়ে থাকলেও, শাস্ত্রভেদে পীঠের সংখ্যা ও অবস্থান নিয়ে

মতভেদ আছে। পীঠনির্ণয় তন্ত্র গ্রন্থে শক্তিপীঠের সংখ্যা ৫১। শিবচরিত গ্রন্থে ৫১টি শক্তিপীঠের পাশাপাশি ২৬টি উপপীঠের কথাও বলা হয়েছে। কুব্জিকাতন্ত্র গ্রন্থে এই সংখ্যা ৪২। আবার জ্ঞানার্ণবতন্ত্র গ্রন্থে পীঠের সংখ্যা ৫০ !
ভারতীয় উপমহাদেশের নানা স্থানে এই শক্তিপীঠগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কলকাতার কালীঘাট, বীরভূমের বক্রেশ্বর, নলহাটি; বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভবানীপুর ইত্যাদি বাংলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিপীঠ।
চার আদি শক্তিপীঠ:
কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থাবলী যেমন শিব পুরাণ, দেবী ভাগবত, কলিকা পুরাণ এবং 'অষ্টশক্তি' শনাক্ত করে চারটি প্রধান শক্তিপীঠ (কেন্দ্র), যেমন বিমলা (পদ কাণ্ড) (ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অভ্যন্তরে), তারা তারিণী (স্থান কাণ্ড, পূর্ণগিরি, স্তন) (ওড়িশার বহরমপুরের নিকটে), কামাক্ষ্যা (যোনি কাণ্ড) (আসামের গৌহাটির নিকটে) এবং দক্ষিণা কালিকা (মুখ কাণ্ড) (কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ) যেগুলি সত্য যুগে সতী মাতার মৃতদেহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছিল।
চার আদি শক্তিপীঠের তালিকা:
ক্রমিক নং স্থান দেহ খণ্ড বা অলঙ্কার শক্তি:
১. ওড়িশার পুরীতে (জগন্নাথ মন্দির চত্বরের ভিতরে) - পদ বিমলা
২. বহরমপুর-ওড়িশার নিকট-স্তন খণ্ড তারা তারিণী
৩ গৌহাটি-আসাম-যোনি খণ্ড, কামাক্ষ্যা
৪. কালীঘাট, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ-মুখ খণ্ড, দক্ষিণাকালী


কালীঘাট কালী মন্দিরের মা কালীর মূর্তি

  
  "শক্তি" অর্থাৎ প্রত্যেক "স্থানে" পূজিত দেবী, যিনি দাক্ষায়ণী, দুর্গা বা পার্বতীর বিভিন্ন রূপ;
"দেহ খণ্ড বা অলঙ্কার" অর্থাৎ সতী দেবীর শরীরের বিভিন্ন অংশ বা অলঙ্কার যা শ্রী বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা ছেদনের পর সেই "স্থানে" পতিত হয়েছিল এবং মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
সকল শক্তিপীঠসমূহে শক্তিদেবী ভৈরবের সাথে অবস্থান করেন। শক্তিপীঠের সংখ্যা ৫১ টি।
নিম্নের তালিকায়:

•"শক্তি" অর্থাৎ প্রত্যেক "স্থানে" পূজিত দেবী, যিনি দক্ষিয়াণী, দুর্গা বা পার্বতীর বিভিন্ন রুপ;
• "ভৈরব" অর্থাৎ ঐ দেবীর স্বামী (সঙ্গী), যারা প্রত্যেকেই শিবের বিভিন্ন অবতার (রুপ);
• "দেহ খন্ড বা অলঙ্কার" অর্থাৎ সতী দেবীর শরীরের বিভিন্ন অংশ বা অলঙ্কার যা শ্রী বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা ছেদনের পর সেই "স্থানে" পতিত হয়েছিল এবং মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ।

(১) স্থান - বৈদ্যনাথধাম, দেবঘর, ঝাড়খন্ড, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - হৃদয় বা হৃদপিন্ড
শক্তি – জয়দুর্গা
ভৈরব – বৈদ্যনাথ

(২) স্থান - নাইনাতিভু, জাফনা, শ্রীলঙ্কা
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - নূপুর
শক্তি – ইন্দ্রাক্ষী
ভৈরব – রাক্ষসেশ্বর

(৩) স্থান - সুক্কর স্টেশনের নিকট, করাচী, পাকিস্তান
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - চক্ষু
শক্তি – মহিষমর্দিনী
ভৈরব – ক্রোধিশ

