ধর্ম ব্যবসার ওপর নাম লাল সালু। লালসালু সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি উপন্যাস। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি ধ্রুপদী সৃষ্টি ! সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এই উপন্যাসের জন্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান। এটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর প্রথম উপন্যাস। এটি পরে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
১৯৬০ সালে লালসালুর উর্দু অনুবাদ করাচি থেকে প্রকাশিত হয় Lal Shalu নামে। অনুবাদক ছিলেন কলিমুল্লাহ।
কবি আহসান হাবীব লালসালুকে বলেছিলেন তৎকালীন "বাঙালি মুসলিম রচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস"।
২০০১ সালে তানভীর মোকাম্মেলের পরিচালনায় উপন্যাসটি চলচ্চিত্ররূপ লাভ করে। এতে মজিদ চরিত্রে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ। ২০০১ সালে চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সহ আটটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। পাশাপাশি দর্শকদের বিচারে এটি শ্রেষ্ঠ ১০টি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
কিন্তু কি আছে এই লাল সালু উপন্যাসে ?
মজিদের বস্তুতান্ত্রিক চেতনায় জোতজমির মতো মেয়েমানুষের শরীরও পণ্যের মতো উদ্ভাসিত হয়। যে ‘‘চওড়া বেওয়া” (পৃ. ৭) মহিলাকে সে বিয়ে করেছে, যে রহিমার গোসল করা সিক্ত বসন দেখে সে বলে ‘‘পখালা জাগায় অমন বেশরমের মতো” (পৃ. ৮) দাঁড়াতে নেই, সে মজিদ হাসুনির মা’র খোলা পিঠ দেখে যেমন লালায়িত, তেমনি খালেক ব্যাপারির প্রথমা স্ত্রী আমেনার ‘‘সাদা মসৃণ পা” (পৃ. ৩৮) দেখে ‘‘তার জিহ্বা লিকলিক করে” (পৃ. ৩৯) ওঠে। সাপের মতো এই অনুভূতি মজিদের হয়েছে ঠিক মাজারের পাশে যখন নিঃসন্তান আমেনা বাচ্চা পাবার আকাঙ্ক্ষায় পানিপড়া খেতে আসে এবং জ্ঞান হারায়। আর সেই সুযোগে মজিদ ...
বলে যে ‘‘পেটে বেড়ী পড়ে বইলাই তো স্ত্রীলোকের সন্তানাদি হয় না” (পৃ. ৩৪)। আগে বেড়ী ছাড়াতে হয়। খালেক ব্যাপারি বোকার মতো প্রশ্ন করে, ‘‘আমার বিবিরডা ছাড়ানো যায় না?” (পৃ. ৩৪) মজিদ বেফাঁস বলে, ‘‘ক্যান যায় না? তয় কথা হইতেছে, আগে দেখন লাগব কয় প্যাঁচ তানার।” (পৃ. ৩৪) তারপরের লাইনটি মজিদের সূক্ষ্মসতর্কতামূলক মনের গভীর পরিচয়: ‘‘কথাটি শুনে ব্যাপারি আবার না ভাবে যে মজিদ তার উদরাঞ্চল নগ্নদৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে দেখবে – তাই তাড়াতাড়ি বলে, এর একটা উপায় আছে।” (পৃ. ৩৪).
একদিন ধাড়িধাড়ি ছেলে কয়েকটি পাকড়াও করে মজিদ। গর্জন করে উঠে বলে,
"তোল লুঙ্গি?"
ছেলেটি ভয়ে কাঁপতে থাকে।
কিন্তু তার কথায় কান না দিয়ে মজিদ বিদ্যুৎবেগে ছুটে গিয়ে ধ্যা করে তুলে ফেলে তার লুঙ্গি। ছেলেটি পালাবার উপক্রম করছিল, থাবা দিয়ে তার ঘাড় ধরে ফেলে মজিদ।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত ডাউনলোড করুন লাল সালু উপন্যাস ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
Bengali novel Lal Salu free download.
ফ্রি পড়ুন অথবা ডাউনলোড করুন।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত ডাউনলোড করুন লাল সালু উপন্যাস
২০০১ সালে তানভীর মোকাম্মেলের পরিচালনায় উপন্যাসটি চলচ্চিত্ররূপ লাভ করে। এতে মজিদ চরিত্রে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ। ২০০১ সালে চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সহ আটটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। পাশাপাশি দর্শকদের বিচারে এটি শ্রেষ্ঠ ১০টি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
কিন্তু কি আছে এই লাল সালু উপন্যাসে ?
মজিদের বস্তুতান্ত্রিক চেতনায় জোতজমির মতো মেয়েমানুষের শরীরও পণ্যের মতো উদ্ভাসিত হয়। যে ‘‘চওড়া বেওয়া” (পৃ. ৭) মহিলাকে সে বিয়ে করেছে, যে রহিমার গোসল করা সিক্ত বসন দেখে সে বলে ‘‘পখালা জাগায় অমন বেশরমের মতো” (পৃ. ৮) দাঁড়াতে নেই, সে মজিদ হাসুনির মা’র খোলা পিঠ দেখে যেমন লালায়িত, তেমনি খালেক ব্যাপারির প্রথমা স্ত্রী আমেনার ‘‘সাদা মসৃণ পা” (পৃ. ৩৮) দেখে ‘‘তার জিহ্বা লিকলিক করে” (পৃ. ৩৯) ওঠে। সাপের মতো এই অনুভূতি মজিদের হয়েছে ঠিক মাজারের পাশে যখন নিঃসন্তান আমেনা বাচ্চা পাবার আকাঙ্ক্ষায় পানিপড়া খেতে আসে এবং জ্ঞান হারায়। আর সেই সুযোগে মজিদ ...
বলে যে ‘‘পেটে বেড়ী পড়ে বইলাই তো স্ত্রীলোকের সন্তানাদি হয় না” (পৃ. ৩৪)। আগে বেড়ী ছাড়াতে হয়। খালেক ব্যাপারি বোকার মতো প্রশ্ন করে, ‘‘আমার বিবিরডা ছাড়ানো যায় না?” (পৃ. ৩৪) মজিদ বেফাঁস বলে, ‘‘ক্যান যায় না? তয় কথা হইতেছে, আগে দেখন লাগব কয় প্যাঁচ তানার।” (পৃ. ৩৪) তারপরের লাইনটি মজিদের সূক্ষ্মসতর্কতামূলক মনের গভীর পরিচয়: ‘‘কথাটি শুনে ব্যাপারি আবার না ভাবে যে মজিদ তার উদরাঞ্চল নগ্নদৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে দেখবে – তাই তাড়াতাড়ি বলে, এর একটা উপায় আছে।” (পৃ. ৩৪).
একদিন ধাড়িধাড়ি ছেলে কয়েকটি পাকড়াও করে মজিদ। গর্জন করে উঠে বলে,
"তোল লুঙ্গি?"
ছেলেটি ভয়ে কাঁপতে থাকে।
কিন্তু তার কথায় কান না দিয়ে মজিদ বিদ্যুৎবেগে ছুটে গিয়ে ধ্যা করে তুলে ফেলে তার লুঙ্গি। ছেলেটি পালাবার উপক্রম করছিল, থাবা দিয়ে তার ঘাড় ধরে ফেলে মজিদ।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত ডাউনলোড করুন লাল সালু উপন্যাস ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
Bengali novel Lal Salu free download.
ফ্রি পড়ুন অথবা ডাউনলোড করুন।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত ডাউনলোড করুন লাল সালু উপন্যাস
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।