নিরামিষ ভোজি হওয়ার জন্য আমাদেরকে অনেক সমালোচনা শুনতে হয় মুসলিমদের কাছ
থেকে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বে নিরামিষ ভোজির সংখা দ্রুত হারে বাড়ছে।
কোন কুসংস্কারে নয়। বৈজ্ঞানিক ও মেডিকেল কারণে। আজ শুনাবো জার্মানির গল্প ...
জার্মানিতে ক্রমেই ‘ভেগান’ জীবনযাপনের দিকে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের৷ প্রশ্ন
জাগে, এই ধরনের লাইফস্টাইলের পেছনে স্বাস্থ্যগত নাকি নৈতিক কারণটা প্রধান?
কেন মানুষ ভালো-মন্দ, মানে মাছ-মাংস, এমনকি দ...ুগ্ধজাত পদার্থও বর্জন করছেন?
Veganer Metzger
‘‘কাপুচিনো-টা সয়াদুধ না কাঠবাদামের দুধ দিয়ে চাও?’’ আংকে কক্স তাঁর খদ্দেরদের এই ধরনেরই প্রশ্ন করেন৷ তারপর তাঁদের ইচ্ছামত কফি বানিয়ে এগিয়ে দেন৷বনের প্রথম ভেগান ক্যাফের
মালিক কক্স৷ খোলেন ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে৷ এতে কোনো ধরনের প্রাণীজাত খাবার থাকে না৷ ভেগানরা মাছ-মাংস তো বটেই
দুধ-ডিমের মতো প্রাণীজাত কোনো খাবারই স্পর্শ করেন না৷
ভেগান ক্যাফের যাত্রা শুরু:
অনেক দিন ধরেই এ রকম একটি ক্যাফে খোলার ইচ্ছা ছিল আংকে কক্সের৷
নিজে পাঁচ বছর ধরে ভেগান জীবনযাপন করছেন৷ প্রথম দিকে অসুবিধা হতো৷ বাজার করতে ঘণ্টা দুয়েকের বেশি লাগতো৷ প্রতিটি প্যাকেট খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হতো, প্রাণীজাত কোনো কিছু রয়ে গিয়েছে কিনা৷ ‘‘রেস্টুরেন্টেও একই অবস্থা৷ ওয়েটার ও বাবুর্চিদের সঙ্গে আলোচনা করতে করতে আর শুধু সাইড-ডিশ খেতে খেতে হতাশ হতে হতো৷’’ বলেন কক্স৷
অনলাইন ম্যাগাজিন
ভেগান রেস্টুরেন্টের প্রণোদনা পেয়েছিলেন তিনি ইন্টারনেট থেকে৷ এই অনলাইন ম্যাগাজিনটি জার্মানির ভেগানদের জন্য যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু৷ ভেগান খাদ্যদ্রব্য, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও অনুষ্ঠান সম্পর্কে নানারকম তথ্য পাওয়া যায় এই ম্যাগাজিনে৷
কোন ধরনের ভেগান খাদ্যদ্রব্য সুপার মার্কেটে পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে অনেকে জানতে চান৷ এই ধরনের আর্টিকেলগুলিতে সবচেয়ে বেশি ক্লিক আসে৷ ‘‘এতে বোঝা যায় ‘ভেগানিজম’ সমাজের কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছে৷
বিষয়টি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে৷’’ বলেন ম্যাগাজিনটির প্রধান সম্পাদক পাট্রিক বল্ক৷
আনলাইন ম্যাগাজিনের লেখকরা নৈতিক বিশ্বাস থেকে ভেগান জীবনধারা বেছে নিয়েছেন৷ দ্বিতীয় পদক্ষেপে তাঁরা স্বাস্থ্যের দিকটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন৷ এক্ষেত্রে আরো কিছু কারণও রয়েছে৷
বাজার-গবেষণার একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভেগানদের একটি বড় অংশই অন্য ধরনের জীবনযাপন বা লাইফস্টাইলের জন্যই প্রাণীজাত খাবার বর্জন করেন৷
‘‘আদতে পশুরক্ষা আন্দোলন থেকে উঠে এসেছে এই জীবনদর্শন৷ এখন অবশ্য সুস্বাস্থ্যের জন্যও অনেকে ছেড়ে দিচ্ছেন প্রাণীজাত খাবার৷ ভেগানিজমকে আকর্ষণীয় ও স্বাস্থ্যকর এক জীবন পদ্ধতি মনে করা হয়৷’’ জানান পাট্রিক বল্ক৷
