শ্রীলংকাকে অনুসরণ করে সারা বিশ্বে বোরখা নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎঃ তসলিমা নাসরিন - UHC বাংলা

Untitled+2

...মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম!

Home Top Ad

Thursday, May 2, 2019

demo-image

শ্রীলংকাকে অনুসরণ করে সারা বিশ্বে বোরখা নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎঃ তসলিমা নাসরিন

আমেরিকার টুইন টাওয়ার এবং ভারতের মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার পর গত কয়েক দিন আগে শ্রীলংকায় খ্রিস্টানের ইস্টার সানডে তে গির্জায় জঙ্গি হামলা ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম হামলা।  এই হামলায় নারী শিশু বৃদ্ধ বৃদ্ধা সহ এ পর্যন্ত ৩৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামী সন্ত্রাসবাদী গ্রুপ আইএস। এই হামলার ভিডিওতে দেখা গেছে হামলা করার পর কয়েক জন জঙ্গি বোরখা পরে পালিয়ে যায়। বোরখার সাথে জঙ্গিবাদের সূত্র ধরে শ্রীলঙ্কা সেদেশে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে। গত সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে  এই নিষেধাজ্ঞা। শুধু তাই নয়, মুখ ঢাকা কোনও পোশাক পরা যাবে না বলে গতকাল রবিবার ডিক্রি জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বোরকা নিষিদ্ধ করা নিয়ে সোশ্যাল সাইটে মুখ খুলেছেন আলোচিত সমালোচিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন।শুধু শ্রী লঙ্কা নয় পৃথিবীর অন্তত ১৮টি দেশে বোরখা নিষিদ্ধ। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয় ফ্রান্স প্রথম কোনো ইউরোপীয় দেশ যেখানে ২০১১ সালে জনসমক্ষে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়।
Enter your email address:



 বোরখা নিষিদ্ধ দেশগুলো হচ্ছে ফ্রান্স,  ডেনমার্ক,জার্মানি,বেলজিয়াম,অস্ট্রিয়ায়,নরওয়ে,বুলগেরিয়া,লুক্সেমবার্গ,ইটালি,স্পেন,সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, শাদ, গ্যাবন, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র,ক্যামেরুন,কাজাকিস্থান, লাটভিয়া,কসোভো,তিউনিশিয়া, মরোক্কো,আজারবাইজান,তুরস্ক,সিরিয়া, আলজেরিয়া, চীন এবং শ্রীলংকা। এর মধ্যে আলজেরিয়া সর্বশেষ মুসলিম দেশ যেখানে বোরখা নিষিদ্ধ।এর মধ্যে কিছু কিছু দেশে বোরখা শুধু নিষিদ্ধ নয়। বোরখা পরলে জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা আছে।  এছাড়া মুসলিম দেশ কাজাকিস্থানে বোরখা নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে ভারতের শিব সেনা দেশের নিরাপত্তার খাতিরে সেদেশে বোরখা নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে।
 বোরকা নিষিদ্ধ করা নিয়ে সোশ্যাল সাইটে মুখ খুলেছেন আলোচিত সমালোচিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
HypN5t_1555390914

নির্বাসিত এই লেখিকা লিখেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা বোরকা নিষিদ্ধ করেছে, জনমানুষের নিরাপত্তার জন্য। বোরকা পরে আত্মঘাতী বোমা হেঁটে বেড়াচ্ছে, আর আমরা তাকে নিরীহ মেয়েমানুষ ভেবে তার আশে পাশে নিরাপদ বোধ করছি, এই বোকামোর দিন শেষ হয়েছে। বোরকা কয়েক ধরণের মানুষ পরে: ১. দোযখে যাওয়ার ভয়ে ধর্ম দ্বারা মগজধোলাই হওয়া মেয়ে। ২. আত্মীয় স্বজনের চাপে বাধ্য হওয়া মেয়ে। ৩. আত্মঘাতী বোমা। ৪. জেল পালানো দাগী আসামি। ৫. ক্রিমিনাল, যার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়েছে। ৬. চোর এবং ৭. ডাকাত।’
Capture-6

‘বোরকা পৃথিবীর সব জায়গায় নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। বোরকা নিষিদ্ধ হওয়ার পর মেয়েরা মানুষের অধিকার নিয়ে চলাফেরা করতে পারবে, চলমান কারাগারের ভেতর মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়ার শাস্তি ভোগ করতে হবে না, নামপরিচয়হীন অবয়বহীন একটি ভূতুড়ে জীবন যাপন করতে হবে না। মেয়েদের জন্য এর চেয়ে বড় সুখবর আর কী হতে পারে! যে মেয়েরা বলে বোরকা পরতে তাদের ভালো লাগে, বা এটা তাদের মানবাধিকার- তারা মগজধোলাই হওয়ার কারণে বলে।’

অন্যান্য

Post Bottom Ad

আকর্ষণীয় পোস্ট

code-box

Contact Form

Name

Email *

Message *