পার্বতীদের আত্মহুতি ও আমাদের কান্ডকজ্ঞানহীনতা ! - UHC বাংলা

UHC বাংলা

...মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম!

ব্রেকিং নিউজ

Home Top Ad

Wednesday, March 6, 2019

পার্বতীদের আত্মহুতি ও আমাদের কান্ডকজ্ঞানহীনতা !


আজকাল মানুষের প্রবণতা বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা মুভি দেখা। এখন মানুষ শরৎ চন্দ্রের দেবদাস পড়ার চেয়ে শাহরুখ খানের দেবদাস দেখতে বেশি পছন্দ করে। শতবর্ষ আগে লেখা শরৎ বাবু ফুটিয়ে তুলেছিলেন এক অসম প্রেমের উপখ্যান তার দেবদাস উপন্যাসে। তা নিয়ে লিখিত হয়েছে অনেক বিশ্লেষণ অনেক  ইতিহাস।নির্মিত হয়েছে অনেক
নাটক টেলিফ্লিম এবং অনেক মুভি। উপন্যাসটি যেমন মুদ্রিত হয়েছে অনেক ভাষায় নির্মিত হয়েছে অনেক মুভি বিভিন্ন ভাষায়। আগে দেখা যেত দেবদাসরা পার্বতীদের জন্য নিজেরা আত্মহুতি দিতো। আর এখন ? বলার অফেক্ষা রাখে না এখন মোল্লারা সেই দেবদাসকে কলংকিত করেছে। এই মোল্লা দেবদাসরা লাভ জিহাদের নামে বেহেস্থের
লোভে পার্বতীদের ফাঁদে ফেলে। বেহেস্ত কন্ফার্ম হওয়ার পর পার্বতীদের গলায় ছুরি বসায়। আপনি হয়তো প্রশ্ন করবেন আমি কিভাবে বুঝলাম বেহেস্ত কন্ফার্ম ? হ্যা, ইসলামে সেই রকম বলা আছে। যারা জিতবে তারা অমুসলমানের নারী ও সম্পত্তি ভোগ করতে পারবে, কোন কাফেরকে নিধন করতে পারলে “গাজী” উপাধি পাবে। বহু গাজী বাবা হিন্দু সমাজেও অজ্ঞানতার জন্য বেশ সমাদৃত, কারন সবাই জানে না যে গাজী মানে সে বা তার কোন পূর্বপুরুষ হিন্দু হত্যাকারী। অন্যদিকে যারা জিহাদে মারা যাবেন তাদের বলা হয় শহীদ যা ভুল করে এখন অনেক দেশভক্তকেও বলা হয়! এই শহীদদের জন্য ইসলামিক স্বর্গে ধালাও আয়োজন। কোরান (৪৭/১৫) অনুসারে  , তারা সেখানে চিরযৌবন পাবে ও যৌন ক্ষমতা একশগুন বেড়ে যাবে। প্রত্যেক শহীদ সেখানে পাবে ৭২ জন সুন্দরী হুরী যৌন সম্ভোগ করতে ও ২৮ টি সুন্দর বালক সমকামের জন্য। প্রত্যেক যৌন সঙ্গম ৬০০ বছর স্থায়ী হবে ও পৃথিবীতে মুসলমানদের মদ্যপান নিষিদ্ধ হলেও জান্নতে নদী বইবে মদের।আবার কোরান (৭৮/৩৩) অনুসারে, বেহেস্থে অপূর্ব সব খাদ্য-পানীয়র ব্যবস্থা থাকবে ও চিরযুবতী হুরীদের বয়স বাড়বে না। যেকোন ভাবে পীড়ন করলেও তাদের কষ্ট হবে না। সব খাবার সেখানে ভালভাবে হজম হ্য় ও মলমূত্র পর্যন্ত হয়না !এসব কারনেই অনেক মুসলমান জেহাদ করে শহীদ হওয়ার জন্য পাগল। তবে মুসলমান মেয়েরা স্বর্গে গেলে আদেউ কিছু পাবে কিনা সে ব্যপারে কোরান নিশ্চুপ।অন্য জায়গাতেও স্পষ্ট বলা আছে, যে যতক্ষন না আল্লাহ জানছেন যে মুসলমানদের মধ্যে কে জেহাদ করেছে ততক্ষন সে স্বর্গে প্রবেশ করতে পারবে না (৩/১৪২)।