(৪) স্থান - সুগন্ধা, শিকারপুর, গৌরনদী, সন্ধ্যা নদীর তীরে, বরিশাল শহর হতে ২০ কি.মি. দূরে, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - নাসিকা
শক্তি – সুগন্ধা
ভৈরব – ত্রয়ম্বক

(৫) স্থান - অমরনাথ, কাশ্মীর, শ্রীনগর হতে পহলগাম এর মধ্য দিয়ে বাসে ৯৪ কি.মি., ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - গলা
শক্তি – মহামায়া
ভৈরব – ত্রিসন্ধ্যেশ্বর

(৬) স্থান - জ্বালামুখী, কাঙ্গড়া, হিমাচল প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - জিহ্বা
শক্তি – সিদ্ধিদা (অম্বিকা)
ভৈরব – উন্মত্ত ভৈরব

(৭) স্থান - জালংধর, পাঞ্জাব, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম বক্ষ
শক্তি – ত্রিপুরমালিনী
ভৈরব – ভীষণ

(৮) স্থান - গুহেশ্বরী মন্দির, পশুপতিনাথ মন্দিরের নিকট, নেপাল
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - উভয় হাঁটু
শক্তি – মহাশিরা
ভৈরব – কাপালী

(৯) স্থান - মানস, মানসরোবর হ্রদে কৈলাশ পর্বতের পাদদেশে, তিব্বত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান হাত
শক্তি – দক্ষিয়ানী
ভৈরব – অমর

(১০) স্থান - বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - নাভি
শক্তি – মাতা সর্বমঙ্গলা দেবী
ভৈরব – ভগবান শিব/মহাদেব

(১১) স্থান - গন্ধকী, মুক্তিনাথ মন্দির, গন্ধকী নদী তীরে, পোখরা, নেপাল
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - মস্তিষ্ক
শক্তি – গন্ধকী চণ্ডী
ভৈরব – চক্রপাণি

(১২) স্থান - বেহুলা, কেতুগ্রাম, অজয় নদীর তীরে, কটোয়া হতে ৮ কি.মি., বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম হাত
শক্তি – বেহুলা দেবী
ভৈরব – ভীরুক

(১৩) স্থান - উজ্জনি, গুস্করা স্টেশন হতে ১৬ কি.মি., বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান কব্জি
শক্তি – মঙ্গল চন্দ্রিকা
ভৈরব – কপিলাম্বর

(১৪) স্থান - উদয়পুর, রাধাকিশোরপুর গ্রামের নিকট পাহাড় চূড়ায়, উদয়পুর, ত্রিপুরা, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান পা
শক্তি – ত্রিপুরা সুন্দরী
ভৈরব – ত্রিপুরেশ

(১৫) স্থান - চন্দ্রনাথ মন্দির, চন্দ্রনাথ পর্বত শিখর, সীতাকুণ্ড স্টেশনের নিকট, চট্টগ্রাম জেলা, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান হাত
শক্তি – ভবানী
ভৈরব – চন্দ্রশেখর

(১৬) স্থান - জলপেশ মন্দিরের নিকট, জলপাইগুড়ি জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম পা
শক্তি – ভ্রামরী
ভৈরব – অম্বর

(১৭) স্থান - কামগিরি, কামাক্ষ্যা, নীলাচল পর্বত, গৌহাটি, আসাম, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - যোনী
শক্তি – কামাক্ষ্যা
ভৈরব – উমানন্দ

(১৮) স্থান - যোগাধ্যা, খীরগ্রাম, বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল
শক্তি – যোগাধ্যা
ভৈরব – ক্ষীর খন্ডক

(১৯) স্থান - কালীপীঠ, কালীঘাট, কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান পায়ের আঙ্গুল
শক্তি – কালিকা
ভৈরব – নকুলেশ্বর

(২০) স্থান - প্রয়াগ, সঙ্গমের নিকট, এলাহাবাদ, উত্তর প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - হাতের আঙ্গুল
শক্তি – ললিতা/মাধবেশ্বরী
ভৈরব – ভব

(২১) স্থান - জয়ন্তীয়া, কালাজোড় গ্রাম, জয়ন্তীয়া থানা, সিলেট জেলা, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম জঙ্ঘা
শক্তি – জয়ন্তী
ভৈরব – ক্রমাদিশ্বর

