পশ্চিমা হিন্দুরা সন্তানদের সনাতনী শিক্ষা দিতে সাচ্ছন্ন বোধ করে |
মানবতা
বলে আলাদা কোন ধর্ম আছে কিনা আমার জানা নেই। বরং, আমাদের সনাতন ধর্মই
হচ্ছে মানব ধর্ম। সনাতন মানে চিরস্থায়ী, চিরকালের ধর্ম। সনাতন ধর্মই পশুকে
মানুষ ও মানুষকে দেবতায় উন্নীত করে। ফেসবুকে অনেক হিন্দু
ছেলে-মেয়ে আছে, যাদের religious view হচ্ছে “মানবতা বা Humanity”। ২য়
বিশ্বযুদ্ধ ঘটানোর দায়ে লজ্জিত জার্মানরা প্রায় ৪৫ বছর ধরে নিজেদের
জার্মান বলে পরিচয় দিতে লজ্জিত বোধ করছে না। তাহলে আমার প্রশ্ন
হচ্ছে, “আমরা কেন নিজেদের হিন্দু বলে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করছি? আমরা কি
অতীতে কোন মানবতাবিরোধি কাজ করেছি ? হিন্দু হিসেবে
পরিচয় দিলে কি আমাদের বন্ধু তালিকা সংকুচিত হয়ে যাবে? হাল ফ্যাশনের সাথে তাল মিলানো কি অসম্ভব হয়ে পড়বে? যারা নিজেরা হাফ ডজন বার প্রার্থনা করবে
পরিচয় দিলে কি আমাদের বন্ধু তালিকা সংকুচিত হয়ে যাবে? হাল ফ্যাশনের সাথে তাল মিলানো কি অসম্ভব হয়ে পড়বে? যারা নিজেরা হাফ ডজন বার প্রার্থনা করবে
আর হিন্দুদের
বলবে মানবতাবাদি হতে, এমন বন্ধু কিংবা পরিপার্শ্ব থেকে দূরে থাকাই ভাল ! আমরা তো পুজার সময় মুসলিমদের মতো শুধুমাত্র "মুসলিম উম্মার (বিশ্বের) কল্যাণ কামনা" করে প্রার্থনা করি না। আমরা প্রার্থনা করি দেশ ও সমগ্র মানব জাতির কল্যাণ কামনা করে। হিন্দু ধর্মই একমাত্র যা সমগ্র মানব জাতির জন্য প্রার্থনা করে। এটা নিয়ে কি আমরা গর্বিত হতে পারি না ?
আরো দেখুনঃ সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ১৬টি মারাত্মক ভুল ধারণা
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, “এই সব মানবতাবাদে বিশ্বাসী হিন্দু ছেলে-মেয়েরা, যারা পূজা পার্বণের সময় কখনও নিজ ধর্ম নিয়ে কোন পোস্ট করে না; অথচ, রমজান মাস আসলেই আজ নৌকায় বসে বন্ধুদের সাথে ইফতার করলাম বা বাসায় বসে ইফতার করলাম এই নিয়ে স্ট্যাটাস দিতে তাদের কখনো ভুল হয় না। কিন্তু বলতে কষ্ট হলেও এটাই বাস্তবতা যে, “এই তথাকথিত মানবতাবাদে বিশ্বাসী হিন্দু ছেলে-মেয়েরাই একসময় মরীচিকার ফাঁদে পা দিয়ে ধর্মান্তরের শিকার হয়।”
আরো দেখুনঃ সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ১৬টি মারাত্মক ভুল ধারণা
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, “এই সব মানবতাবাদে বিশ্বাসী হিন্দু ছেলে-মেয়েরা, যারা পূজা পার্বণের সময় কখনও নিজ ধর্ম নিয়ে কোন পোস্ট করে না; অথচ, রমজান মাস আসলেই আজ নৌকায় বসে বন্ধুদের সাথে ইফতার করলাম বা বাসায় বসে ইফতার করলাম এই নিয়ে স্ট্যাটাস দিতে তাদের কখনো ভুল হয় না। কিন্তু বলতে কষ্ট হলেও এটাই বাস্তবতা যে, “এই তথাকথিত মানবতাবাদে বিশ্বাসী হিন্দু ছেলে-মেয়েরাই একসময় মরীচিকার ফাঁদে পা দিয়ে ধর্মান্তরের শিকার হয়।”
ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতা ধর্মান্তরের প্রধান কারন। মানুষকে নিজ ধর্মে
সংস্কৃতিবান করে গড়ে তোলা কঠিন; কারণ এটি হচ্ছে আচরণীয় বিষয়। এক্ষেত্রে
ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু,
বেশির ভাগ হিন্দু পিতা-মাতার ধারনা যে ধর্মচর্চা করতে গেলে সন্তানের
পড়াশুনার ক্ষতি হবে। তাই, আগে সন্তানকে ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার বানাতে হবে;
অতপর ধর্মটা থাকবে বৃদ্ধ বয়সের জন্য। এদিকে, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে
গিয়ে সন্তান যখন নিজ ধর্মে অজ্ঞতার কারনে তথাকথিত মানবতার দোহায় দিয়ে
ধর্মান্তরিত হয়; তখন হা-হুতাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না!!!
আরো দেখুনঃ আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হলো আধুনিক বিশ্বের প্রথম বৈদিক সিটি
আরো দেখুনঃ আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হলো আধুনিক বিশ্বের প্রথম বৈদিক সিটি
হিন্দুশাস্ত্র যতটা না মানুষকে চলার পথ বেধে দেয় তার থেকে বেশি চিন্তার
পথ, স্বাধীনতার পথ ও দর্শনের পথ খুলে দেয়। এই কারনে আমাদের হিন্দুশাস্ত্র
ধর্ম বা নীতি অপেক্ষা দর্শন বলে অধিক পরিচিত। তাই, আমাদের উচিত পড়াশুনার
পাশাপাশি যতটা সম্ভব ধর্মচর্চা করা ও অপরকে ধর্মচর্চায় উৎসাহিত করা। নিজের
ধর্মীয় চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে সকলের মাঝে। জন্মসূত্রে আমরা সকলেই
হিন্দু; তাই গর্বের সাথে বলুন; "আমি হিন্দু"।
আরো দেখুনঃ ইংল্যান্ডে সরকারী ভাবে চালু হলো হিন্দু স্কুল
আপনার সন্তানকে সনাতন ধর্মীয় শিক্ষা দিন।
আরো দেখুনঃ ইংল্যান্ডে সরকারী ভাবে চালু হলো হিন্দু স্কুল
আপনার সন্তানকে সনাতন ধর্মীয় শিক্ষা দিন।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।