কেস স্টাডি -১: সদ্য ঘটে যাওয়া যশোরের পার্বতীর কথা নিশ্চয় শুনেছেন।
বিস্তারিত জানতে লিংক দেখুন :
বাংলা এক হতভাগা জননী যশোরে একটি হাসপাতালে ছোটোখাটো চাকরি করে তিলে তিলে বড় করেছিলেন পার্বতীকে। বিয়ে দিয়েছিলেন এক হিন্দু কাপুরুষের সাথে। কাপুরুষটি একটি মাসুম বাচ্চাসহ পার্বতীকে ফেলে চলে যায় ভারতে। ৬-৭ বছরেরও তার আর খোঁজ মেলেনা। শুরু হয় এক মাসুম বাচ্চা নিয়ে পার্বতীর একলা চলার পথ ! ছবি দেখে মনে হয় বয়স তার মাত্র ১৯ কি ২০ ! এভাবে একাকী তার বাচ্চাকে বড় করতে থাকে। এদিকে সেই কাপুরুষ হিন্দুটির আশা সে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু জীবন তো আর থেকে থাকে না ! সে জব নেয় গার্মেন্টসে। পরিচয় মুসলিম বন্ধুদের সাথে।স্বামী ভারতে থিতু হওয়ায় পার্বতী একটি গার্মেন্টে এ কাজ নেয়। সেখানে শিমুল নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। শিমুলের মাধ্যমে নীরব ওরফে রাব্বির সঙ্গে পরিচয় হয় বছর দুয়েক আগে। তারা মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাস তিনেক আগে পার্বতী হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। নুসরাত জাহার নাম ধারণ করে সে রাব্বিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা ঝুমঝুমপুর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। রাব্বি খুব নির্যাতন করতো নুসরাত জাহানকে (পার্বতী)!!!এক পর্যায়ে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করা হয় পার্বতী (নুসরাত) কে!!! হিন্দুদের কাছ থেকে তিরস্কার অবহেলা নিন্দা পেতে পেতে তার জীবন বিষিয়ে উঠেছে। তাছাড়া ১৯-২০ বছরের একটি মেয়ে তো আর কাঠের পুতুল নয় ! তার শরীর আছে জীবন আছে !রাজা রামমোহন রায় বিধবা বিবাহ চালু করে গেছেন গত শতাব্দীতে। আমরা রামমোহনকে গ্রহণ করলেও তা কাগজ কলমে করে শিকেই তুলে রেখেছি ! বাস্তবে তার কোন প্রয়োগ নেই। বলি কি - একটি মেয়ের একবার বিয়ে হলে কি তার যৌনাঙ্গ কেউ তুলে নিয়ে যায় ? তার জীবন কি শেষ হয়ে যায়? সিনেমার হিন্দু নায়িকারা প্রতিনিয়ত বহুবিবাহ করছে।কই সেগুলো তো আমরা ভালো ভাবে নিচ্ছি। তবে কেন গরিব মেয়েগুলোর প্রতি এতো অবহেলা এতো অবিচার ? আমাদের সমাজে কি কেউ ছিলোনা পার্বতীকে বা তার বাচ্চাকে অর্থনৈতিক বা মানসিক ভাবে সাহায্য করার ? আমরা কেন এতো স্বার্থপর ?
কেস স্টাডি ২ :  শ্রীতি চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম !

অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এক মুসলিম ছেলের সাথে প্রেম হয় তার। আইনের ছাত্র। কোন সময় জায়গামত কোপ বসাতে হবে আইনের মারপ্যাঁচ সব জানা। মেয়ের ১৮ বয়স হতেই তাকে অপহরণ করল। চট্টগ্রাম,কক্সবাজারের হোটেলে কয়েক রাত সোহাগ রাত কাটায়। রাতের এক ধাক্কা মেয়েটার ব্রেন পর্যন্ত মনে হয় পৌছে গেছে । সম্পূর্ণ ব্রেন ওয়াশড। নাম চেঞ্জড হয়ে নতুন নাম প্রাপ্ত হল খাদিজা আলমগীর। wait wait এখানেই শেষ না। মেয়েটার ব্রেইন ওয়াশড এর শেষ ফল টা দেখার পালা। মেয়ের মা বাবা মামলা করল। আদালতে মেয়েটা তার মা,বাবা,ভাই কে কেন্দ্র করে বলল" তোমরা হিন্দু, তোমরা কাফের, ও আল্লাহ এরা আমাকে নিতে চায়"। হাজার হলেও গর্ভধারিণী মা। দশ মাস দশ দিন গর্ভপীড়া তো আর উনি ছাড়া কেও সহ্য করেন নি। মেয়ের পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে তাকে বাসায় ফিরে যেতে বললেন। মেয়ে এখন মুসলিম। হিন্দু হয়ে তার পা স্পর্শ ??? লাথি মেরে দিল মাকে। বলে উঠল " তোমরা কাফের, কাফের হয়ে আমাকে স্পর্শ করো কেন"। ব্যাস এখানেই সমাপ্ত। দশ মাস দশ দিনের পীড়ার প্রতিদান। 
বিস্তারিতঃ 