হামবুর্গ শহরের ভোক্তা সুরক্ষা কেন্দ্রের প্রধান সিলকে শোয়ার্টাউ বলেন, ভেগান হতে হলে নিজের খাবারের ব্যাপারে সংবেদনশীল হতে হবে৷
জার্মানিতে ভেগানদের জীবনযাত্রা
ভেগান বা উদ্ভিদভোজী
কয়েক বছর আগ পর্যন্ত যারা দুধ, ডিম, মাংস খেতেন না তাদের অন্য চোখে দেখা হতো৷ সময় বদলেছে এবং এরই মধ্যে ভেগানদের সংখ্যা বেড়েছে অনেক৷ ভেগানরা শুধু নিরামিষাশী নন, তাঁরা প্রাণিজাত কোনো কিছু খান না৷ ভেগানরা শুধু স্বাস্থ্যগত কারণেই উদ্ভিদভোজী হচ্ছেন তা নয়, পরিবেশ রক্ষায়ও তাঁরা অবদান রাখতে চান৷ ভেগানদের জন্য রেস্তোরাঁ, সুপার মার্কেট, রান্নার বই, রান্নার কোর্স এসব বর্তমানে খুবই চলছে৷
সম্প্রতি তাঁর টিম প্রক্রিয়াজাত ভেগান খাদ্যদ্রব্য নিয়ে এক মার্কেট চেক চালান৷ ফলাফল মোটামুটি ভালো হলেও কিছু খাবার অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও লবণাক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে৷
‘‘ইন্টারনেটে এ ব্যাপারে একটি জোরালো আলোচনা হয়৷ প্রতিক্রিয়াটা যে সর্বক্ষেত্রে ইতিবাচক তা বলা যায় না৷ অনেকে লিখেছেন স্বাস্থ্যের দিকটা তাদের কাছে গৌণ৷ পশুনির্যাতন ও পশুহত্যা না হলেই হলো৷’’ জানান শোয়ার্টাউ৷ এমনিতেই ভেগানরা প্রক্রিয়াজাত খাবার খুব কমই খান৷ সুষম খাদ্য তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷
‘‘ভেগান জীবনযাপন মানেই যে স্বাস্থ্যকর তা বলা যায় না৷ যেমন বলা যায় না বেশি মাংস খাওয়ার অর্থই হলো অস্বাস্থ্যকর৷’’ বলেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ শোয়ার্টাউ৷
আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে
অবশ্য তিনিও লক্ষ্য করেছেন ভেগনিজমের ব্যাপারে সমাজের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ ২০ বছর আগেও এটা ভাবা যায়নি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘৮০-এর দশকে ভেগানরা ছিলেন এক প্রান্তিক গোষ্ঠী৷ এমনকি মাঝে মাঝে অপুষ্টিতেও আক্রান্ত হতেন তাঁরা৷ কেননা তখন পুষ্টিকর বিকল্প খাবার পাওয়া সহজ ছিল না৷’’ আজ তো ভোক্তা সুরক্ষা কেন্দ্রগুলিতে প্রতিদিনই ভেগান খাদ্যের ব্যাপারে জানতে চান অনেকে৷
তবে খদ্দেরদের খাদ্যাভ্যাস যাই হোক না কেন৷ কিংবা তাঁরা যে ধরনের জীবনদর্শনেই বিশ্বাস করুন না কেন আংকে কক্স-এর ক্যাফে ‘মায়েস’-এ সেটা কোনো বিষয়ই নয়৷ অনেক খদ্দেরই জানেন না যে, তাঁদের সামনের মেন্যুটিতে শুধু ভেগান-খাবার ও পানীয়ই রয়েছে৷ ক্যাফের মালিকও এমনটি চান৷ ‘মায়েস’-এ সবাই স্বাগত৷
Courtesy: DW.DE
Veganer Metzger
‘‘কাপুচিনো-টা সয়াদুধ না কাঠবাদামের দুধ দিয়ে চাও?’’ আংকে কক্স তাঁর খদ্দেরদের এই ধরনেরই প্রশ্ন করেন৷ তারপর তাঁদের ইচ্ছামত কফি বানিয়ে এগিয়ে দেন৷বনের প্রথম ভেগান ক্যাফের
মালিক কক্স৷ খোলেন ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে৷ এতে কোনো ধরনের প্রাণীজাত খাবার থাকে না৷ ভেগানরা মাছ-মাংস তো বটেই
