ভারতে যখন বাবরি মসজিদ নিয়ে উত্তেজনা চরমে পাকিস্থানে তখন ১,০০০ বছর পুরানো একটি মন্দির টয়লেট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতে মুসলমানরা পূর্ণ অধিকার নিয়ে বসবাস করছে। ভারতে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মসজিদ। অথচ বাংলাদেশ ও পাকিস্থানের মন্দির গুলো দিনে দিনে বিলুপ্ত হচ্ছে। প্রতিমা ভাঙা তো বাংলাদেশের মুসলমানদের দুই ঈদের পর তৃতীয় প্রধান উৎসব হিসেবে দেখা যাচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে।
পাকিস্থানের আধুনিক শহর হিসেবে পরিচিত করাচীর সমুদ্র সৈকতে মনোরা দ্বীপে অবস্থিত বরুন দেব মন্দির। মন্দিরটির বয়স ১০০০ বছর বলে ধারণা করা হয়। ১৬ শতকে এক হিন্দু জমিদার ভজমাল ভাটিয়া কেলাতের খানদের কাছ থেকে মনোরা দ্বীপটি ক্রয় করেছিলেন। তখন তিনি এই মনোরম সমুদ্র সৈকতে বাড়ি মন্দির এবং অন্যান্য সৌন্দর্যের লীলাভূমি গড়ে তোলেন। হিন্দু জমিদার ভজমাল ভাটিয়া বরুন দেব মন্দিরটির দেখাশুনা করতেন। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে হিন্দুরা পাকিস্থানে নিরুপায় হয়ে পড়ে। অধিকার জিনিসটি ধরা ছোয়ার বাইরে চলে যায়।
এই অপরূপ সুন্দর সমুদ্র সৈকতে এখন প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে। কিন্তু তাদের পাবলিক টয়লেটের কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা মন্দিরটিকে টয়লেট হিসেবে ব্যবহার করছে। মন্দিরটি বর্তমানে পাকিস্থান হিন্দু পরিষদের নিয়ন্ত্রণে। তারা সরকারের কাছে কয়েক আবেদন করেছে যাতে মন্দিরটি টয়লেট হিসেবে ব্যবহার না করা হয়। কিন্তু পাক সরকার তাতে কোন সাড়া দেয়নি।
২০০৮ সালে মন্দিরের সেবক যুবরাজ মন্দিরটির তার নিজ নামে করার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু পাক সরকার তা খারিজ করে দেয়। তারা বলে এটা পাকিস্থান নেভীর জায়গা। এর অধিকার শুধু পাকিস্থান নেভীর থাকবে।
বরুন দেব মন্দিরের সাথে আছে আরো দুটি ছোট শিব মন্দির। মন্দিরটি ১৯৭০ সালের দিকে একবার সংস্কারের উদ্দ্যেগ নেয়া হয়। কিন্তু টাকার অভাবে তা আর হয়ে ওঠেনি। দুঃখজনকভাবে এই মন্দির এখন সমুদ্র সৈকত দর্শনার্থীদের টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃরিত হচ্ছে।
পর ধর্ম বিনাশ করা ইসলামের অংশ ।
ReplyDeleteVery True!
DeleteIf this Barundev temple is thousand years old, why can't many other temples and forts be older than 1000 years? Temples would be seen in and around forts.
ReplyDeletePorkistan, go to HELL.
ReplyDeleteBloody history of Islam!
ReplyDeleteIndia should treat Muslims in the same way!
ReplyDelete