২০০৩ সালে, ড. বিজন কুমার শীল সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এই ‘র্যাপিড ডট ব্লট’ পদ্ধতিটিও ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স ভাইরাস মোকাবেলা করে।
দেশে করোনাভাইরাস কিট উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীল গণস্বাস্থ্যে কাজ করেন। ড. বিজন কুমার শীল ও তার নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।উল্লেখ্য এটাকে আবিস্কারক বা আবিষ্কার বলা ভুল। এর অনেক পদ্ধতি অলরেডি আগে থেকে প্রচলিত ছিল। তিনি ভিন্ন একটি একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।
হিন্দু হওয়ায় সাম্প্রদায়িক রোষানলের স্বীকার হয়ে একসময় তিনি বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান সিংগাপুরে, জয়েন করেন সিংগাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে। এরপর ঐ চাকরি ছেড়ে জয়েন করেন এমপি নামক একটা বায়োলজিকস আমেরিকান কোম্পানিতে, ওটার মালিক ছিলেন যুগোস্লাভিয়ার একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
এরপর নিজেই বায়োলজিক্যাল রিয়েজেন্ট তৈরি ও ব্যবসা শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে। সেখানে তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি মনযোগ দেন গবেষণায়।
‘ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
আজ এই অবহেলিত চিকিৎসক, গবেষক করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ কিট আবিস্কার করে দেশ ও জাতির কল্যানে এগিয়ে এসেছেন।
ড. বিজন কুমার শীল, পিএইচ ডি (ইউনিভার্সিটি অব সারে, ইংল্যান্ড), ডিভিএম (ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট)(বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), এমএসসি (ফার্স্ট ক্লাশ) ইন মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইম্যুনোলজি (বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)
‘ড. বিজন ও তার দলের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত সম্ভব’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বলে শনাক্ত করা যাবে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কি না। এতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মতো। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে এই কিটস ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বাজারজাত করতে সম্ভব মর্মে জানা গেছে। তবে এর এফেক্টিভনেস দেখতে হয়তো আমাদের আরো অফেক্ষা করা প্রয়োজন।
চুড়ান্ত অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষে স্বল্প সময়ে বাজারজাতকরণ সম্ভব হলে বাংলাদেশ সহ পুরো মানব জাতী উপকৃত হবে।পুনরায় ধন্যবাদ ডঃ বিজন এবং তাঁর গবেষক সহযোগীদের। ইতিপুর্বে ডঃ বিজন BLRI তে কর্মকালীন সময়ে ছাগলের PPR রোগের টাকা উদ্ভাবন করেন যা বিশ্বব্যাপি সমাদৃত হয়।
সারা বিশ্বে করোনা মহামারীর সময় বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলের এই অবদান ১৬ কোটি মুসলমানের আশার আলো জাগাচ্ছে। অথচ হিন্দু হওয়ার কারণে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে তাকেই একদিন চাকুরী ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।