পশ্চিমবংগের দক্ষিন চব্বিশ পরগণা জেলার বাসন্তী ব্লকের বিভিন্ন স্থানে (চরাবিদ্যা, মোকামবেড়িয়ার মতো বিভিন্ন অঞ্চলে) একসময় জেহাদি মুসলিমদের দৌরাত্ম আকাশছোঁয়া ছিলো। বাসন্তী ব্লকের বিভিন্নস্থান ছিলো ওদের স্বর্গরাজ্য, দৌরাত্মের মুক্তাঞ্চল।বহু হিন্দু ব্যবসায়ী এবং একটু সঙ্গতিসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছ প্রতিদিন তারা চাদা আদায় করতো।যাকে ইসলামিক ভাষায় আধুনিক "জিজিয়া কর" বলা হয়।বেশ কিছু রাস্তা দিয়ে হিন্দু মেয়ে বৌদের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। হাত ধরা ,ওড়না টেনে ধরা, শাড়ি ধরে টানা দেয়া,একসময় টেনে গলিতে ঢুকিয়ে নিয়ে .......এরকম বহু ঘটনাই সেখানকার নিত্যদিনের ব্যাপার ছিল।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঐ মেয়ে বৌদের অভিভাবকরা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতো।পারলে সেইসব দুস্কৃতিদের মাথাদের কাছেই করুণ আবেদন করতে যেত। প্রতিরোধ, প্রতিশোধ তো দূর, , থানায় অভিযোগ করার সাহসটুকু পর্যন্ত ছিলো না।
তবে কয়েক বছর আগে থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়া শুরু হয়। হিন্দু যুবকদের ভেতরে প্রতিরোধ আর প্রতিশোধের আগুন জ্বলা শুরু হয়। তারপর গত কয়েক বছর ধরে হিন্দু সংহতির নেতৃত্বে তৈরি হয় সুসংগঠিত হিন্দু প্রতিরোধভূমি।বেশ কয়েকটা মুখোমুখি সংঘর্ষের পর চরাবিদ্যা,পালবাড়ী এলাকায় জিহাদিদের টিকিটিও খুজে পাওয়া যায় না। এখন এই এলাকাগুলি দিয়ে হিন্দু মেয়েরা অবাধে চলাফেরা করে। হিন্দুদের আর জিজিয়া করের আতঙ্ক তাড়া করে না। বছর দেড়েক পূর্বে ত্বহা সিদ্দিকির ভাই কাশেম সিদ্দিকি এর জিহাদিদের সাথে হিন্দু সংহতি মুখোমুখি সংঘর্ষ এর পর এই এলাকায় সেসব জিহাদি আর ফিরে আসবার সাহস ও করেনি।
হিন্দু সংহতির এই সিংহের কলিজাসম্পন্ন ছেলেরা সঠিক অর্থে হিন্দু সমাজের আদর্শ ব্যক্তিত্ব। ঝামেলা , কেস, পুলিশি হয়রানি এদের নিত্যসঙ্গী।তবুও এরা শুধু ময়দানে পাঞ্জাই লড়ে না, নিজেদের স্বল্প উপার্জন থেকেও এরা আর্থিক অনুদান দেয় হিন্দু সমাজের স্বার্থে। তারাই আমাদের আদর্শ, পথপ্রদর্শক।
courtesy:TOTON OJHa(Hindu Samhat)
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।