দুধ-ডিমের মতো প্রাণীজাত কোনো খাবারই স্পর্শ করেন না৷
ভেগান ক্যাফের যাত্রা শুরু:
অনেক দিন ধরেই এ রকম একটি ক্যাফে খোলার ইচ্ছা ছিল আংকে কক্সের৷
নিজে পাঁচ বছর ধরে ভেগান জীবনযাপন করছেন৷ প্রথম দিকে অসুবিধা হতো৷ বাজার করতে ঘণ্টা দুয়েকের বেশি লাগতো৷ প্রতিটি প্যাকেট খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হতো, প্রাণীজাত কোনো কিছু রয়ে গিয়েছে কিনা৷ ‘‘রেস্টুরেন্টেও একই অবস্থা৷ ওয়েটার ও বাবুর্চিদের সঙ্গে আলোচনা করতে করতে আর শুধু সাইড-ডিশ খেতে খেতে হতাশ হতে হতো৷’’ বলেন কক্স৷
অনলাইন ম্যাগাজিন
ভেগান রেস্টুরেন্টের প্রণোদনা পেয়েছিলেন তিনি ইন্টারনেট থেকে৷ এই অনলাইন ম্যাগাজিনটি জার্মানির ভেগানদের জন্য যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু৷ ভেগান খাদ্যদ্রব্য, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও অনুষ্ঠান সম্পর্কে নানারকম তথ্য পাওয়া যায় এই ম্যাগাজিনে৷
কোন ধরনের ভেগান খাদ্যদ্রব্য সুপার মার্কেটে পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে অনেকে জানতে চান৷ এই ধরনের আর্টিকেলগুলিতে সবচেয়ে বেশি ক্লিক আসে৷ ‘‘এতে বোঝা যায় ‘ভেগানিজম’ সমাজের কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছে৷
বিষয়টি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে৷’’ বলেন ম্যাগাজিনটির প্রধান সম্পাদক পাট্রিক বল্ক৷
আনলাইন ম্যাগাজিনের লেখকরা নৈতিক বিশ্বাস থেকে ভেগান জীবনধারা বেছে নিয়েছেন৷ দ্বিতীয় পদক্ষেপে তাঁরা স্বাস্থ্যের দিকটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন৷ এক্ষেত্রে আরো কিছু কারণও রয়েছে৷
বাজার-গবেষণার একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভেগানদের একটি বড় অংশই অন্য ধরনের জীবনযাপন বা লাইফস্টাইলের জন্যই প্রাণীজাত খাবার বর্জন করেন৷
‘‘আদতে পশুরক্ষা আন্দোলন থেকে উঠে এসেছে এই জীবনদর্শন৷ এখন অবশ্য সুস্বাস্থ্যের জন্যও অনেকে ছেড়ে দিচ্ছেন প্রাণীজাত খাবার৷ ভেগানিজমকে আকর্ষণীয় ও স্বাস্থ্যকর এক জীবন পদ্ধতি মনে করা হয়৷’’ জানান পাট্রিক বল্ক৷
হামবুর্গ শহরের ভোক্তা সুরক্ষা কেন্দ্রের প্রধান সিলকে শোয়ার্টাউ বলেন, ভেগান হতে হলে নিজের খাবারের ব্যাপারে সংবেদনশীল হতে হবে৷
জার্মানিতে ভেগানদের জীবনযাত্রা
ভেগান বা উদ্ভিদভোজী
কয়েক বছর আগ পর্যন্ত যারা দুধ, ডিম, মাংস খেতেন না তাদের অন্য চোখে দেখা হতো৷ সময় বদলেছে এবং এরই মধ্যে ভেগানদের সংখ্যা বেড়েছে অনেক৷ ভেগানরা শুধু নিরামিষাশী নন, তাঁরা প্রাণিজাত কোনো কিছু খান না৷ ভেগানরা শুধু স্বাস্থ্যগত কারণেই উদ্ভিদভোজী হচ্ছেন তা নয়, পরিবেশ রক্ষায়ও তাঁরা অবদান রাখতে চান৷ ভেগানদের জন্য রেস্তোরাঁ, সুপার মার্কেট, রান্নার বই, রান্নার কোর্স এসব বর্তমানে খুবই চলছে৷
সম্প্রতি তাঁর টিম প্রক্রিয়াজাত ভেগান খাদ্যদ্রব্য নিয়ে এক মার্কেট চেক চালান৷ ফলাফল মোটামুটি ভালো হলেও কিছু খাবার অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও লবণাক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে৷
