আপনারা হয়তো ফাস্টফুড KFC এর নাম শুনেছেন বা খেয়েছেন। এখন আমাদের দেশের বড় বড় শহরে KFC পাওয়া যায়। KFC যিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার নাম কলোনেল হারলান্ড স্যান্ডার্স (Colonel Harland Sanders)!
৪০ বছর বয়সে তিনি ভাবলেন আমি তো ভালো রান্না করতে পারি। একটি ফাস্টফুডের দোকান খুললে কেমন হয় ? তিনি একটি রেস্টুরেন্ট খুললেন যেখানে মূলত ফাস্টফুড বিক্রি করা হতো। নাম দিলেন Kentucky Fried Chicken - সংক্ষেপে KFC . কিছুটা সফল হলেন।রেস্টুরেন্ট লাগোয়া একটি মোটেল কিনলেন। বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে কিছুই হয়না। হঠাৎ একদিন তার রেস্টুরেন্টে আগুন লাগে। আগুনে তার রেস্টুরেন্ট ও মোটেল পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। মাটি ছাড়া কিছু অবশিষ্ট ছিল না।তিনি অনেকটা ভেঙে পড়লেন। তার হাতে আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। তিনি ভাবলেন আমার রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ভালোই চলছিল। তার কারণ ছিল তার রেস্টুরেন্ট কোন ট্রেডিশনাল খাবারের মেনু ছিল না। সেখানে তিনি নিজে নিজের পছন্দ মতো খাবারের মেনু বানাতেন যা ছিল বেশ মজাদার। নতুন করে রেস্টুরেন্ট দেয়ার টাকা তার কাছে ছিল না। তিনি ভাবলেন এই মেনু দিয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাবার তৈরী করলে কেমন হয় ? তিনি তার এই "ইউনিক মেনু" নিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে রেস্টুরেন্টে ঘুরতে থাকলেন।কিন্তু কেউ ট্রেডিশনাল খাবারের বাইরে তার ইউনিক মেনু দিয়ে খাবার তৈরী করতে রাজি হলো না। তিনি আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্য ঘুরতে লাগলেন এই ইউনিক মেনু নিয়ে। এ পর্যন্ত তিনি এক হাজার নয়টি (১,০০৯টি ) রেস্টুরেন্টের ডোরে ডোরে ঘুরেছেন। কিন্তু কেউ তার সিক্রেট মেনু নিলো না। তার মানে তিনি ১,০০৯ বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। ইতিমধ্যে তার বয়স ৬২ হয়ে গেছে। তবু তিনি হাল ছাড়েননি। ১,০০৯ বারের পর এক রেস্টুরেন্ট মালিক তার সেই ইউনিক KFC মেনু গ্রহণ করলেন। মূলত লসের কারণে সেই রেস্টুরেন্ট মালিকের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।তিনি ভাবলেন এটা নিয়ে একটা শেষ চেষ্টা করে দেখি। তিনি স্যান্ডার্স এর ইউনিক মেনু দিয়ে নতুন করে ঢেলে সাজালেন তার রেস্টুরেন্ট। নাম পাল্টে দিলেন রেস্টুরেন্টের। নাম রাখলেন স্যান্ডার্সের রেস্টুরেন্টের একই নামে - Kentucky Fried Chicken বা KFC !৬২ বছর ধরে ব্যর্থতা আর দুর্ভাগ্য এবার আলোর মুখ দেখতে পেলো। তার এই সিক্রেট মেনু মানুষ ভালোই পছন্দ করলো। আমেরিকার বিভিন্ন শহরে তার রেস্টুরেন্ট - KFC এর শাখা ব্যাঙের ছাতার মতো গজাতে শুরু করলো। এর স্বাদই যেন আলাদা। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়াতে লাগলো তার ফাস্টফুড কোম্পানী। তখন তিনি তার কোম্পানি ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দিলেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ মিলিয়ন ডলার- বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় 1,255,110,000.00 টাকা।
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteওয়াও! এতো দেখি সংগ্রামী বীর।
ReplyDelete৬২ বছর দারুন
ReplyDeleteRecent all jobs circular
Inspiration...
Delete