![]() |
| মস্কে পরিকল্পিত হিন্দু মন্দিরের ডিজাইন |
আমরা যখন রাশিয়ান হিন্দুদের কথা ভাবি তখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে রাশিয়ার
রাস্তায় হরিনামরত কিন্তু সুন্দরী সখীদের নৃত্য।
অথবা ১২ ইঞ্চি বরফের উপর রথ
যাত্রার দৃশ্য। এসব দেখে আমরা ভাবি কত না সুখে আছেন তারা!কিন্তু বাস্তবতা
জানলে গায়ের লোম শিউরে উঠবে। রাশিয়ান ইস্কন ও অন্যান্য হিন্দু সংঘঠন গত ১৫
বছর ধরে রাশিয়ার রাজধানী মস্কে একটি বড় ধরণের স্থায়ী হিন্দু মন্দির
নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে বসে আছে। কিন্তু আজো
শুরু করা যায়নি। কিন্তু কেন ?
ভাবছেন অর্থের অভাব ? লোকবলের অভাব ? না। এর কোনটায় না।
রাশিয়ায় প্রায় তিন লক্ষ হিন্দুর বসবাস এবং তা ক্রমবর্ধমান ভাবে বাড়ছে।
পর্যাপ্ত অর্থ, লোকবল, পরিকল্পনা সব কিছু রেডি থাকার পরও মিলছে না সরকারের
অনুমতি!২০০৩ সালে মস্কে অস্থায়ীভাবে একটি হিন্দু মন্দির তৈরী করা হয়। পরে
মস্কো সরকার একটি বড় ধরণের মন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অস্থায়ী মন্দিরটি
বন্ধ করে দেয়। পরে সরকার মন্দিরের জন্য একটি জায়গা দেয়। যখন হিন্দুরা
মন্দির বানাতে যায় তখন সরকার বাধা দেয়।শুরু করা যায়নি। কিন্তু কেন ?
আরো পড়ুনঃ রাশিয়ায় হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে ধুলার সাথে মিশিয়ে দেয়া হলো !
২০০৫ সালে হিন্দুরা নিজেরা মস্কো মেট্রো স্টোশনের পাশে মন্দিরের কাজ শুরু করে। তখন মস্কো শহরের মেয়র সেটি ভেঙে দেয় এবং শহরের উত্তর পাশে (Leningradsky Prospekt) মন্দিরের জায়গা দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। কিন্তু ২০০৬ সালে মস্কো শহরের ১০ কিলোমিটার দূরে মূল্যহানিনোভ(Molzhaninovo) জেলায় জায়গা দেয়ার কথা বলে মন্দিরের জায়গা কেড়ে নেয়। পরে সেখানেও মন্দির তৈরী করে দেয়া হয়না। তখন রাশিয়ার হিন্দুরা ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে। ভারত সরকার এতে নাক গলাতে শুরু করে।তখন মস্কো সরকার একটি প্রস্তাব দেয় যে ভারত সরকার যদি দিল্লিতে একটি রাশিয়ান অর্থোডোক্স গীর্জা করার সাপেক্ষে তারা মস্কে একটি হিন্দু মন্দির তৈরির অনুমতি দিবে।ভারতের পক্ষ থেকে দিল্লিতে একটি রাশিয়ান অর্থোডোক্স গীর্জা করা হয়েছে। কিন্তু আজো মস্কে একটি হিন্দু মন্দির তৈরির অনুমতি মেলেনি।
![]() |
| রাশিয়ার রাজপথে হরিনামের দৃশ্য |
পরে তৎকালীন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শিলা দীক্ষিত রাশিয়ার সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। তাতেও কোন কাজ হয়নি। পরে সেখানকার হিন্দুরা ব্রিটেনের দ্বারস্থ হয়। ব্রিটেনের পার্লামেন্টে
রাশিয়ান হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয় এবং
সেদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধ ও তাদের মন্দির তৈরির অনুমতি দিতে লিখিত ভাবে
অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সে অনুরোধও রাখেনি পুতিন সরকার।
উল্লেখ্য রাশিয়া সন্ত্রাসবাদের দায়ে সেদেশে হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ বগবৎ গীতা নিষিদ্ধ করে ২০১১ সালে।পরে এটা নিয়ে রাশিয়ান ইস্কন কোর্টে যায়। ইস্কন সে মামলা জিতে যাওয়ায় আবার গীতা সেখানে বৈধ্য হয়।
উল্লেখ্য রাশিয়া সন্ত্রাসবাদের দায়ে সেদেশে হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ বগবৎ গীতা নিষিদ্ধ করে ২০১১ সালে।পরে এটা নিয়ে রাশিয়ান ইস্কন কোর্টে যায়। ইস্কন সে মামলা জিতে যাওয়ায় আবার গীতা সেখানে বৈধ্য হয়।




No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।