  নিচে আরো একটি  ছবিটি দেখুন।
 এখন প্রশ্ন হলো কেন পরিবারের বা সমাজের সামান্য অসচেতনার অভাবে আমাদেরকে এভাবে পদলিত হতে হবে ?
 উপরে বর্ণনা করেছি কোরান অনুসারে লাভ জিহাদের পরকালের পুরস্কার। আসুন চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক ইহকালের পুরস্কারের দিকে।
সংবাদমাধ্যম জি নিউজ জানিয়েছে-
লাভ জিহাদে উৎসাহিত করে গুজরাটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ এ মুসলিম ছেলেদের এসএমএস পাঠানো হচ্ছে৷ এসএমএসে বলাহচ্ছে, হিন্দু ব্রাহ্মন মেয়ে বিয়ে করলে ৫ লক্ষ রুপি পুরস্কৃত করা হবে৷ একইভাবে পাঞ্জাবী শিখ মেয়ে ৭ লক্ষ, ক্ষত্রিয় হিন্দু মেয়ে ৪.৫ লক্ষ, গুজরাটি হিন্দু ব্রাহ্মন মেয়ে ৬ লক্ষ, খ্রিস্টান রোমান ক্যাথলিক মেয়ে ৪ লক্ষ, খ্রিস্টান প্রোটেস্ট্যান্ট মেয়ে ৩ লক্ষ, জৈন মেয়ে ৩ লক্ষ এবং গুজরাটি কোচ মেয়ে বিয়েকরে ধর্মান্তরিত করতেপারলে ৩ লক্ষ রুপি পুরস্কৃত করাহবে৷ স্টুডেন্ট অব মুসলিম ইয়ুথ ফোরাম নামক সংগঠনের পক্ষথেকে এই এসএমএস পাঠানো হচ্ছে বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে৷ যেসব মুসলিম ছেলেরা অন্য ধর্মের মেয়ে বিয়েকরে ধর্মান্তরিত করতে পেরেছে, তাদের পুরস্কার গ্রহণ করতেও বলা হয়েছে ঐ এসএমএসে৷ এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে৷
বন্ধুরা, বাংলাতেও যে এমন এসএমএস পাঠানো হচ্ছেনা তার নিশ্চয়তা কি? সাহসী ও সৎ সাংবাদিক সুধীর চৌধুরির "জি নিউজ" গুজরাটের এই খবর প্রচার করলেও বাংলাতে এমন ঘটনা ঘটলে সৌদি আরবের পয়সা খাওয়া বাংলার মিডিয়া এমন খবর প্রচার করবেনা৷সুতরাং, সাধু সাবধান৷

তথ্যসূত্র দেখতে ক্লিক করুন
এর পরও কি সমাজের একাংশ হয়ে আমরা হাতপা গুটিয়ে বসে থাকবো ? আপনার উত্তর যদি ইয়েস হয় তবে প্রস্তুত হোক উপরোক্ত কেস গুলোর মতো ভিক্টিম হওয়ার জন্য ! একদিন হয়তো আপনাকেও মেয়ের পা ধরে কাঁদতে হবে। আর মেয়ে লাথি দিয়ে বলবে "দূর হও কাফের" ! সময় নষ্ঠ না করে এখুনি সজাক হোন। একজন মানুষ হিসেবে পরিবারের, সমাজের, বন্ধু-বান্ধবের বা পাড়া-প্রতিবেশীর দায়িক্ত আপনি এড়াতে পারেন না।

No comments:

Post a Comment

পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।

অন্যান্য

Post Bottom Ad

আকর্ষণীয় পোস্ট

code-box