1. ছবি তোলা:
ইসলামের প্রথম দিকে যে কোন প্রাণীর ছবি আঁকা হারাম ছিল। পরবর্তীতে Camera আবিষ্কার হলে, প্রাণীর ছবি তোলাও হারাম বলে পরিগণিত হয়। Latest ফতোয়া অনুসারে এই নিয়ম নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী Bend করা হয় (As Usual)। এখন ছবি তোলার Permission দেয়া হয়েছে তবে তা হতে হবে অনিবার্য কারনে, যেমন হজ্জের Passport করার জন্য। মুসলমানেরা কি শুধুই অনিবার্য কারনে ছবি তোলে? এদের Facebook Profile দেখে তা মনে হয় না।
2. সুদ:
শুধু সুদ লেন-দেন নয়, এর সাথে জড়িত সবাই জাহান্নামী। সুদকে মায়ের সাথে যিনা করার সাথেও তুলনা করা হয়েছে। আমার এক বান্ধবীর ছোট বোন সোনালী ব্যাংকে চাকরি পায়। তার বাবা-মা আনন্দে আত্নহারা। অথচ তারা দুবার হজ্জ করে এসেছেন। এই হজ্জের মানে কি!!?? আবার অনেক মুসলমানকে দেখা যায় Mortgageএ বাড়ি কিনে একটা House Worming Party দিয়ে দেয়। Mortgage Repaymentএর বড় একটি অংশ সুদ দিতে হয়। এ যেন ইসলামকে কলা প্রদর্শন।
3. হালাল Chicken :
ইসলামে একটি প্রাণীকে হালাল উপায়ে জবাই করার সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে। Tape Recorderএ আল্লাহু আকবার বাজিয়ে Electric Shock দিয়ে একবারে হাজার হাজার মুরগি হত্যা করলে সেটা হালাল হবে - এমন কোন কিছু আমি ইসলামে পাইনি। তাই যারা ঠোঁট গোল করে বলেন আমরা হালাল chicken খাই ,তারা বিষয়টি নিয়ে একটু চিন্তা করতে পারেন।
4.মাহরাম:
আপনি এখন মুসলিম নারী? মাহরাম মেনে চলা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক। আপনি কি মাহরাম নিয়ে Office করেন বা Classএ যান বা বাজারে? আমাদের সমাজে কয়জন মেয়ে তার বাবা/স্বামী/ভাই বা যেকোন মাহরাম নিয়ে ঘর থেকে বের হয়? এটা না মানলে মেয়েদের নির্ঘাত জাহান্নাম।
5. Girls' Appearance:
পর্দা নিয়ে মশকরাটা ইদানিং খুবই বেড়ে গেছে।পর্দা করেন কিন্তু আপনার টাইমলাইন দেখলে মনে হয় ফটো এলবাম। Tiktok Videoতে যেন আরও বেশি অগ্রগামী। ভ্রূ -pluck আর মেকআপ করে অন্যের কাছে নিজেকে প্রেজেন্ট করে কি পর্দা করা হয়? পর্দার মূল উদ্দেশ্যই এই মূর্খগুলি বোঝে নি।
6. জন্মদিন:
এ যেন মুসলমানদের জীবনের এক অবিচ্ছদ্য অংশ। ঘরোয়াভাবে বা বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কারও জন্মদিন পালন করেন নি এমন মুসলমান পাওয়া অনেকটা অসম্ভব হবে। At Least কারও Birthdayতে wishও করেন নি? জানেন কি একজন মুসলমান হিসেবে আপনি এটা করতে পারেন না। এসব কাজ করা হারাম। এগুলি ইহুদি-নাসারাদের Culture.
7.অমুসলিম Friend:
অমুসলিমরা হল সৃষ্টির সর্ব নিকৃষ্ট। এদের সাথে আপনি প্রয়োজনে মিশতে পারবেন কিন্ত বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন না। কাজেই একজন মুসলমান হিসেবে আজই অমুসলিম বন্ধু পরিহার করুন। তা না হলে হাশরের ময়দানে তাদের সাথেই আপনার ঠাঁই হবে।
8.বীমা:
ইসলামে Insurance করা সম্পূর্ণ হারাম। কারন বিপদ থেকে বাঁচাবেন আল্লাহ। কিন্ত মুসলমানেরা সেই আল্লাহর উপর বিশ্বাস না রেখে Home, Car, Life insurance করে থাকে। অনেকটা শিরক হয়ে যায় বিষয়টা। আল্লাহ্ সব কিছু মাফ করলেও শিরকের অপরাধ মাফ করবেন না।
9.সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানাদি:
বেশির ভাগ মুসলমানেরাই পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন , New Year , মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি পালন করে থাকে। আপনি যদি আসলেই মুসলমান হতেন, তাহলে এগুলো পালন করতেন না। এসব শিরকের সমতুল্য।
10. TV, Cinema, Music:
আপনার বাসায় TV আছে? আপনি কি সিনেমাও দেখেন? তাহলে আপনি চোখের যিনা করছেন। ইসলামে এটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। আজই আপনার TVটি ফেলে দিন। আর ইসলামে শুধু দফের Musicএর (প্রাচীন আরবের একপ্রকার ঢোল, যার এক দিকে চামড়ায় মোড়ান ) অনুমতি দেয়া আছে। গান শোনার মত একটি নিরীহ ব্যাপারের শাস্তি হল কান দিয়ে গরম, গলিত শিশা ঢেলে দেয়া। ইদানিং হামদ-নাত এমনকি কুরআন তিলাওতেও Musicএর ব্যবহার দেখি!!!
