শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারণে পাক ক্রিকেটার দানেশ কানেরিয়ার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিতর্কের মাঝে বিস্ফোরক দাবি করলেন শোয়েব আখতার। তাঁর কথায়, ''হিন্দু হওয়ার জন্য এক টেবিলে খেতে দেওয়া হত না।'' দানিশ কানেরিয়াকে আলাদা টেবিলে খেতে দিতেন পাক ক্রিকেটাররা!
পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলে পিটিভি স্পোর্টসে 'গেম অন হ্যায়' অনুষ্ঠানে শোয়েব আখতার বলছেন,''আঞ্চলিক ব্যাপার নিয়ে আমার কেরিয়ারে দু-তিনজনের (ক্রিকেট দল) সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। যেমন- করাচি, পঞ্জাব বা পেশোয়ার। দানেশ কানেরিয়া এক টেবিলে খেতে বসলে ভ্রু কোঁচকাতেন অধিনায়ক। ধর্মের কারণে খাবার তুলতে দেওয়া হন না কানেরিয়াকে।''
কানেরিয়ার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন শোয়েব। তাঁর কথায়,''আমি বলেছিলেন, অধিনায়ক তুমি ঘরে। তোর দেশকে জিতিয়েছে ও। দানেশ না থাকলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততাম না। বড় বড় ব্যাটসম্যানকে ও আউট করেছে। আমি তো টেলএন্ডারদের ৪ উইকেট নিয়েছিলাম। কেন কৃতিত্ব দিচ্ছেন না?''
শোয়েব আরও বলেন,''ধর্ম বা আঞ্চলিক বৈষম্য আমি পছন্দ করি না। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া হিন্দুর দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার রয়েছে। একজন হিন্দুর জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ (২০০৫) জেতার পর আমি সতীর্থ বলেছিলাম।''
মনসুর আলি খান পতৌদি, মহম্মদ আজহারউদ্দিনরা নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতকে। এখনও চুটিয়ে খেলছেন মহম্মদ সামিরা। কিন্তু পাকিস্তানে মাত্র ২ জন হিন্দু ক্রিকেটার খেলার সুযোগ পেয়েছেন। অনিল দলপতের পর দানেশ কানেরিয়া পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ৬১ টেস্টে ৩৪.৭৯ গড়ে দানেশের সংগ্রহ ২৬১টি উইকেট। ১৮টি একদিনের ম্যাচও খেলেছেন। টেস্টে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় এখনও চতুর্থস্থানে দানেশ কানেরিয়া।
অথচ কানেরিয়া কখনো মুখ ফুটে এসব বর্ণবাদের কথা বলার সাহস পাননি। একটা দেশে সংখ্যালঘুরা কত আতঙ্কে থাকলে এতো অপমান নিরবে সহে যেতে হয় ?
সূত্রঃ জী নিউজ, ইন্ডিয়া টুডে
পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলে পিটিভি স্পোর্টসে 'গেম অন হ্যায়' অনুষ্ঠানে শোয়েব আখতার বলছেন,''আঞ্চলিক ব্যাপার নিয়ে আমার কেরিয়ারে দু-তিনজনের (ক্রিকেট দল) সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। যেমন- করাচি, পঞ্জাব বা পেশোয়ার। দানেশ কানেরিয়া এক টেবিলে খেতে বসলে ভ্রু কোঁচকাতেন অধিনায়ক। ধর্মের কারণে খাবার তুলতে দেওয়া হন না কানেরিয়াকে।''
কানেরিয়ার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন শোয়েব। তাঁর কথায়,''আমি বলেছিলেন, অধিনায়ক তুমি ঘরে। তোর দেশকে জিতিয়েছে ও। দানেশ না থাকলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততাম না। বড় বড় ব্যাটসম্যানকে ও আউট করেছে। আমি তো টেলএন্ডারদের ৪ উইকেট নিয়েছিলাম। কেন কৃতিত্ব দিচ্ছেন না?''
শোয়েব আরও বলেন,''ধর্ম বা আঞ্চলিক বৈষম্য আমি পছন্দ করি না। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া হিন্দুর দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার রয়েছে। একজন হিন্দুর জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ (২০০৫) জেতার পর আমি সতীর্থ বলেছিলাম।''
মনসুর আলি খান পতৌদি, মহম্মদ আজহারউদ্দিনরা নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতকে। এখনও চুটিয়ে খেলছেন মহম্মদ সামিরা। কিন্তু পাকিস্তানে মাত্র ২ জন হিন্দু ক্রিকেটার খেলার সুযোগ পেয়েছেন। অনিল দলপতের পর দানেশ কানেরিয়া পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ৬১ টেস্টে ৩৪.৭৯ গড়ে দানেশের সংগ্রহ ২৬১টি উইকেট। ১৮টি একদিনের ম্যাচও খেলেছেন। টেস্টে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় এখনও চতুর্থস্থানে দানেশ কানেরিয়া।
অথচ কানেরিয়া কখনো মুখ ফুটে এসব বর্ণবাদের কথা বলার সাহস পাননি। একটা দেশে সংখ্যালঘুরা কত আতঙ্কে থাকলে এতো অপমান নিরবে সহে যেতে হয় ?
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।