১৯৭১ সালের সেই ভয়াল কালো রাতের কথা আমরা সবাই জানি। সেই রাতে বাহিনী
ঢাকায় অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করে হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করে। সেই
রাতে পাক আর্মি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র হিন্দু হল - জগন্নাথ হলে
প্রবেশ করে ৭০০ ছাত্রকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। যার ভিডিও করেন তৎকালীন
ইস্ট পাকিস্তান ইঞ্জিনারিং উনিভার্সিটির ( বর্তমানে বুয়েট )প্রফেসর নুরুল
উল্লা। উলেখ্য যে প্রফেসর নুরুল উল্লার
বাসভবন ছিল জগন্নাথ হলের বিপরীত পাশে। পাক আর্মি কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোন হলে হামলা চালায়নি। তারা বেছে নিয়েছিল একমাত্র হিন্দু হল জগন্নাথ হল। হামিদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্যাপক শক্তি প্রয়োগ করেছিলো।যার প্রধান টার্গেট ছিল একমাত্র হিন্দু আবাসিক হল জগন্নাথ হল। এর পর পাক আর্মি যায় রমনা কালী
মন্দিরে।মন্দিরটি তারা বুডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়।
এবং মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া ৫০০ ভক্তকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে!পরে মন্দিরটি সরকার দখল করে রমনা পার্কে রূপান্তরিত করে।দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশ আজো মূল মন্দিরের জায়গায় পূজা করা বা মন্দির পুনঃনির্মাণের অনুমতি দেয়নি।প্রথম অস্থায়ী ভাবে পূজা করার অনুমতি মেলে ২০০০ সালে।তাও মূল মন্দির থেকে বেশ দূরে সরওয়ার্দী উদ্যানে !পুরো বাংলাদেশেই হিন্দু এলাকাগুলো বিশেষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। মধ্যরাতের আগেই ঢাকা পুরোপুরি জ্বলছিল, বিশেষভাবে পূর্ব দিকের হিন্দুপ্রধান এলাকাগুলো। ২ আগস্ট, ১৯৭১ টাইম সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, "হিন্দুরা, যারা মোট শরণার্থীদের তিন-চতুর্থাংশ, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ক্রোধ ও আক্রোশ বহন করছিল"। কিন্তু এসব ইতিহাস বাংলাদেশের দলিল থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। ঠিক এভাবে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছে।
বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন : মার্চে জগন্নাথ হলে পাক আর্মির তান্ডব।
এবং মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া ৫০০ ভক্তকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে!পরে মন্দিরটি সরকার দখল করে রমনা পার্কে রূপান্তরিত করে।দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশ আজো মূল মন্দিরের জায়গায় পূজা করা বা মন্দির পুনঃনির্মাণের অনুমতি দেয়নি।প্রথম অস্থায়ী ভাবে পূজা করার অনুমতি মেলে ২০০০ সালে।তাও মূল মন্দির থেকে বেশ দূরে সরওয়ার্দী উদ্যানে !পুরো বাংলাদেশেই হিন্দু এলাকাগুলো বিশেষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। মধ্যরাতের আগেই ঢাকা পুরোপুরি জ্বলছিল, বিশেষভাবে পূর্ব দিকের হিন্দুপ্রধান এলাকাগুলো। ২ আগস্ট, ১৯৭১ টাইম সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, "হিন্দুরা, যারা মোট শরণার্থীদের তিন-চতুর্থাংশ, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ক্রোধ ও আক্রোশ বহন করছিল"। কিন্তু এসব ইতিহাস বাংলাদেশের দলিল থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। ঠিক এভাবে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছে।
বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন : মার্চে জগন্নাথ হলে পাক আর্মির তান্ডব।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।