প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীন ও ইতালির পর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে ইরানে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইরানে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭২৪। আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৯০০ জন। করোনার থাবায় প্রাণ গেছে বেশ কয়েকজন শীর্ষ রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তাও।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাওয়া ইরান এবার সাহায্য চাইল ভারতের। করোনা রুখতে নরেন্দ্র মোদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে চিঠি লিখে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, 'এই ভাইরাস কোনও সীমানা মানছে না। রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সংস্কৃতির বেড়াজাল ভেঙে আজ গোটা বিশ্বের কাছে প্রাণঘাতী শত্রু হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। কিন্তু, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার জন্য তাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। নাগরিকদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারছে না তারা। এটা খুবই অনৈতিক ও অমানবিক একটি কাজ। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের এই সময় এটা উচিত নয়। আমরা বিশ্ববাসীর সাহায্য কামনা করছি।'
আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে এমনিতেই ইরানের অর্থনীতিতে কিছু সমস্যা ছিল। এখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপের ফলে তা আরও বেড়েছে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে তারা।
কিন্ত মজার ব্যাপার হলো,পাকিস্তান বাংলাদেশ সহ আরো যেসব দেশ রয়েছে সেখানকার মুসলিমরা আবার ইরানের এই কাজে নাখোশ। কারন দিল্লীর এই ঘটনায় এমনিতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর বেশিরভাগ মুসলিমরাই ক্ষেপে আছে,তার উপর ইরানের এই কাজে সব মুসলিম বিশ্বেই হায় হায় রব উঠে গেছে। বিশেষ করে ফেসবুক সহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে সেটাই মনে করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।