আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার দুর্ঘটনাবশত: মোবাইলের ব্যাটারী আবিষ্কার করলেন যা ৪০০ বছর চলবে ! - UHC বাংলা

UHC বাংলা

...মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম!

ব্রেকিং নিউজ

Home Top Ad

Tuesday, April 16, 2019

আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার দুর্ঘটনাবশত: মোবাইলের ব্যাটারী আবিষ্কার করলেন যা ৪০০ বছর চলবে !

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়া, ইরভিং ( Irvine ) এর পিএইচডি ছাত্রী এমন এক ব্যাটারী উদ্ভাবন করেছেন তা আপনার মোবাইলের চার্জ জনিত সমস্যার সমাধান দিতে যাচ্ছে। আপনার ফোনের কথা  ভুলে যান; আমাদের  গাড়ীর  ব্যাটারী প্রতিস্থাপন করতে না হলে আমাদের  বিশ্ব একটি ভিন্ন জায়গা হতে পারতো  এবং এটি নিয়ে আমরা মহাকাশ অনুসন্ধানে বেরুতে পারলাম। বলা যায়  প্রযুক্তিই চূড়ান্ত ভিক্টোরী।

(L: YouTube Screenshot | Martha Heil, R: Illustration - Shutterstock)


২016 সালে  সারা জীবন ধরে একটি ব্যাটারি চলবে  এমন এক  বাস্তবতার এক ধাপ কাছাকাছি  এসেছি আমরা। আর এর জন্য যার অবদান তিনি হলেন মায়া লি থাই (Mya Le Thai) ! মায়া লি থাই একজন সাবেক পিএইচডি স্টুডেন্ট। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা করেছেন কিভাবে রিচার্জেবল ব্যাটারীর আরো ভালো ন্যানোওয়্যার (nanowire) তৈরী করতে হয়। মিস মায়া ইতিমধ্যে তার পিএইচডি শেষ করেছেন এবং  Intel Corporation এর একজন সিনিয়র প্রোসেস ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করছেন। তত্ত্ব অনুসারে, তার আবিষ্কৃত ব্যাটারী   শতাব্দী ধরে চলতে পারে এমন কি 400 বছর পর্যন্ত টিকতে পারে। যখন তিনি বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত ব্যাটারীর গোল্ডেন ন্যানোওয়্যারের বৈশিষ্ট্য  (properties of gold nanowire, মূলত সোনার তার  ) পড়াশুনা করছিলেন তখন তিনি এটা আবিষ্কার করেছিলেন।  প্রকৃতপক্ষে, গোল্ডেন আঁশ  ( filaments) তাদের অখণ্ডতা (integrity)  হারায় এবং ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ রিচার্জ সাইকেল পূর্ণ হওয়ার পর মারা যায়। "এটা সর্বোচ্চ ৭,০০০ সাইকেল পূর্ণ করতে পারে। " বলছেন কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান রেগিনাল্ড  পান্নার ( Reginald Penner)! তিনি মায়ার আবিষ্কারকে মজা করে পাগলামি বলছেন।

Illustration – pexels | rawpixel.com

ন্যানোওয়্যার মানুষের চুলের চেয়ে হাজার গুন্ বেশি পাতলা। এই মাইক্রোস্কোপিক তারের পৃষ্ঠভাগ বেশি ইলেক্ট্রন স্টোরেজ এবং ট্রান্সফাররিং ক্ষমতা সম্পন্ন। গবেষকরা দীর্ঘ দিন ধরে এই উপাদানটি ব্যবহারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গোল্ডেন ন্যানোওয়্যার একধরণের ইলেক্ট্রোলাইট জেল (  electrolyte gel) দিয়ে আবৃত করে  মায়া একটি সার্কিট তৈরী করেছেন যা অভূতপূর্বভাবে ২০০,০০০ চার্জ সাইকেল সম্পন্ন করেছেন তিন মাসের মধ্যে। এই এক্সপ্রিমেন্টের সময় পারফরম্যান্সের কোন বিগ্ন ঘটেনি বা ন্যানোওয়্যারে কোন ধরণের চিড় ধরেনি। মায়ার উদ্ভাবনী এই ন্যানোওয়্যার এমন চার্জ ক্ষমতা সম্পন্ন যে এ দিয়ে এমন বাণিজ্যিক ব্যাটারী তৈরী করা যেতে পারে যা জীবনে কখনো প্রতিস্থাপন করা লাগবে না। এটি কম্পিউটার থেকে শুরু করে সেলফোন, যানবাহনে এমনকি মহাকাশযানেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

UCI School of Physical Sciences U.S. Department of Energy
এই উদ্ভাবনীর এখনো  অপ্রাপ্ততা রয়ে যাচ্ছে। কারণ যে সোনার তার ব্যবহার করা হয়েছে তা অনেক ব্যয় বহুল। তাই বিজ্ঞানীরা সোনা  তারের  বিকল্প কম ব্যয়বহুল কোন কিছু ব্যবহার করা যায় কিনা তা খুঁজছেন।
যতক্ষণ পর্যন্ত এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন না হচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত আমাদেরকে আমাদের মোবাইল ফোন দিনে তিন চার বার করে চার্জ দিয়ে যেতে হবে।  কিন্তু সেই সুদিন হয়তো আর বেশি দূরে নেই ঠিক যেভাবে আমরা ফ্লপি ডিস্ক, সিডি প্লেয়ার ফেলে দিয়ে APP হাতে পেয়েছি। ঠিক সেভাবেই ফোন চার্জ দেয়ার হাত থেকে মুক্তি পাবো। [full_width]
(Video courtesy of Maryland Nanocenter)

No comments:

Post a Comment

পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।

অন্যান্য

Post Bottom Ad

আকর্ষণীয় পোস্ট

code-box