জার্মানিতে মসজিদে বিশাল যুদ্ধাস্ত্রের সন্ধান !

জার্মানির একটি র‌্যাডিক্যাল মসজিদের নিকটে “যুদ্ধের অস্ত্রের” একটি বিশাল অস্ত্রাগার পাওয়া গিয়েছে এবং আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল যে সন্ত্রাসীরা পুরো ইউরোপ জুড়ে আক্রমণ চালাতে সজ্জিত রয়েছে।

অস্ত্রগুলি উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে সোয়াট টিমের অভিযানের পরে একটি বড় আকারের ফ্রিজে পাওয়া গিয়েছিল। ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের স্থানীয় রাজনীতিবিদ ইসমাইল টিপি ইসলামিক স্টেটের স্লিপার সেল একই ধরণের অস্ত্রাগার রাখার সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন।

"আমার তথ্য অনুসারে, এই অভিযানে ভারী সামরিক অস্ত্র সহ একটি অস্ত্রের গুপ্ত সুড়ঙ্গ খনন করা হয়েছিল," টিপি শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিলেন। “জার্মানিতে হিংস্র মুসলিম মৌলবাদীদের সশস্ত্র করার বিপদ অনেক বড়। এটি এই গোপন অস্ত্রের ব্যবহারকে আরও পরিষ্কার করে তোলে।"

 ২০১৫ সালের ৭ই জানুয়ারী প্যারিসে কার্টুনিস্ট চার্লি হেড্ডোকে হত্যার জন্য ব্যবহৃত কিছু অস্ত্র ছিল যা ১৯৯০ এর দশকে বসনিয়া যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে। আন্টি টেরিজম ইউনিট ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া এবং স্লোভাকিয়া থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে - এই দেশগুলিকে বন্দুক বিক্রির নিয়মাবলী কঠোর করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপে রয়েছে।

টিপি বলেছিলেন, "ভয়টা বিরাট যে জার্মানিতে সালাফিস্ট স্লিপার সেল, জিহাদি এবং আইএসআইএস সন্ত্রাসীরা বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সমর্থন পেয়ে থাকে যা আমাদের পক্ষে বন্ধুত্বপূর্ণ নয়,"। “আমরা ধরে নিতে পারি যে একটি বড় আক্রমণের গোপন অস্ত্রাগুলি কেবল জার্মানি নয় গোটা ইউরোপেই ব্যবহৃত হয়। আমরা যদি এই বিপদকে স্বীকৃতি না দিয়ে এবং এই অস্ত্রাগারগুলিকে উন্মুক্ত না করি তবে এটি খুব অবহেলা হবে"! এটি ইউরোপের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনবে।

ফরাসী কর্তৃপক্ষ প্যারিসে ১৩ই নভেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পরে অভিযান চালিয়ে ৩৩৪টি যুদ্ধ গ্রেনেড উদ্ধার করেছিল এবং ২২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল যার সবাই মুসলিম। প্রায় ১৬০টি সন্দেহভাজন মসজিদ সেদেশে মৌলবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
সূত্রঃ  Daily Caller