আমেরিকার পর ডেনমার্কও মুসলিম অভিবাসীদের উপর নিষেধাজ্ঞা বসাতে পারে

এই বছরের শুরুর দিকে ডেনিশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ইমিগ্রেশন-সমালোচক দলটি বেশ কয়েকটি আদেশ পেয়েছিল।

২.৪ শতাংশ ভোটের ফলে পার্লামেন্টের চারটি আসন তৈরি হয়েছিল এবং এর মধ্যে একটি পেয়েছিলেন 38 বছর বয়সী মেটে থিয়েসন।

মেটে ফেসবুকে লিখেছেন যে "মুসলিম দেশগুলির লোকদের ডেনিশ নাগরিকত্ব না থাকা উচিত"।তিনি আরো বলেন,

“ডেনিশের নাগরিকত্ব একটি সুন্দর উপহার। আমাদের অবশ্যই এই উপহারটির যত্ন নিতে হবে এবং এটিকে ফেলে দেওয়া উচিত নয়। অবশ্যই, ডেনিশ নাগরিকত্ব দেশবাসী এবং অভিবাসীদের সাথে অভিবাসী এবং বংশধরদের দেওয়া উচিত নয়,, যারা  ডেনেসের  স্থানীয় লোকদের  চেয়ে বেশি  অপরাধ করে থাকে ”।


বার্লিংসকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছিলেন যে কোনও ব্যতিক্রম করা উচিত নয়। তেমনি খ্রিস্টানদেরও আশা করা হয় না যে ডেনিশ রীতিনীতিগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হবে।
নিউ রাইট যুক্তি দেখায় যে "ইসলামিক সংস্কৃতি" হিসাবে চিহ্নিত দেশগুলি থেকে আসা লোকেরা মুসলমান না হলেও অপরাধের পরিসংখ্যানগুলিতে অত্যধিক প্রতিনিধিত্ব করে।
মেটে থেইসেন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বলেছেন যে আমরা বিশ্বাস করি তারাই ডেনমার্কের পক্ষে উপকৃত হবে যারা ডেনিশের মূল্যবোধ গ্রহণ করবে এবং যারা অপরাধ করে না তাদের একচেটিয়াভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করব।
ডেনিশ রাজনীতিবিদের মতে, কোনও ব্যক্তি ধর্মীয় অনুষঙ্গ নির্বিশেষে, ডেনিশ নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারবেন না যদি সে নিম্নলিখিত দেশগুলির মধ্যে থেকে আসে: ইরাক, আফগানিস্তান, ইরান, মরক্কো, পাকিস্তান, সোমালিয়া, লেবানন, সিরিয়া এবং তুরষ্ক।


প্রস্তাবটি র‌্যাডিক্যাল শোনাতে পারে তবে একই সাথে বিপরীতটি কোনওভাবেই অনন্য নয়। দুবাই, কুয়েত এবং কাতারের মতো বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ ও কিন্ত অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয় না।


সূত্রঃvoice of europe