ঐশ্বর্য্যবান,দানবীর ও শিক্ষানুরাগী এই মানুষটি চট্টগ্রামে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর প্রতিষ্ঠাতা। চন্দনাইশ থানার বরমা গ্রামে জন্মগ্রহণ করা এই মহান মানুষটির পুত্রবধূ নেলী সেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তারই একমাত্র উত্তরাধিকার ও বংশধর অনিল সেন। আশিতীপর বৃদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আজ গিয়েছিলেন চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ তার বাড়িতে। এই যে ভাঙ্গা টিনের ঘরটি দেখছেন এটি তারই ঘর। খালি গায়ে একটি লুঙ্গি পরে ঘরের বারান্দায় বসে ছিলেন। জানালেন জামাটি আজ ধুয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয় আর নাই তাই তাই খালি গায়ে, চোখে ঠিকমত দেখেন না, টাকার অভাবে ডাক্তার দেখানো হয় না। দিন কাটে অনাহারে অর্ধাহারে। শরীরের এমন অবস্থা যে বুকের সব কয়টি হাড় গুনে ফেলা যায়।
প্রতি বছর,জে.এম.সেন হল ভবন,এবং মাঠ ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে এই প্রতিষ্টানের কমিটি। তাদের বিবেকে কি ঘূণে ধরেছে? তারা চাইলেই তো যাত্রা মোহন সেন এর পরিবার কে একটি বাড়ি তৈরি করে দিতে পারে,আর্থিক সহযোগীতা করতে পারে। কিন্তু তারা এটা জীবনেও করবেনা।
এটা করলে তাদের ভাগে কম পড়বে।
কেউ জে,এম, সেন হল বেচে খায়,আর কেউ না খেয়ে মরে।
বর্তমানে এই হলের লক্ষ লক্ষ টাকা এই কমিটির লোকজন কি করছে,কোন খাতে ব্যায় করছে তা খতিয়ে দেখা জরুরী !
আশাকরি বর্তমান জনপ্রতিনিধি, সমাজের বিত্তবান ও বিবেকবান মানুষ, সর্বোপরি হিন্দু সমাজ এবং হিন্দু সংগঠন গুলো এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে।এগিয়ে আসুন এই দানবীরের দুর্দশায়।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।