বাংলাদেশের দক্ষিণে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রাধাঘাট গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে দিন ব্যাপী ভগবত ও গীতা পাঠ অনুষ্ঠান চলছিল।
অনুষ্ঠান শুরু হয় গত ৮ ই মার্চ।রাধাঘাট গ্রামের হরি মন্দির ও কালী মন্দির সংলগ্ন মাঠে এই অনুষ্ঠান চলছিল।অনিষ্ঠানের শেষ দিনে গত বুধবার সন্ধ্যায় গীতা পাঠ করছিলেন ভারতের শ্রীধাম বৃন্দাবন থেকে আগত অতিথি শ্রী হরিচাঁদ ব্রম্মচারী।গীতা পাঠ সাতক্ষীরার বিভিন্ন একলা থেকে প্রচুর ভক্তের আগমন ঘটেছিল প্রত্যেক দিন।শ্রী হরিচাঁদ ব্রম্মচারীর গীতা পাঠ চলাকালে এলাকার কিছু মুসলিম গীতা পাঠে বাধার সৃষ্টি করে।
তাদের দাবি গীতা পাঠের কারণে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। তারা নামাজ পড়তেও পারছে না। তাই গীতা পাঠ বন্ধ করতে হবে। আসলে এটি হিন্দু পাড়া হওয়ায় আসে পাশে কোন মসজিদ ছিল না। তাই ভক্তবৃন্দ তাদের দাবি না মেনে গীতা পাঠ চালিয়ে যান।তাদের দাবি না মানায় ঐ এলাকার আকরাম হোসেন বাবু, আবুল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, মফিজুর রহমান ও মিলন হোসেন ফিরে যায়। তারা সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ২০-২৫ জনের একটি দল নিয়ে ফিরে আসে এবং লাঠি, লোহার রড, বাশ নিয়ে অতর্কিত ভাবে ভক্তদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। তাদের হামলায় বাধঘাটা গ্রামের গোকুল কুমার মন্ডল, সমীর মন্ডল, বনমালী মন্ডল, শুধাংসু মন্ডল, রমেশ মন্ডল ও সুকেশ সরকার মারাত্মক ভাবে আহত হন।
এদের মধ্যে গোকুল কুমার মন্ডল, সমীর মন্ডল, বনমালী মন্ডলকে মারাত্মক আহত অবস্থায় শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অল্পের জন্য বেঁচে যান ভারত থেকে আগত অতিথি শ্রী হরিচাঁদ ব্রম্মচারী। তার উপর রড নিয়ে আক্রমণ করতে গেলে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ নিজের জীবন বিপন্ন করে তাকে প্রটেকশন দেন। থানায় খবর দিলে রাট ১০ টার দিকে পুলিশ এসে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। আটককৃতরা হলেন আকরাম হোসেন বাবু, আবুল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, ও মিলন হোসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আহতদের ছবি দেখে অনেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মান্নান আলী ভগবত অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সভাপতি রণজিৎ বরকন্দাজ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
ফটো : জাগো হিন্দু বাংলাদেশ
অনুষ্ঠান শুরু হয় গত ৮ ই মার্চ।রাধাঘাট গ্রামের হরি মন্দির ও কালী মন্দির সংলগ্ন মাঠে এই অনুষ্ঠান চলছিল।অনিষ্ঠানের শেষ দিনে গত বুধবার সন্ধ্যায় গীতা পাঠ করছিলেন ভারতের শ্রীধাম বৃন্দাবন থেকে আগত অতিথি শ্রী হরিচাঁদ ব্রম্মচারী।গীতা পাঠ সাতক্ষীরার বিভিন্ন একলা থেকে প্রচুর ভক্তের আগমন ঘটেছিল প্রত্যেক দিন।শ্রী হরিচাঁদ ব্রম্মচারীর গীতা পাঠ চলাকালে এলাকার কিছু মুসলিম গীতা পাঠে বাধার সৃষ্টি করে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মান্নান আলী ভগবত অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সভাপতি রণজিৎ বরকন্দাজ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
ফটো : জাগো হিন্দু বাংলাদেশ
ধীকখার জানাই সেই সব মুসলমানদের যারাসনাতন ধমের ওপর আঘাত করে
ReplyDeleteজংগীদের কাজ তো এমন ই।
ReplyDeleteভয় নয়।আরও সাহস নিয়ে বেশি বেশি গীতা পাঠ চালিয়ে যান।
ReplyDeleteআইনের শাসন না থাকায় এমন হবেই।
ReplyDelete