Warning!সতর্কতাঃ ভালো করে লক্ষ্য করুন।
ফেনীতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ কতৃক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও কেরোসিন ঢেলে আগুন পুড়িয়ে মারার পর সারা দেশ যখন উত্তাল তারই মধ্যে দুই ছাত্রকে বলাৎকার করলেন দিনাজপুরের এক মাদ্রাসা সুপার। অনলাইন পত্রিকা জাগো নিউজ জানায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় দুই ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মো. ইসমাইল হোসেন (৩৭) নামে এক মাদ্রাসা সুপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে এক ছাত্রের অভিভাবক বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার সুপার ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের আরাজি মিলনপুর গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর ছেলে। তিনি নিজপাড়া ইউনিয়নের হাবলুহাট দারুল আইতাম দুস্থ শিশু প্রতিপালন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং এতিখানা মাদরাসার সুপার।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বীরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হক। মিস্টার হক বলেন ৭ ই এপ্রিল গভীর রাতে মাদ্রাসার সুপার মো. ইসমাইল হোসেন দুই ছাত্রকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাদের ধারাবাহিকভাবে বলাৎকার করেন তিনি। ঘটনাটি পরদিন সকালে জানাজানি হয় যখন ঐ দুই ছাত্র এক ধরণের "অস্বাভাবিক আচরণের" মাধ্যমে অসুস্থ্যতা বোধ করে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় এক ছাত্রের অভিভাবক বীরগঞ্জ থানায়
মামলা করেন। মামলার পর ওসি বিশ্বনাথ দাশগুপ্তের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার সুপার মো. ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই ছাত্রকে বলাৎকারের কথা স্বীকার করেন মো. ইসমাইল হোসেন। তাকে আইনের আওতায় আদালতে পাঠানো হবে। তবে এ ধরণের বলৎকারের ঘটনা ঐ মাদ্রাসায় এই প্রথম কিনা তা জানা যায়নি। সম্প্রতি মাদ্রাসায় ছাত্রদের বলৎকার ও ছাত্রীদের উপর যৌন নির্যাতন ব্যাপক হারে বেড়েছে। এমনকি ধর্ষণের পর মাদ্রাসার শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের জবাই করে হত্যা করার পর বস্তায় করে লাশ ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী।
প্রতিবেদনটি করা হয়েছে জাগো নিউজ অবলম্বনে।
প্রতিবেদনটি করা হয়েছে জাগো নিউজ অবলম্বনে।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।