‘‘ইন্টারনেটে এ ব্যাপারে একটি জোরালো আলোচনা হয়৷ প্রতিক্রিয়াটা যে সর্বক্ষেত্রে ইতিবাচক তা বলা যায় না৷ অনেকে লিখেছেন স্বাস্থ্যের দিকটা তাদের কাছে গৌণ৷ পশুনির্যাতন ও পশুহত্যা না হলেই হলো৷’’ জানান শোয়ার্টাউ৷ এমনিতেই ভেগানরা প্রক্রিয়াজাত খাবার খুব কমই খান৷ সুষম খাদ্য তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷
‘‘ভেগান জীবনযাপন মানেই যে স্বাস্থ্যকর তা বলা যায় না৷ যেমন বলা যায় না বেশি মাংস খাওয়ার অর্থই হলো অস্বাস্থ্যকর৷’’ বলেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ শোয়ার্টাউ৷
আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে
অবশ্য তিনিও লক্ষ্য করেছেন ভেগনিজমের ব্যাপারে সমাজের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ ২০ বছর আগেও এটা ভাবা যায়নি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘৮০-এর দশকে ভেগানরা ছিলেন এক প্রান্তিক গোষ্ঠী৷ এমনকি মাঝে মাঝে অপুষ্টিতেও আক্রান্ত হতেন তাঁরা৷ কেননা তখন পুষ্টিকর বিকল্প খাবার পাওয়া সহজ ছিল না৷’’ আজ তো ভোক্তা সুরক্ষা কেন্দ্রগুলিতে প্রতিদিনই ভেগান খাদ্যের ব্যাপারে জানতে চান অনেকে৷
তবে খদ্দেরদের খাদ্যাভ্যাস যাই হোক না কেন৷ কিংবা তাঁরা যে ধরনের জীবনদর্শনেই বিশ্বাস করুন না কেন আংকে কক্স-এর ক্যাফে ‘মায়েস’-এ সেটা কোনো বিষয়ই নয়৷ অনেক খদ্দেরই জানেন না যে, তাঁদের সামনের মেন্যুটিতে শুধু ভেগান-খাবার ও পানীয়ই রয়েছে৷ ক্যাফের মালিকও এমনটি চান৷ ‘মায়েস’-এ সবাই স্বাগত৷
Courtesy: DW.DE
Salez shark has been serving Genuine and a reliable database completely. Besides offering sales automation tools, the association in like manner offers invigorated reports to overhaul data of the database marketing. This learning is imperative to transform into a ruler of Indian states. Our beginning and end data are credible and strong when appeared differently in relation to other people.
ReplyDeleteçekmeköy toshiba klima servisi
ReplyDeleteçekmeköy beko klima servisi
ataşehir beko klima servisi
maltepe arçelik klima servisi
kadıköy arçelik klima servisi
ümraniye samsung klima servisi
ümraniye vestel klima servisi
maltepe lg klima servisi
ümraniye toshiba klima servisi
Good content. You write beautiful things.
ReplyDeletesportsbet
sportsbet
hacklink
vbet
korsan taksi
mrbahis
taksi
hacklink
vbet
bağcılar
ReplyDeletebilecik
yozgat
erzincan
kağıthane
Y5W5P6
hatay
ReplyDeleteığdır
ısparta
mersin
ağrı
KZT0B1
https://saglamproxy.com
ReplyDeletemetin2 proxy
proxy satın al
knight online proxy
mobil proxy satın al
RG2M
xxlargeseo
ReplyDeletexxlargeseodigi
digi.seo
OWW