আমেরিকার টুইন টাওয়ার এবং ভারতের মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার পর গত কয়েক দিন আগে শ্রীলংকায় খ্রিস্টানের ইস্টার সানডে তে গির্জায় জঙ্গি হামলা ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম হামলা। এই হামলায় নারী শিশু বৃদ্ধ বৃদ্ধা সহ এ পর্যন্ত ৩৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামী সন্ত্রাসবাদী গ্রুপ আইএস। এই হামলার ভিডিওতে দেখা গেছে হামলা করার পর কয়েক জন জঙ্গি বোরখা পরে পালিয়ে যায়। বোরখার সাথে জঙ্গিবাদের সূত্র ধরে শ্রীলঙ্কা সেদেশে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে। গত সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। শুধু তাই নয়, মুখ ঢাকা কোনও পোশাক পরা যাবে না বলে গতকাল রবিবার ডিক্রি জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বোরকা নিষিদ্ধ করা নিয়ে সোশ্যাল সাইটে মুখ খুলেছেন আলোচিত সমালোচিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন।শুধু শ্রী লঙ্কা নয় পৃথিবীর অন্তত ১৮টি দেশে বোরখা নিষিদ্ধ। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয় ফ্রান্স প্রথম কোনো ইউরোপীয় দেশ যেখানে ২০১১ সালে জনসমক্ষে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়।
নির্বাসিত এই লেখিকা লিখেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা বোরকা নিষিদ্ধ করেছে, জনমানুষের নিরাপত্তার জন্য। বোরকা পরে আত্মঘাতী বোমা হেঁটে বেড়াচ্ছে, আর আমরা তাকে নিরীহ মেয়েমানুষ ভেবে তার আশে পাশে নিরাপদ বোধ করছি, এই বোকামোর দিন শেষ হয়েছে। বোরকা কয়েক ধরণের মানুষ পরে: ১. দোযখে যাওয়ার ভয়ে ধর্ম দ্বারা মগজধোলাই হওয়া মেয়ে। ২. আত্মীয় স্বজনের চাপে বাধ্য হওয়া মেয়ে। ৩. আত্মঘাতী বোমা। ৪. জেল পালানো দাগী আসামি। ৫. ক্রিমিনাল, যার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়েছে। ৬. চোর এবং ৭. ডাকাত।’
‘বোরকা পৃথিবীর সব জায়গায় নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। বোরকা নিষিদ্ধ হওয়ার পর মেয়েরা মানুষের অধিকার নিয়ে চলাফেরা করতে পারবে, চলমান কারাগারের ভেতর মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়ার শাস্তি ভোগ করতে হবে না, নামপরিচয়হীন অবয়বহীন একটি ভূতুড়ে জীবন যাপন করতে হবে না। মেয়েদের জন্য এর চেয়ে বড় সুখবর আর কী হতে পারে! যে মেয়েরা বলে বোরকা পরতে তাদের ভালো লাগে, বা এটা তাদের মানবাধিকার- তারা মগজধোলাই হওয়ার কারণে বলে।’
বোরকা নিষিদ্ধ করা নিয়ে
সোশ্যাল সাইটে মুখ খুলেছেন আলোচিত সমালোচিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
নির্বাসিত এই লেখিকা লিখেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা বোরকা নিষিদ্ধ করেছে, জনমানুষের নিরাপত্তার জন্য। বোরকা পরে আত্মঘাতী বোমা হেঁটে বেড়াচ্ছে, আর আমরা তাকে নিরীহ মেয়েমানুষ ভেবে তার আশে পাশে নিরাপদ বোধ করছি, এই বোকামোর দিন শেষ হয়েছে। বোরকা কয়েক ধরণের মানুষ পরে: ১. দোযখে যাওয়ার ভয়ে ধর্ম দ্বারা মগজধোলাই হওয়া মেয়ে। ২. আত্মীয় স্বজনের চাপে বাধ্য হওয়া মেয়ে। ৩. আত্মঘাতী বোমা। ৪. জেল পালানো দাগী আসামি। ৫. ক্রিমিনাল, যার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়েছে। ৬. চোর এবং ৭. ডাকাত।’
‘বোরকা পৃথিবীর সব জায়গায় নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। বোরকা নিষিদ্ধ হওয়ার পর মেয়েরা মানুষের অধিকার নিয়ে চলাফেরা করতে পারবে, চলমান কারাগারের ভেতর মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়ার শাস্তি ভোগ করতে হবে না, নামপরিচয়হীন অবয়বহীন একটি ভূতুড়ে জীবন যাপন করতে হবে না। মেয়েদের জন্য এর চেয়ে বড় সুখবর আর কী হতে পারে! যে মেয়েরা বলে বোরকা পরতে তাদের ভালো লাগে, বা এটা তাদের মানবাধিকার- তারা মগজধোলাই হওয়ার কারণে বলে।’
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।