ইসলামিক তাকিয়া লিমিটেড কোম্পানি
আমি ব্রাহ্মণের মেয়ে, তাই শাস্ত্র পাঠ করার সুযোগ হয়েছে, শেষ পর্যন্ত অথর্ববেদ পড়ে জানতে পারি সেখানে অল্ল, অল্লা, ইল্লা শব্দের উল্লেখ আছে এবং আমি বুঝতে পারি যে হযরত মুহম্মদ (সা.) ই কল্কি অবতার্ এবং মুহম্মদ ই পরমেশ্বর ব্রহ্মা (ব্রহ্ম নয়)কে পাওয়ার এক মাত্র পথ। তখনই আমার মাথায় আল্লার ব্যাপারটা আসে এবং আমি ইসলাম গ্রহণের জন্য বেকারার হয়ে যাই। তারপর আমার এক ক্লাসমেটের সাথে বিষয়টি আলোচনা করি(Now he is my husband), সে আমাকে আল্লা সম্পর্কে কিছু ধারণা দেয় এবং আমি সিদ্ধান্ত নিই ইসলাম গ্রহন করার। এরপর অনেক ঘটনা ঘটে. শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, বিকেল ঠিক ৩.৪৫ মিনিটে আমি বাড়ি থেকে পালাই এবং হাসিবের সাথে এক মসজিদের পাশে গিয়ে বাসা ভাড়া করে লুকিয়ে থাকি (বিশেষ কারণে জায়গাটার নাম উল্লেখ করছি না), সেই মসজিদের ইমামের মাধ্যমে আমরা ইসলাম মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন করি। এর দুই দিন পর, বাসায় ফোন করলে মা আমাকে বাসায় ফিরে যেতে বললে, আমি আমাদেরকে মেনে নেওয়ার শর্ত দিই, বাসা থেকে মেনে নেয়, তারপর আমি বাসায় ফিরি, এখন আমরা সুখে ও নিরাপদে আছি।
আমি ব্রাহ্মণের মেয়ে, তাই শাস্ত্র পাঠ করার সুযোগ হয়েছে, শেষ পর্যন্ত অথর্ববেদ পড়ে জানতে পারি সেখানে অল্ল, অল্লা, ইল্লা শব্দের উল্লেখ আছে এবং আমি বুঝতে পারি যে হযরত মুহম্মদ (সা.) ই কল্কি অবতার্ এবং মুহম্মদ ই পরমেশ্বর ব্রহ্মা (ব্রহ্ম নয়)কে পাওয়ার এক মাত্র পথ। তখনই আমার মাথায় আল্লার ব্যাপারটা আসে এবং আমি ইসলাম গ্রহণের জন্য বেকারার হয়ে যাই। তারপর আমার এক ক্লাসমেটের সাথে বিষয়টি আলোচনা করি(Now he is my husband), সে আমাকে আল্লা সম্পর্কে কিছু ধারণা দেয় এবং আমি সিদ্ধান্ত নিই ইসলাম গ্রহন করার। এরপর অনেক ঘটনা ঘটে. শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, বিকেল ঠিক ৩.৪৫ মিনিটে আমি বাড়ি থেকে পালাই এবং হাসিবের সাথে এক মসজিদের পাশে গিয়ে বাসা ভাড়া করে লুকিয়ে থাকি (বিশেষ কারণে জায়গাটার নাম উল্লেখ করছি না), সেই মসজিদের ইমামের মাধ্যমে আমরা ইসলাম মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন করি। এর দুই দিন পর, বাসায় ফোন করলে মা আমাকে বাসায় ফিরে যেতে বললে, আমি আমাদেরকে মেনে নেওয়ার শর্ত দিই, বাসা থেকে মেনে নেয়, তারপর আমি বাসায় ফিরি, এখন আমরা সুখে ও নিরাপদে আছি।
সূত্র: ইন্টারনেট
হিন্দুদেরকে কষ্ট দিতে এবং বিভ্রান্ত করতে এই গল্পের কোনো জুড়ি নেই।
এই গল্পকে সত্য মনে করে, বিশ্বাস করে, অনেকের মতো বিভ্রান্ত হয়েছি আমিও এবং শুধু তাই নয়, ইসলামের আরো অনেক গোপন তত্ত্ব সম্পর্কে জানতে পেরে ইসলাম সম্পর্কে সচেতন হয়েছি। তার মানে বাঁশটা খেয়েছে ইসলাম এবং মুসলমানেরাই। এছাড়াও এই ধরণের ‘তাকিয়া লিমিটেড কোম্পানি’ তো এটাই শেষ নয়, যতদিন পৃথিবীতে মুসলমান আছে, এই ধরণের কোম্পানি মাঝে মাঝে আসতেই থাকবে, তাদেরকে তো ঠেকাতে হবে, তার জন্য আমার কিছু অস্ত্র রেডি থাকলো, সুতরাং পরিশ্রম কোনোভাবেই বৃথা যায় না।
হিন্দুদের বিভ্রান্ত করার জন্য, এরা এক একটি সিন্ডিকেট খুলে, কেউ সাজে ধর্মান্তরিত মেয়ে, কেউ সেই মেয়ের মুসলিম স্বামী, আর কেউ সেই মেয়ের ভাই যারা কিনা তার মুসলিম হওয়াকে মেনে নিয়েছে। এটা ব্রেইন ওয়াশের একটা স্টেপ বাই স্টেপ থিয়োরি; একটা উদহারণ থেকে আরেকটা ঘটনাকে মেনে নেওয়ার অপচেষ্টা। ব্যাপারটা এমন, এরকম ঘটনা তো ঘটছেই, তাহলে তোমাদের বা আমাদের তা মেনে নিতে অসুবিধা কী ? এভাবে তারা এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোনো হিন্দু মেয়ের ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার পথকে তৈরি করে রাখছে মাত্র। তবে সেটা যদি না ও হয়, এইভাবে হিন্দু মেয়ের মুসলমান হওয়ার মিথ্যা গল্প বানিয়ে প্রচার করে কিছু হিন্দু মনের শান্তি তো নষ্ট করা গেলো, আর কিছু হিন্দুর রাতের ঘুমকে কেড়ে নেওয়া গেলো, এটাই বা কম কিসের ? কারণ, মুসলমানদের উদ্দেশ্যই হলো যেকোনো প্রকারে হিন্দুদেরকে কষ্ট দেওয়া, এটাও তাদের কাছে এক প্রকারের জিহাদ। যে জিহাদ না করলে তারা কখনোই বেহেশতে গিয় ৭২ হুর পেতে পারবে না।
কিন্তু মুসলমানরা পরিকল্পনা করে এরকম মিথ্যাচার করে কেনো ?