11. নামাজ:
একটি মুসলমানের জীবনের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দিনে ৫বার নামাজ পড়া। এ ব্যাপারে কোনো রকম ছাড় নেই। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, বার্ধক্য, সফর, যুদ্ধ যাই ঘটুক না কেন, নামাজ পড়তেই হবে। কিন্ত বিভিন্ন Excuse দেখিয়ে প্রার্থনা কি ভাবে কামাই দেয়া যায় তা মুসলমানদের থেকে অন্যরা শিখতে পারে।
12. Men’s’ Appearance:
ইসলামে টাখনুর নিচে কাপড় পরা কবিরাহ গুনাহ। যারা টাখনুর নিচে কাপড় পরবে তারা জাহান্নামের আগুনে পুরবে। শুধু তাই নয়, টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারীদের উপর আল্লাহ এতোই ক্ষীপ্ত হবেন যে, হাশরের ময়দানে তাদের দিকে তাকাবেনও না। মুখে মুখে ইসলামের বুলি আর মনে মনে Western Fashion/Out Fit follow করাও মুসলমান পুরুষদের একটি ভণ্ডামি। কতজন মুসলিমের দাড়ি আছে? আর যাদের আছে, তাদের বেশির ভাগই Fashionএর দাড়ি। সুন্নতি দাড়ি কয়জনের?
13. অমুসলিম দেশে বসবাস:
অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা তাদের জীবন-যৌবন শেষ করে দিয়ে ইহুদি-নাসারাদের দেশগুলির Citizenshipপায়। এই উপলক্ষে অনেকে Partyও Throw করে। কিন্ত তাদের বাচ্চাদেরকে Christmas, Halloween ইত্যাদি সংষ্কৃতির সাথে Blend হতে দেয় না। কারন এসব ইহুদি-নাসারাদের সংষ্কৃতি!! How silly is that!!! আপনি জানেন কি, যে অমুসলিম দেশে প্রকাশ্যে আজান দেয়া যায় না বা পশু কুরবানী দেয়া যায় না, সে সব অমুসলিম দেশে মুসলিমদের স্থায়ীভাবে বসবাস করা হারাম? আপনার উচিত এখনই দেশে ফিরে যাওয়া।
14. পরিবার পরিকল্পনা:
মুখ দেন আল্লাহ, রিজিকও দেবেন আল্লাহ। কেউ যদি স্বাস্থগত কারন ছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে সে ইসলামের আইন অমান্য করল। কিন্তু সবারই তো দেখি Maximum ২টি বাচ্চা হয়। তাহলে কি আপনি আল্লাহর উপর বিশ্বাস হারিয়ে Family Planning করছেন? আপনি কি এখনো মুসলিম আছেন?
15. খেলা-ধুলা:
ইসলামে ৩টি খেলা জায়েজ আছে। তা হল জিহাদের উদ্দেশ্য ঘোড়দৌড়, তীরন্দাজি ও সাঁতার। কিন্তু আপনারা যারা Stadiumএ গিয়ে বাংলাদেশের খেলা দেখলেন বা টিভিতে খেলা দেখেন বা নিজেই খেলা-ধুলা করেন, তারা ইসলাম বহির্ভূত কাজ করছেন। এখনও সময় আছে এসব বন্ধ করুন।
আপনি যদি নিজেকে আসলেই মুসলিম দাবি করেন তাহলে You have to accept Islam as a whole. নিজের সুবিধা মত cherry pick করার কোন অবকাশ নেই। আর যদি চান, আপনি বলতে পারেন এই অসুস্থ জীবন-বিধান কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে মেনে চলা মেনে চলা সম্ভব নয়। So I reject it. দুই নৌকায় পা দিয়ে নিজের এবং ইসলামের ১২টা বাজাবেন না।
সৌজন্যে: Sabrina Wayez
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।