সারা দেশ যখন করোনা আতঙ্কে ভুগছে ঠিক তখনই সন্ত্রাসী মোস্তাক জানিয়ে দিলো সে করোনার থেকেও ভয়ংকর।
তার ভয়ে ভিত হয়ে পড়েছে নগরঘাটার শত শত সংখ্যালঘু পরিবার। ভুক্তভোগী সুবোল চক্রবর্তী নগরঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু কে জানালে সে তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় পাটকেলঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল তারিখ সোমবার সুবোল চক্রবর্তী নগরঘাটার ত্রিশ মাইল সংলগ্ন মুদী ও ফলের দোকানে বিকাল ৪ টায় অবস্থান করছিলেন এ সময় কোন কারণ ছাড়াই তার পাশের ফল ও মুদী দোকানদার নামক সন্ত্রাসী মোস্তাক তাকে দোকান থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে রাস্তায় ফেলে উপর্যপুরি পেটাতে থাকে আর বলতে থাকে সালা মালায়ন হয় কলেমা পড় তা না হলে ভারতে চলে যা। তাকে কিল ঘুসি মারতে মারতে এক পর্যায়ে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।
কেন তাকে মারা হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুবোল চক্রবর্তী বলেন, আমার দোকানে কেনা বেচা বেশি হওয়ায় এর আগেও সে কয়েকবার আমাকে মারধর করেছে আমার দোকানও ভাংচুর করেছে।
আমি হিন্দু বলে আমার উপর হিংসাত্মক মন-ভাবাপন্ন হয়ে আমি যাতে দোকানদারী করতে না পারি সেজন্য সে কোন কারণ ছাড়াই এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটাই। সে কারণে আমি কোন উপায় না পেয়ে এলাকার প্রায়ই দুইশত মানুষের স্বাক্ষর নিয়ে পাটকেলঘাটা থানায় একটা অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোস্তাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান অভিযোগের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় এলাকার সুধী সমাজ তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে সাথে সাথে তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ সবুজ বাংলা
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।