বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার রায়পুর ইউনিয়নের পাইকান্দী মোহাম্মদ মফিজ মুন্সী গত এক বছর ধরে কালী মায়ের পুজা দেন। তার বাবার নাম রশিদ মুন্সী। তাকে আমার কাছে খুব অমায়িক সহজ সরল মনে হয়েছে। সে মনে প্রাণে সর্ব ধর্মে বিশ্বাসী। এই ভিডিওটা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক দিন ধরে ভাইরাল হয়েছে। এতো বেশি আপলোড হয়েছে যে ভিডিওটার প্রকৃত আপলোডকারী কে তা সনাক্ত করা সম্ভব হয়। ভিডিওতে একজন বয়সী ব্যক্তি একজন পঞ্চাশ উর্ধো ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সেখানে প্রশ্ন কর্তাকে বেশ উত্তেজিত মনে হয়েছে। পুরো সাক্ষাৎকার এখানে তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন : বাড়ি কোথায় ?
মুন্সী: পাইকান্দী
প্রশ্ন :বাবার নাম কি ?
মুন্সী: রশিদ মুন্সী
প্রশ্ন : তা এখানে এই পুজা দিচ্ছেন কেন ?
মুন্সী: এইটা হলো আমার এই অসুখে পইড়া এইডা এইডা করা লাগতেছে।
প্রশ্ন : যেমন ?
মুন্সী: অসুখে পড়ছিলাম তো তাই অসুখ সারার জন্য মার আসি।
প্রশ্ন : তা আপনি কোন হাদিসে পাইছেন আপনি একজন মুসলিম হয়ে পুজা দেন ? এটা শরীয়ত সম্মত ? জায়েজ আছে ?
মুন্সী: কোন হাদিস মানিনা ভাই। বিপদে পরে মার কাছে আসি অসুখের জন্য এই পর্যন্ত ভাই।
প্রশ্ন : অসুখের জন্যই আসেন এই পর্যন্ত। তা আপনি সেবা দিচ্ছেন কেন ?
মুন্সী: সেবা দিচ্চি এই জন্য মার কাছে আসি ( শেষ না হতেই পরের প্রশ্ন)।
প্রশ্ন : আপনি কি নামাজ পড়েন ?
মুন্সী: না।
প্রশ্ন : নামাজ পড়েন না ?
মুন্সী: না।
প্রশ্ন : তা আপনি কি ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করেন করেন ?
মুন্সী: বিশ্বাস করি
প্রশ্ন : ইসলাম ধর্মে কি আছে যে আপনি যেহেতু হিন্দু ধর্ম অবলম্বন করেন না সেই ক্ষেত্রে আপনি পুজা দিচ্ছেন কেন ?
মুন্সী: দেয়, আমার ভালো লাগতেসে মার সামনে।
প্রশ্ন : তাহলে আপনি কি ইসলাম ধর্মে নাই ?
মুন্সী: আছি।
প্রশ্ন : থাকলে আপনি তো এখানে পুজা দিতে পারবেন না?
মুন্সী: ওরে ভাই কপালে যা আছে তাই।
প্রশ্ন : এই ধর্মটাকে আপনার ভালো লাগে ?
মুন্সী: এটাও ভালো লাগে মসজিদেও নামাজ পড়া ভালো লাগে।
প্রশ্ন : মসজিদে নামাজ পড়েন ?
মুন্সী: আগে পড়তাম। এখন পড়ি না।
প্রশ্ন : আজকে নামাজ পড়ছেন ? গত শুক্রবার নামাজ পড়ছেন ?
মুন্সী: না। মসজিদে যায় না প্রায় বছর খানেক হয়ে গেছে।
প্রশ্ন : বছর খানেক মসজিদে যান না। অথচ বছর খানেক পুজা করেন ?
মুন্সী: এই জায়গায় আসি যায়, ফুল-ঠুল দিয়ে যায়।
প্রশ্ন : ফুল-ঠুল দিয়ে যান ?
মুন্সী: হুম
প্রশ্ন : কয়টা ছেলেমেয়ে আপনার ?
মুন্সী: ১ ছেলে ১ মেয়ে।
প্রশ্ন : এক কথায় হিন্দুদের এই ধর্মটা আপনার ভালো লাগে?
মুন্সী: আমার ভালো লাগে।
প্রশ্ন : তাহলে আপনি কি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করবেন ?
মুন্সী: গ্রহণ করবো কি ? আমি যেভাবে করছি এভাবেই করে যাবো।
প্রশ্ন : মরার আগ পর্যন্ত এভাবেই করে যাবেন ?
মুন্সী: হ্যা। এভাবেই করে যাবো।
প্রশ্ন : নামাজ পড়বেন না ?
মুন্সী: নামাজও পড়বো।
প্রশ্ন : নামাজ পড়বেন কবে থেকে ?
মুন্সী: দেরী আছে নামাজের।
প্রশ্ন : কিন্তু আপনি তো নামাজ পড়তে পারবেন না এখন থেকে?
