সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী মারা গেছেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৪টায় তিনি মারা যান। সুবীর নন্দীর জামাতা রাজেশ সিকদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন।
সুবীর নন্দী গত ১২ এপ্রিল পরিবারের সবাইকে নিয়ে মৌলভীবাজারে আত্মীয়ের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যান। ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার ট্রেনে ওঠার জন্য বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গলে আসেন তারা। ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুবীর নন্দী। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুর নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে। সেদিন বিকেলেই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা শুরু হয়।উন্নত চিকিৎসার জন্য সাত দিন আগে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের এমআইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।
সুবীর নন্দী (১৯ নভেম্বর ১৯৫৩) হলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী। তিনি মূলত চলচ্চিত্রের গানে কন্ঠ দিয়েই খ্যাতি অর্জন করেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গীতে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করেন। তিনি মহানায়ক (১৯৮৪), শুভদা (১৯৮৬), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও মহুয়া সুন্দরী (২০১৫) চলচ্চিত্রের গানে কন্ঠ দিয়ে পাঁচবার এই পুরস্কার লাভ করেন।
সঙ্গীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।সুবীর নন্দী হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানায় নন্দী পাড়া নামক মহল্লায় এক কায়স্থ সম্ভ্রান্ত সঙ্গীত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।।তার নানা বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাদেআলিশা গ্রামে. তার পিতা- সুধাংশু নন্দী ছিলেন একজন চিকিৎসক ও সঙ্গীতপ্রেমী। তার মা পুতুল রানী চমৎকার গান গাইতেন কিন্তু রেডিও বা পেশদারিত্বে আসেন নি। ১৯৬৩ সালে তৃতীয় শ্রেণী থেকেই তিনি গান করতেন। এরপর ১৯৬৭ সালে তিনি সিলেট বেতারে গান করেন। তার গানের ওস্তাদ ছিলেন গুরু বাবর আলী খান। লোকগানে ছিলেন বিদিত লাল দাশ।[৫] সুবীর নন্দী গানের জগতে আসেন ১৯৭০ সালে ঢাকা রেডিওতে প্রথম রেকর্ডিং এর মধ্য দিয়ে। প্রথম গান 'যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়' -এর গীত রচনা করেন মোহাম্মদ মুজাক্কের এবং সুরারোপ করেন ওস্তাদ মীর কাসেম। ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রে গেয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। চলচ্চিত্রে প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত সূর্যগ্রহণ চলচ্চিত্রে। ১৯৮১ সালে তার একক অ্যালবাম "সুবীর নন্দীর গান" ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে বাজারে আসে। তিনি গানের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ব্যাংকে চাকরি করেছেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা:
শিল্পকলায় একুশে পদক (২০১৯)
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
১৯৮৪: শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী - মহানায়ক
১৯৮৬: শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী - শুভদা
১৯৯৯: শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী - শ্রাবণ মেঘের দিন
২০০৪: শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী - মেঘের পরে মেঘ
২০১৫: শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী - মহুয়া সুন্দরী
বাচসাস পুরস্কার
১৯৭৭: সেরা পুরুষ কন্ঠশিল্পী[৯]
১৯৮৫: সেরা পুরুষ কন্ঠশিল্পী - শুভরাত্রি
১৯৮৬: সেরা পুরুষ কন্ঠশিল্পী - শুভদা
Tuesday, May 7, 2019
Home
বাংলাদেশ
বিনোদন
লাইফস্টাইল
চলে গেলেন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী
চলে গেলেন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী
Tags
# বাংলাদেশ
# বিনোদন
# লাইফস্টাইল
Share This
About UHC Report
লাইফস্টাইল
Tags:
বাংলাদেশ,
বিনোদন,
লাইফস্টাইল
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
অন্যান্য
Post Bottom Ad
Author Details
সত্য ও সঠিক ইনফর্মেশনে সম্মৃদ্ধ একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম।বিশ্বব্যাপী হিন্দুর গৌরব তুলে ধরতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।