গোপালগঞ্জে পুলিশের তান্ডবে ইস্কন মন্দির লণ্ডভণ্ড ! ওসির ভয়ে হিন্দুরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। - UHC বাংলা

UHC বাংলা

...মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম!

ব্রেকিং নিউজ

Home Top Ad

Monday, December 10, 2018

গোপালগঞ্জে পুলিশের তান্ডবে ইস্কন মন্দির লণ্ডভণ্ড ! ওসির ভয়ে হিন্দুরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।


সিলেটে ইস্কন মন্দিরে হামলার ছবি 
"রাত পোহালে যদি শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই ..." তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙালি! শেখ মুজিবের জন্মস্থান যেন কোথায় ? ওহ, মনে পড়ে ? গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ! হ্যা, আপনি ঠিক শুনেছেন ! কোটালীপাড়ার ঘাগরকাঙ্গা ইস্কন মন্দিরে পূজারত পূজারীদের গালিগালাজ করে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন ওসি কামরুল ফারুক ! এবং এটা ঘটেছে গত কয়েকদিন আগে কোটালীপাড়ার ঘাগরকাঙ্গা ইস্কন মন্দিরে যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ক্ষমতায়। এইবেলার খবর অনুযায়ী, কোটালীপাড়ার চিত্তরঞ্জন বাবু তার সম্পত্তি ইস্কনের নামে দান করেন। সেখানে একটি মন্দির করে স্থানীয় হিন্দুরা পূজা করে আসছিলেন দীর্ঘ একমাস যাবত। গত মঙ্গলবার যখন সন্ধ্যা পূজা চলছিল ঠিক তখনি
(সন্ধ্যা ৬ টায়) কোটালীপাড়ার ওসি কামরুল ফারুক পুলিশ ফোর্স নিয়ে মন্দিরে ঢোকেন।
বিস্তারিত: কোটালীপাড়ায় ওসির নির্দেশে পূজা বন্ধ !
 পুলিশ প্রথমে ভক্তদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন যাতে কেউ ভিডিও বা রেকর্ড করতে না পারে।এর পর কোটালীপাড়ার ঘাগরকাঙ্গা ইস্কন মন্দিরে পূজারত পূজারীদের গালিগালাজ করে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন ওসি কামরুল ফারুক ! পূজার প্রসাদ লাথি মেরে মেঝতে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ঐ মন্দিরের পূজারীনি রীনা হালদার ও লাবনী বিশ্বাস জানান সন্ধ্যা বেলা আমরা মন্দিরে পূজার সামগ্রী জোগাড় করছিলাম। এ সময় কোটালীপাড়া থানার ওসি মন্দিরে ঢুকে আমাদেরসহ অন্যান্য মহিলাদের অশালীন ভাষায় গালি-গালাজ করে মন্দির থেকে বের করে দেয়। কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন পত্রিকার এজেন্ট রঞ্জন কুমার সরকার জানান, আমি সন্ধ্যা বেলা মন্দিরে প্রণাম করতে গিয়েছিলাম। ওসি আমাকে দেখে বলে, ৩ টাকার পত্রিকা বিক্রি করা লোক তুই এখানে এসেছিস কেন? এই বলে আমার হাত ধরে টেনে হিছড়ে আমাকে মন্দির থেকে বের করে দেয়।
 বিস্তারিত: ইস্কন মন্দিরে ঢুকে সেবিকাদের গালিগালাজ মহিলাদের মন্দির থেকে বহিষ্কার
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সর্বনন্দ বালা। তিনি বলেন আমি একজন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পরিচয় দেয়ার পরও আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়।তিনি আরো বলেন ওসি চোখের সামনে যে তান্ডব চালিয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ওসি শুধু ধর্মানুভুতিতে আঘাত হানেননি। তিনি তিনি সংখ্যালঘুদের ধর্মের উপর আক্রমণ করেছেন, তিনি মন্দির আক্রমণ করেছেন। তিনি মন্দির লুন্টন করেছেন। এটা মেনে নেয়া যায় না। 
 আরো পড়ুন : দিনাজপুরে ইস্কন মন্দিরে গুলি-বোমা, দুজন আহত
এসময় ২ জন পূজারীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। ওসি কামরুল ফারুক সবাইকে শাসিয়ে যায় যাতে কেউ থানায় না যায়।

No comments:

Post a Comment

পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।

অন্যান্য

Post Bottom Ad

আকর্ষণীয় পোস্ট

code-box