এটা বুঝতে হলে আপনাকে বুঝতে হবে ইসলামি পরিভাষার একটি শব্দ ‘তাকিয়া’ সম্পর্কে।
ইসলাম প্রচারের স্বার্থে, যে কারো সাথে, যে কোনো প্রকার মিথ্যা বলা, শঠতা করা বা প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া জায়েজ, একেই বল তাকিয়া।
Source: (https://ibb.co/SnD6c5v) wiki
বোঝেন, কত মহান ধর্ম, যার শুরুটা টু শেষ মিথ্যা দিয়ে।
ইসলামের প্রকৃত রূপ বুঝেও, যারা ইসলামকে ডিফেন্ড করতে বা রক্ষা করতে চায়, তারা জেনে বা জেনে প্রত্যেকেই এই তাকিয়ার আশ্রয় নেয় এবং এটা ইসলাম মতে জায়েজ। এজন্যই একদল মুসলমান ইসলামের নামে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে সন্ত্রাস করে, আর অন্য একদল মুসলমান তাদের সেই সন্ত্রাসকে আড়াল করার জন্য বলে ইসলাম সন্ত্রাসকে সমর্থন করে না, ইসলাম শান্তির ধর্ম ইত্যাদি ইত্যাদি। এটাই তাকিয়া, জেনে বুঝে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ইসলামকে রক্ষা করার চেষ্টা।
বাংলাদেশে এমনটা না ঘটলেও পশ্চিমবঙ্গে এটা হর হামেশায় ঘটতে শোনা যায় যে, মুসলমান ছেলেরা নিজেদের হিন্দু বলে পরিচয় দিয়ে হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং এক পর্যায়ে তাদের বিয়ে করে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়াতে সক্ষম হয়, এটাও এক প্রকারের তাকিয়া এবং ইসলাম মতে, এটা কোনো পাপ বা অপরাধ নয়।
|
যে মেয়েরা এই ধরণের ঘটনার শিকার হয়, তাদেরক বলছি, যে সম্পর্কের শুরুই হয়েছে মিথ্যা দিয়ে, সত্য জানার পর সেই সম্পর্ককে আপনি মেনে নেবেন কেনো ? সম্পর্কটা যত দূরেই গড়াক না কেনো, ওর বিচিতে লাথি মেরে ওর কাছে থেকে সরে আসবেন বা ওকে দূরে সরাবেন। এটা ভাববেন না যে, প্রেমের ব্যাপারে মিথ্যা বলা কোনো অপরাধ নয়। প্রেমের ব্যাপারে মিথ্যা বলাই সবচেয়ে বড় অপরাধ; কারণ, মিথ্যা বলে সে আপনাকে শুরুতেই ঠকিয়েছে, আপনার বিশ্বাসের অমর্যাদা করেছে। এরপরও তাকে আপনি আর বিশ্বাস করবেন কেনো ? তাই যখনই মিথ্যা ধরা পড়বে, সম্পর্কটা তখনই শেষ করে দেবেন। কারণ, মিথ্যা দিয়ে যার শুরু, তার সাথে সম্পর্ক চালিয়ে গেলে- মিথ্যা, শঠতা ও প্রতারণা ছাড়া আর কী আপনি আশা করতে পারেন ? আর নিজের জীবন সঙ্গীর এই মিথ্যা, শঠতা এবং প্রতারণা আপনার জীবনকে কতখানি সুখ দেবে ? তাই মিথ্যা ধরা পড়া মাত্রই মারবেন ডাইরেক্ট বিচিত লাথি।
সৌজন্যে: ফেইসবুক/ সৌরভ দাস
No comments:
Post a Comment
পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। আপনার কোন তথ্য সংরক্ষণ বা প্রকাশ করা হবে না। আপনি Anonymous বা পরিচয় গোপন করেও কমেন্ট করতে পারেন।