(২২) স্থান - কিরীট, কিরীটকোন গ্রাম, লালবাগ কোর্ট রোড স্টেশন হতে ৩ কি.মি., মুর্শিদাবাদ জেলা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - মুকুট
শক্তি – বিমলা
ভৈরব – সাংবর্ত

(২৩) স্থান - বারাণসী, গঙ্গাতীরে মনিকর্ণিকা ঘাট, কাশী, উত্তর প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - কানের দুল
শক্তি – বিশালাক্ষী ও মনিকর্ণী
ভৈরব – কালভৈরব

(২৪) স্থান - কন্যাশ্রম, কন্যাকুমারী, ভদ্রকালী মন্দির, কুমারী মন্দির, তামিলনাড়ু, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - পীঠ
শক্তি – সর্বাণী
ভৈরব – নিমিষ

(২৫) স্থান - বর্তমান কুরুক্ষেত্র বা প্রাচীন থানেশ্বর, হরিয়ানা, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - গোড়ালির হাড় বা গুল্ফ
শক্তি – সাবিত্রী
ভৈরব – স্থনু

(২৬) স্থান - মণিবন্ধ, অজমের এর ১১ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে, পুষ্করের নিকট গায়ত্রী পর্বতে, রাজস্থান, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - দুই হাতের বালা
শক্তি – গায়ত্রী
ভৈরব – সর্বানন্দ

(২৭) স্থান - শ্রীশৈল, জৈনপুর গ্রাম, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট শহরের ৩ কি.মি. উত্তর-পূর্বে, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - গলা
শক্তি – মহালক্ষ্মী
ভৈরব – সম্বরানন্দ

(২৮) স্থান - কঙ্কালীতলা, কোপই নদী তীরে, বোলপুর স্টেশন হতে ১০ কি.মি. উত্তর-পূর্বে, বীরভূম জেলা, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - অস্থি বা হাড়
শক্তি – দেবগর্ভা
ভৈরব – রুরু

(২৯) স্থান - কালমাধব, পাহাড়ের উপরে গুহার ভিতর শোন নদীর তীরে, অমরকন্টক, মধ্য প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম নিতম্ব
শক্তি – কালী
ভৈরব – অসিতাঙ্গ

(৩০) স্থান - শোন্দেশ, অমরকন্টক, নর্মদা নদীর উত্স এর নিকট, মধ্য প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান নিতম্ব
শক্তি – নর্মদা
ভৈরব – ভদ্রসেন

(৩১) স্থান - রামগিরি, চিত্রকুট, জানসী-মাণিকপুর রেলওয়ে লাইনে, উত্তর প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান বক্ষ বা স্তন
শক্তি – শিবানী
ভৈরব – চন্দা

(৩২) স্থান - বৃন্দাবন, ভূতেশ্বর মহাদেব মন্দির, মথুরার নিকট বৃন্দাবন, উত্তর প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - কেশগুচ্ছ/চূড়ামণি
শক্তি – উমা
ভৈরব – ভূতেশ

(৩৩) স্থান - শুচি, শুচিতীর্থম শিব মন্দির, কন্যাকুমারী ত্রিভানড্রাম রোড, তামিলনাড়ু, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - উপরের দাঁতসমূহ
শক্তি – নারায়ণী
ভৈরব – সংহার

(৩৪) স্থান - পঞ্চসাগর, অজ্ঞাত (হরিদ্বারের নিকট বলে মনে করা হয়)
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - নীচের দাঁতসমূহ
শক্তি – বরাহী
ভৈরব – মহারুদ্র

(৩৫) স্থান - ভবানীপুর, করতোয়া নদীর তীরে, শেরপুর উপজেলা হতে ২৮ কি.মি. দূরে, বগুড়া জেলা, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম পায়ের নূপুর
শক্তি – অর্পনা
ভৈরব – বামন

(৩৬) স্থান - শ্রীপর্বত, লডাখের নিকট, কাশ্মীর, ভারত; মতান্তরে: শ্রীশৈল, কুর্ণুল জেলা, অন্ধ্র প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান পায়ের নূপুর
শক্তি – শ্রীসুন্দরী
ভৈরব – সুন্দরানন্দ

(৩৭) স্থান - বিভাষ, তামলুক, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম পায়ের নূপুর
শক্তি – কপালিনী (ভীমরুপ)
ভৈরব – সর্বানন্দ

