পাকিস্তান সরকার সেদেশের ৪০০ পুরানো মন্দির পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশ ভাগের পর অধিকাংশ হিন্দু জীবনের মায়ায় ভারতে আশ্রয় নেয়। ফেলে আসে তাদের হাজার বছরে বংশ পরস্পরায় পূজা অর্চনা করা মন্দির। সেইসব মন্দিরের অধিকাংশ বেদখন হয়ে গেছে। অনেক মন্দির সরকারি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে , কিছু মন্দির মাদ্রাসা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এমনকি করাচিতে একটি মন্দির টয়লেট হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কথাও খবরে এসেছে। অধিকাংশ হিন্দু দেশ ত্যাগ করলেও এখনো সেখানে কিছু হিন্দু রয়েছে। দেশ ভাগের সময় পাকিস্তানে হিন্দু সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ থেকে ৪০% যা কমে এখন দাঁড়িয়েছে ১ থেকে ২%। পাকিস্তান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা সেদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের কাছে ৪০০ মন্দির ফিরিয়ে দেবে।
এই প্রক্রিয়া শুরু হবে ঐতিহাসিক শিয়ালকোট এবং পেশোয়ার শহর থেকে। শিয়ালকোটে একটি জগন্নাথ মন্দির আছে যেখানে হিন্দুরা এখনো পুজা করেন। সেখানে শিবালয় তেজ সিং নামে ১,০০০ বছর পুরানো একটি মন্দির ছিল যা ১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের সময় মুসলমানরা ধ্বংস করে। পাকিস্তান সেই মন্দিরটিই সবচেয়ে আগে ফিরিয়ে দিবে। সকল প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে শুধু হ্যান্ডওভার করা বাকী।এদিকে পাকিস্তান কোর্ট পেশোয়ার শহরে ধ্বংস হওয়া গোরক্ষনাথ মন্দির পুনরায় খোলার নির্দেশ দিয়ে সেটাকে একটি ঐতির্য্যবাহী স্থান (heritage site) হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
আরো দেখুনঃ পাকিস্থানে হাজার বছর পুরানো মন্দির টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকিস্তান সরকার প্রতি বছর সেদেশের ঐতির্য্যবাহী ও ঐতিহাসিক ২ থেকে ৩ টি মন্দির পুনরায় খুলবে। কিছু দিন আগে সর্ব পাকিস্তান হিন্দু রাইটস মুভমেন্ট (All-Pakistan Hindu Rights Movement) একটি জরিপ পরিচালিত করে যার রেজাল্ট সবাইকে বিস্মিত করে দেয়। জরিপের রেজাল্টে দেখা যায় দেশ ভাগের সময় ৪২৮টি হিন্দু মন্দির এবং ১৯৯০ সালের পর ৪০০ হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে সেখানে খেলনার দোকান, রেঁস্তোরা, সরকারি অফিস, স্কুল ও মাদ্রাসা তৈরী করা হয়।
পাকিস্তান সরকারের ২০১৯ সালের অনুমান অনুযায়ী, সেদেশের সিন্ধু প্রদেশে কমপক্ষে ১১ টি মন্দির, পাঞ্জাবে ৪টি বেলুস্থানে ৩টি এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ১টি হিন্দু মন্দির চালু আছে। পাকিস্তান সম্প্রতি শিখদের পবিত্র স্থান নানক গুরুদেবের জন্মস্থানে যাওয়ার জন্য বর্ডার খুলে দিতে সম্মত হয়েছে। নানক গুরুদেবের জন্মস্থান পাকিস্তানের পাঞ্জাবে অবস্থিত। তাছাড়া পাকিস্তান সরকার আর একটি প্রস্তাব পাশ করেছে যে টিতে পাকিস্তান-ভারত বর্ডার খুলে দেয়া হবে যাতে করে হিন্দুদের তীর্থস্থান শারদা পীঠ (Sharda Peeth) যাওয়া যায়। শারদা পীঠ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন সরস্বতী মন্দির।
প্রতিবেদনটি তৈরী করা হয়েছে India Today অবলম্বনে।
শিয়ালকোট জগন্নাথ মন্দির, Photo: India Today |
এই প্রক্রিয়া শুরু হবে ঐতিহাসিক শিয়ালকোট এবং পেশোয়ার শহর থেকে। শিয়ালকোটে একটি জগন্নাথ মন্দির আছে যেখানে হিন্দুরা এখনো পুজা করেন। সেখানে শিবালয় তেজ সিং নামে ১,০০০ বছর পুরানো একটি মন্দির ছিল যা ১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের সময় মুসলমানরা ধ্বংস করে। পাকিস্তান সেই মন্দিরটিই সবচেয়ে আগে ফিরিয়ে দিবে। সকল প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে শুধু হ্যান্ডওভার করা বাকী।এদিকে পাকিস্তান কোর্ট পেশোয়ার শহরে ধ্বংস হওয়া গোরক্ষনাথ মন্দির পুনরায় খোলার নির্দেশ দিয়ে সেটাকে একটি ঐতির্য্যবাহী স্থান (heritage site) হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
আরো দেখুনঃ পাকিস্থানে হাজার বছর পুরানো মন্দির টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে
পাকিস্তান সরকারের ২০১৯ সালের অনুমান অনুযায়ী, সেদেশের সিন্ধু প্রদেশে কমপক্ষে ১১ টি মন্দির, পাঞ্জাবে ৪টি বেলুস্থানে ৩টি এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ১টি হিন্দু মন্দির চালু আছে। পাকিস্তান সম্প্রতি শিখদের পবিত্র স্থান নানক গুরুদেবের জন্মস্থানে যাওয়ার জন্য বর্ডার খুলে দিতে সম্মত হয়েছে। নানক গুরুদেবের জন্মস্থান পাকিস্তানের পাঞ্জাবে অবস্থিত। তাছাড়া পাকিস্তান সরকার আর একটি প্রস্তাব পাশ করেছে যে টিতে পাকিস্তান-ভারত বর্ডার খুলে দেয়া হবে যাতে করে হিন্দুদের তীর্থস্থান শারদা পীঠ (Sharda Peeth) যাওয়া যায়। শারদা পীঠ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন সরস্বতী মন্দির।
প্রতিবেদনটি তৈরী করা হয়েছে India Today অবলম্বনে।
good news.International Tourism will develop.
ReplyDeleteAt least, Pakistan opens their minds even though a lot of damage done to Hindus. More than 1,000 Temples have been destroyed or taken over by Muslims. Giving 2-3 temple a year will take at least 150 years to give back 400 temples. Could it be such a good deed?
ReplyDelete