ভালোবেসে মুসলিম ছেলের হাত ধরে পলায়ন: অতঃপর সেই ছেলের হাতেই খুন হলো মেয়েটি - UHC বাংলা

UHC বাংলা

...মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম!

ব্রেকিং নিউজ

Home Top Ad

Thursday, April 16, 2020

ভালোবেসে মুসলিম ছেলের হাত ধরে পলায়ন: অতঃপর সেই ছেলের হাতেই খুন হলো মেয়েটি

রাজ্জাকের সঙ্গে পরিচয় হয় কলেজছাত্রী ঈশিতার। মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পর ২৯ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটার হোটেল হলিডে ইন’-এ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওঠে দুজন। এর দুদিন পর ৩ মার্চ ভোরে ঈশিতা করের মরদেহ হোটেল কক্ষের বিছানায় পাওয়া যায়। নিপীড়নের পর ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে।
অবশেষে বুধবার বিকালে মরদেহের শনাক্তের পর নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবা নিপুণ কর বাদী হয়ে মহিপুর থানায় বুধবার একটি হত্যা মামলা করেছেন।
ওই তরুণীর নাম ঈশিতা কর। তিনি বরিশালের আগৈলঝাড়া শেখ হাসিনা মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ঈশিতা করের বাড়ি আগৈলঝাড়া উপজেলার বড়পাইতা গ্রামে, বাবার নাম নিপুণ কর।


তদন্ত কর্মকর্তা মহিপুর থানার এসআই মো. সাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ আসামির নাম-ঠিকানা হাতে নিয়ে তাকে গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
এসআই জানান, যশোরের কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাট গ্রামের হামেত আলী সরদারের ছেলে রাজ্জাক পেশায় ইটভাটা শ্রমিক। মাঝেমধ্যে তিনি সড়ক সংস্কারেও শ্রমিকের কাজ করতেন। গত চার মাস আগে আগৈলঝাড়ার বড়পাইতা গ্রামে একটি সড়কে কাজ করতে এসে রাজ্জাকের সঙ্গে পরিচয় হয় কলেজছাত্রী ঈশিতার। এর পর মোবাইল ফোনে অসম প্রেমের সম্পর্ক গড়ায়।

সবশেষ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটায় এসে হোটেল হলিডে ইন-এ অবস্থান নেয় দুজনে। এর দুদিন পর ৩ মার্চ ভোরে ঈশিতা করের মরদেহ হোটেল কক্ষের বিছানা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। প্রথমে পুলিশ ইউডি মামলা নিলেও নিহতের পরিবার মরদেহ শনাক্তের পর ফুসলিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করে।
মহিপুর থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইদুর যুগান্তরকে জানান, প্রতারক রাজ্জাককে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আসামি রাজ্জাককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ ও মরদেহ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্জাক সরদার ও ঈশিতা ভুয়া নাম ঠিকানায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল হলিডে ইনের ২০৮ নম্বর কক্ষে ওঠেন। এর পর ৩ মার্চ ভোরে ঈশিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পলাতক থাকে রাজ্জাক।

No comments:

Post a Comment

পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।

অন্যান্য

Post Bottom Ad

আকর্ষণীয় পোস্ট

code-box