চাকুরি দেবার প্রলোভন দেখিয়ে হিন্দু বিধবা নারীকে ধর্ষনের চেষ্টা অতঃপর মামলায় ফাসলেন মুসলিম ব্যবসায়ী
মানবতা আজ কোথায় হারিয়ে গেছে ?
বরিশাল নগরীর স্বনামধন্য একটি ঔষধ কোম্পানীতে মোটা বেতনে চাকুরী দেবার নামে অর্থ আত্মসাত ও ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে নগরীর এক মুসলিম কুলাঙ্গার ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী হিন্দু বিধবা নারী।
গতকাল প্রতারনার শিকার বানরীপাড়া পৌরসভার কমিশনার বাড়ীর বাসিন্দা বিধবা লক্ষী রানী বাদী হয়ে চীপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারক কবির উদ্দিন প্রামানিক মামলাটি ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত মুসলিম কুলাঙ্গার ব্যবসায়ি সহিদুল ইসলাম ২৫ নং ওয়ার্ডের অপসোনিনের গেট সংলগ্ন এলাকার একজন সিমেন্ট ব্যবসায়ী । সে তার ব্যবসার আড়ালে দালালি ও অসামাজিক কাজকর্ম চালিয়ে আসছিল।
লক্ষী রানীর স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারের অভাব-অনটন মেটানোর জন্য চাকরির খোঁজ করতে থাকেন। ভাল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য তিনি হন্যে হয়ে একটি চাকরী খুঁজতে থাকেন। কিন্তু চাকরী নামক সোনার হরিন কিছুতেই তার হাতে ধরা দেয় না। হাতেম তাই হয়ে কেউ তার সামনেও আসে না। যে আসল সে আসলে একজন মানুষের রুপধারী ইবলিশ শয়তান। সে অসহায় বিধবা লক্ষী রানীর চরম খারাপ করার জন্যই তার সামনে এসে দাড়িয়েছিল। গত ৩১ জানুয়ারী লক্ষী রানী অপসোনিনের ২য় গেটের সামনে যান চাকরীর খোঁজ করার জন্য। তখন অভিযুক্ত মুসলিম কুলাঙ্গার ব্যবসায়ি সহিদুল ইসলাম এর সাথে বিধবা লক্ষী রানীর দেখা হয়। এ সময় লম্পট সহিদুল ইসলাম ১০ (দশ হাজার) টাকার বিনিময়ে লক্ষী রানীকে ঔষধ কোম্পানীতে চাকুরী পাইয়ে দেবার কথা বলেন। অসহায় লক্ষী রানী লম্পট সহিদুল ইসলাম এর কথামত ১৬ ই ফেব্রুয়ারী সন্ধা ৭ টার সময় আসতে বলেন। লক্ষী রানী আসলে লম্পট সহিদুল ইসলাম তাকে তার দোকানের পিছনে খোলা স্থানে নিয়ে যান এবং অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন। লক্ষী রানী তার প্রস্তাবে রাজী না হলে লম্পট সহিদুল ইসলাম তাকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। লক্ষী রানী চিৎকার করলে অভিযুক্ত মুসলিম কুলাঙ্গার ব্যবসায়ি সহিদুল ইসলাম পালিয়ে যায়। আর কতদিন এভাবে জোর করে শারিরীক নির্যাতন, ধর্ষণ ও লাভ জিহাদ চলবে ?
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।