(৩৮) স্থান - প্রভাস, বেরাবল স্টেশন হতে ৪ কি.মি. সোমনাথ মন্দিরের নিকট, জুনাগড় জেলা, গুজরাট, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - পাকস্থলী
শক্তি – চন্দ্রভাগা
ভৈরব – বক্রতুণ্ড

(৩৯) স্থান - ভৈরব পর্বত, শিপ্রা নদী তীরে ভৈরব পাহাড়ে, উজ্জয়িনী শহর হতে একটু দূর, মধ্য প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - উপরের ওষ্ঠ
শক্তি – অবন্তী
ভৈরব – লম্বকর্ণ

(৪০) স্থান - বাণী, নাসিক, মহারাষ্ট্র, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - চিবুক/থুতনি
শক্তি – ভ্রামরী
ভৈরব – বিকৃতাক্ষ

(৪১) স্থান - সর্বশৈল বা গোদাবরীতীর, কোটিলিঙ্গেশ্বর মন্দির, গোদাবরী নদী তীর, রাজামুন্দ্রী, অন্ধ্র প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - গাল
শক্তি – রাকিনী বা বিশ্বেশ্বরী
ভৈরব – বত্সনাভ বা দণ্ডপাণি

(৪২) স্থান - বিরাট, ভরতপুরের নিকট, রাজস্থান, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম পায়ের আঙ্গুল
শক্তি – অম্বিকা
ভৈরব – অমৃতেশ্বর

(৪৩) স্থান - রত্নাবলী, রত্নাকর নদী তীর, খানাকুল-কৃষ্ণনগর, হুগলী জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ডান স্কন্ধ বা কাঁধ
শক্তি – কুমারী
ভৈরব – শিব

(৪৪) স্থান - মিথিলা, জনকপুর রেলওয়ে স্টেশনের নিকট, ভারত-নেপাল সীমান্তে
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - বাম স্কন্ধ বা কাঁধ
শক্তি – উমা
ভৈরব – মহোদর

(৪৫) স্থান - নলহাটী, নলহাটী স্টেশনের নিকট, বীরভূম জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - শ্বাসনালীসহ কন্ঠনালী
শক্তি – কালিকা দেবী
ভৈরব – যোগেশ

(৪৬) স্থান - কর্নাট, কঙ্গরা, হিমাচল প্রদেশ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - উভয় কর্ণ বা কান
শক্তি – জয়দুর্গা
ভৈরব – অভিরু

(৪৭) স্থান - বক্রেশ্বর, পাপহর নদী তীরে, শিউরী শহর হতে ২৪ কি.মি., দুবরাজপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে ৭ কি.মি.,বীরভূম জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ভ্রুযুগলের মধ্যবর্তী অংশ
শক্তি – মহিষমর্দিনী
ভৈরব – বক্রনাথ

(৪৮) স্থান - যশোরেশ্বরী, ঈশ্বরীপুর, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা জেলা, বাংলাদেশ
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - হাতের তালু ও পায়ের পাতা
শক্তি – যশোরেশ্বরী
ভৈরব – চন্দা

(৪৯) স্থান - অট্টহাস গ্রাম, দক্ষিণীদিহি, বর্ধমান জেলা, কাটোয়া রেলওয়ে স্টেশনের নিকট, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ওষ্ঠ বা ঠোঁট
শক্তি – ফুল্লরা
ভৈরব – বিশ্বেশ

(৫০) স্থান - নন্দিকেশ্বরী মন্দির, সৈন্থিয়া, বীরভূম জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতদেহ খন্ড বা
অলঙ্কার - গলার হার (অলঙ্কার)
শক্তি – নন্দিনী
ভৈরব – নন্দিকেশ্বর

(৫১) স্থান - হিংলাজ বা হিঙ্গুল, করাচী হতে প্রায় ১২৫ কি.মি. উত্তর-পূর্বে, পাকিস্তান
দেহ খন্ড বা অলঙ্কার - ব্রহ্মারন্ধ্র (মস্তিষ্কের অংশ)
শক্তি – কোট্টরী
ভৈরব – ভীমলোচন !
 


বিস্তারিত দেখুন উইকিপিডিয়াতে
আরো দেখুনঃ ইউনাইটেড হিন্দু কনসার্ন ফেইসবুক পেইজে

No comments:

Post a Comment

পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।

অন্যান্য

Post Bottom Ad

আকর্ষণীয় পোস্ট

code-box