মুন্সী: পারবো।
প্রশ্ন : কেমনে ?
মুন্সী: মা যদি আশীর্বাদ দেয়, আল্লা যদি আশীর্বাদ দেয় - পারবো।
প্রশ্ন : আপনি যদি পুজাও করেন নামাজও পড়েন তাহলে আল্লা আপনার এই নামাজ কবুল করবে ?
মুন্সী: সে আল্লাই ভালো জানবে।
প্রশ্ন : আল্লাই ভালো জানবে ঠিক আছে। আপনার কাছে কি মনে হয় ?
মুন্সী: আমার কাছে আমি মায়ের সেবায় আছি আবার মসজিদের সেবায় থাকতে রাজি আছি।
প্রশ্ন : আপনি কোন আলেম কে জিজ্ঞাসা করছেন আপনি পূজা করছেন এটা ঠিক কিনা কিনা ?
মুন্সী: না। আমি আলেমের কাছে যায়নি।
প্রশ্ন : আপনার কি এটা ছিল না ?
মুন্সী: না। জানবো কি ? আমি এখন অসুখে পরে বাধ্য। এখন আলেম কি আমারে বাঁচাবে না টাহা (টাকা ) দেবে না। অসুখে পরে বিপদে পড়েই আমার মায়ের কাছে আসা লাগছে। মা-ই আমার দেখবে।
প্রশ্ন : কোন মা আপনাকে করছে ?
মুন্সী: যে মা গর্ভধারিণী মা আমাকে রক্ষা করছে। এখন এই মার দ্বারা আমার অসুখ সারছে।
প্রশ্ন : সেটা কোন মা ? মার নাম কি ?
মুন্সী: মার নাম এতো আমার কওয়ার (বলার ) দরকার নেই। এখন তার সেবা করছি এই পর্যন্তই।
প্রশ্ন : এই মার কি ?
মুন্সী: তা আমি কবার (বলার ) পারবো না।
প্রশ্ন : তাহলে আপনি পুজা দিচ্ছেন কেমনে ?
মুন্সী: এভাবে।
প্রশ্ন : আপনি একজন মুসলিম একজন মুন্সীর ছেলে হয়ে পুজা করছেন কত দিন ?
মুন্সী: এই এক বছর।
প্রশ্ন : (পাশে থেকে আরেক জনের প্রশ্ন ) বেশি। বেশি না ?
মুন্সী: না। এই এক বছর।
প্রশ্ন : আপনার এইডাই ভালো লাগে এই তো ?
মুন্সী: আমার এইডাই ভালো লাগে। আমি বিপদ থেকে উঠে আইছি, অসুখ থেকে উঠে আইছি। দেখা যাচ্ছে আগে মসজিদে যাইতাম। এখন যায়না। আবার সময় হলে যাবো।
প্রশ্ন : বাড়ি কোথায় ?
মুন্সী: পাইকান্দী
প্রশ্ন :বাবার নাম কি ?
মুন্সী: রশিদ মুন্সী
প্রশ্ন : তা এখানে এই পুজা দিচ্ছেন কেন ?
মুন্সী: এইটা হলো আমার এই অসুখে পইড়া এইডা এইডা করা লাগতেছে।
প্রশ্ন : যেমন ?
মুন্সী: অসুখে পড়ছিলাম তো তাই অসুখ সারার জন্য মার আসি।
প্রশ্ন : তা আপনি কোন হাদিসে পাইছেন আপনি একজন মুসলিম হয়ে পুজা দেন ? এটা শরীয়ত সম্মত ? জায়েজ আছে ?
মুন্সী: কোন হাদিস মানিনা ভাই। বিপদে পরে মার কাছে আসি অসুখের জন্য এই পর্যন্ত ভাই।
প্রশ্ন : অসুখের জন্যই আসেন এই পর্যন্ত। তা আপনি সেবা দিচ্ছেন কেন ?
মুন্সী: সেবা দিচ্চি এই জন্য মার কাছে আসি ( শেষ না হতেই পরের প্রশ্ন)।
প্রশ্ন : আপনি কি নামাজ পড়েন ?
মুন্সী: না।
প্রশ্ন : নামাজ পড়েন না ?
মুন্সী: না।
প্রশ্ন : তা আপনি কি ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করেন করেন ?
মুন্সী: বিশ্বাস করি
প্রশ্ন : ইসলাম ধর্মে কি আছে যে আপনি যেহেতু হিন্দু ধর্ম অবলম্বন করেন না সেই ক্ষেত্রে আপনি পুজা দিচ্ছেন কেন ?
মুন্সী: দেয়, আমার ভালো লাগতেসে মার সামনে।
প্রশ্ন : তাহলে আপনি কি ইসলাম ধর্মে নাই ?
মুন্সী: আছি।
প্রশ্ন : থাকলে আপনি তো এখানে পুজা দিতে পারবেন না?
