সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রিস্টচার্চে মসজিদে এক দুর্বৃত্তের হামলার পর ঘটনাটি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। আর এই সুযোগ নিয়ে মুসলমানরা অনেক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ! দুটো বিষয় উপমহাদেশে খুবই ভাইরাল হয়েছে ক্রিস্টচার্চের মসজিদে হামলার পর। প্রথমটি হলো "৫০ জন মুসলমান হত্যার পর নিউজিল্যান্ডে ৩৫০ জনের ইসলাম গ্রহণ"। দ্বিতীয়টি হলো "একটি ছবি"। ছবিটি মুসলমানদের বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপ বা পেইজে শেয়ার করে ভাইরাল করা হচ্ছে।
কিন্তু ফ্যাক্ট চেক করে জানা যাচ্ছে যে এই দুটোই ভুয়া। আজকের মতো দ্বিতীয়টি তুলে ধরছি। প্রথম দিকে পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহল নামের একটি ইসলামী পেইজে ছবিটি ছাড়া হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছবিটি ৯৫৮ বার শেয়ার ১.৭ হাজার বার লাইক করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে -
"আপনারা নিশ্চিন্তে নামাজ পড়ুন,
আমরা মসজিদর বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিবো।
নিউজিল্যান্ডের সাধারন মানুষ।
নিউজিল্যান্ড থেকে ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্বের এই বার্তাটি ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে।"
পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহল নামক পেজের স্ক্রিনশট স্ক্রিনশট নিচে দেয়া হলো।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে এটি একটি ১০০% ভুয়া সংবাদ। এই ছবির সাথে সংবাদটির কোন মিল নেই। "পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহল" নামের পেইজে নিউজিল্যান্ডের ঘটনা বলা হলেও অনেক মুসলিম আবার এটাকে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ঘটনা বলছেন। তখনি আমার প্রথম খটকা লাগে। শুরু করি গুগল সার্চ। যেটা পেলাম তা হলো -
Islam Thought নামের একটি টুইটার একাউন্ট থেকে ছবিটি প্রথম টুইট করা হয়। তারিখ ছিল ২০১৭ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি। টুইটে বলা হয়েছে এই ছবিটি রোটারড্যামের এসলাম মসজিদের। মসজিদের জুম্মার নামাজ চলাকালে মানববন্ধন করছিলেন স্থানীয় ডাচরা।
আরো খোঁজ করে পাওয়া যায় The Straitstimes নামক একটি ডাচ পত্রিকা ২০১৭ সালের ৬ই মার্চ একটি হেডলাইন করে।
সেটি ছিল মূলত একজন ডাচ ডানপন্থী নেতার বিরুদ্ধে। একজন ডানপন্থী ডাচ নেতা হল্যান্ডের সব মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই সাথে হল্যান্ডে কোরান নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছিলেন। তারই প্রতিবাদে কয়েকজন ডাচ মসজিদের সামনে মানববন্ধন করেছিলেন।সুতরাং ১০০% সততার সাথে বলা যায় "পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহল" যে নিউজিল্যান্ডের মসজিদ বলে দাবি জানাচ্ছে বা অন্যান্য মুসলমানরা যে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মসজিদ বলে দাবি জানাচ্ছে তা সবই ভুয়া ! ২০১৭ সালের এক ভিন্ন ঘটনার ছবি এখনকার (২০১৯) বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। চোখ কান খোলা রাখুন। সত্যকে জানুন।
কিন্তু ফ্যাক্ট চেক করে জানা যাচ্ছে যে এই দুটোই ভুয়া। আজকের মতো দ্বিতীয়টি তুলে ধরছি। প্রথম দিকে পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহল নামের একটি ইসলামী পেইজে ছবিটি ছাড়া হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছবিটি ৯৫৮ বার শেয়ার ১.৭ হাজার বার লাইক করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে -
"আপনারা নিশ্চিন্তে নামাজ পড়ুন,
আমরা মসজিদর বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিবো।
নিউজিল্যান্ডের সাধারন মানুষ।
নিউজিল্যান্ড থেকে ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্বের এই বার্তাটি ছড়িয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে।"
পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহল নামক পেজের স্ক্রিনশট স্ক্রিনশট নিচে দেয়া হলো।
পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহল নামক পেজের স্ক্রিনশট |
Islam Thought নামের একটি টুইটার একাউন্ট থেকে ছবিটি প্রথম টুইট করা হয়। তারিখ ছিল ২০১৭ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি। টুইটে বলা হয়েছে এই ছবিটি রোটারড্যামের এসলাম মসজিদের। মসজিদের জুম্মার নামাজ চলাকালে মানববন্ধন করছিলেন স্থানীয় ডাচরা।
আরো খোঁজ করে পাওয়া যায় The Straitstimes নামক একটি ডাচ পত্রিকা ২০১৭ সালের ৬ই মার্চ একটি হেডলাইন করে।
সেটি ছিল মূলত একজন ডাচ ডানপন্থী নেতার বিরুদ্ধে। একজন ডানপন্থী ডাচ নেতা হল্যান্ডের সব মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই সাথে হল্যান্ডে কোরান নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছিলেন। তারই প্রতিবাদে কয়েকজন ডাচ মসজিদের সামনে মানববন্ধন করেছিলেন।সুতরাং ১০০% সততার সাথে বলা যায় "পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহল" যে নিউজিল্যান্ডের মসজিদ বলে দাবি জানাচ্ছে বা অন্যান্য মুসলমানরা যে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মসজিদ বলে দাবি জানাচ্ছে তা সবই ভুয়া ! ২০১৭ সালের এক ভিন্ন ঘটনার ছবি এখনকার (২০১৯) বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। চোখ কান খোলা রাখুন। সত্যকে জানুন।
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।