মুন্সী: ওরে ভাই কপালে যা আছে তাই।
প্রশ্ন : এই ধর্মটাকে আপনার ভালো লাগে ?
মুন্সী: এটাও ভালো লাগে মসজিদেও নামাজ পড়া ভালো লাগে।
প্রশ্ন : মসজিদে নামাজ পড়েন ?
মুন্সী: আগে পড়তাম। এখন পড়ি না।
প্রশ্ন : আজকে নামাজ পড়ছেন ? গত শুক্রবার নামাজ পড়ছেন ?
মুন্সী: না। মসজিদে যায় না প্রায় বছর খানেক হয়ে গেছে।
প্রশ্ন : বছর খানেক মসজিদে যান না। অথচ বছর খানেক পুজা করেন ?
মুন্সী: এই জায়গায় আসি যায়, ফুল-ঠুল দিয়ে যায়।
প্রশ্ন : ফুল-ঠুল দিয়ে যান ?
মুন্সী: হুম
প্রশ্ন : কয়টা ছেলেমেয়ে আপনার ?
মুন্সী: ১ ছেলে ১ মেয়ে।
প্রশ্ন : এক কথায় হিন্দুদের এই ধর্মটা আপনার ভালো লাগে?
মুন্সী: আমার ভালো লাগে।
প্রশ্ন : তাহলে আপনি কি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করবেন ?
মুন্সী: গ্রহণ করবো কি ? আমি যেভাবে করছি এভাবেই করে যাবো।
প্রশ্ন : মরার আগ পর্যন্ত এভাবেই করে যাবেন ?
মুন্সী: হ্যা। এভাবেই করে যাবো।
প্রশ্ন : নামাজ পড়বেন না ?
মুন্সী: নামাজও পড়বো।
প্রশ্ন : নামাজ পড়বেন কবে থেকে ?
মুন্সী: দেরী আছে নামাজের।
প্রশ্ন : কিন্তু আপনি তো নামাজ পড়তে পারবেন না এখন থেকে?
মুন্সী: পারবো।
প্রশ্ন : কেমনে ?
মুন্সী: মা যদি আশীর্বাদ দেয়, আল্লা যদি আশীর্বাদ দেয় - পারবো।
প্রশ্ন : আপনি যদি পুজাও করেন নামাজও পড়েন তাহলে আল্লা আপনার এই নামাজ কবুল করবে ?
মুন্সী: সে আল্লাই ভালো জানবে।
প্রশ্ন : আল্লাই ভালো জানবে ঠিক আছে। আপনার কাছে কি মনে হয় ?
মুন্সী: আমার কাছে আমি মায়ের সেবায় আছি আবার মসজিদের সেবায় থাকতে রাজি আছি।
প্রশ্ন : আপনি কোন আলেম কে জিজ্ঞাসা করছেন আপনি পূজা করছেন এটা ঠিক কিনা কিনা ?
মুন্সী: না। আমি আলেমের কাছে যায়নি।
প্রশ্ন : আপনার কি এটা ছিল না ?
মুন্সী: না। জানবো কি ? আমি এখন অসুখে পরে বাধ্য। এখন আলেম কি আমারে বাঁচাবে না টাহা (টাকা ) দেবে না। অসুখে পরে বিপদে পড়েই আমার মায়ের কাছে আসা লাগছে। মা-ই আমার দেখবে।
প্রশ্ন : কোন মা আপনাকে করছে ?
মুন্সী: যে মা গর্ভধারিণী মা আমাকে রক্ষা করছে। এখন এই মার দ্বারা আমার অসুখ সারছে।
প্রশ্ন : সেটা কোন মা ? মার নাম কি ?
মুন্সী: মার নাম এতো আমার কওয়ার (বলার ) দরকার নেই। এখন তার সেবা করছি এই পর্যন্তই।
প্রশ্ন : এই মার কি ?
মুন্সী: তা আমি কবার (বলার ) পারবো না।
প্রশ্ন : তাহলে আপনি পুজা দিচ্ছেন কেমনে ?
মুন্সী: এভাবে।
প্রশ্ন : আপনি একজন মুসলিম একজন মুন্সীর ছেলে হয়ে পুজা করছেন কত দিন ?
মুন্সী: এই এক বছর।
প্রশ্ন : (পাশে থেকে আরেক জনের প্রশ্ন ) বেশি। বেশি না ?
মুন্সী: না। এই এক বছর।
প্রশ্ন : আপনার এইডাই ভালো লাগে এই তো ?
মুন্সী: আমার এইডাই ভালো লাগে। আমি বিপদ থেকে উঠে আইছি, অসুখ থেকে উঠে আইছি। দেখা যাচ্ছে আগে মসজিদে যাইতাম। এখন যায়না। আবার সময় হলে যাবো।
Great. May God Kali Bless you.
ReplyDeleteউনি অত্যন্ত সৎ মানুষ। ঈশ্বর উনার মঙ্গল করুন।
ReplyDelete