ঢাকায় বন্ধুর বাসায় অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ব্লগার অর্পিতা রায় চৌধুরী এবং ব্লগার জুবায়েন সন্ধি ! |
ভিতরে পড়ে জানলাম তার নাম তমালিকা সিংহ। তিনি অর্পিতা রায় চৌধুরী ছদ্ম নামে
বিভিন্ন ব্লগে লেখালিখি করতেন।আরো জানলাম তিনি লেখালেখির জন্য ইসলামী মৌলবাদীদের রোষানলে পড়েন। পরে তিনি পেন জার্মানির সহায়তায় জার্মানিতে যান। তখন বিষয়টা নিয়ে আমার আরো বেশি খটকা লাগে। ভাবতে লাগলাম সে একজন ২২-২৪ বছর বয়সী তরুণী মেয়ে। তিনি নিজ পরিবার আত্মীয়-স্বজন ফেলে ইসলামী মৌলবাদীদের ভয়ে মাতৃভূমি ছেড়েছেন। তিনি আত্মহত্যা করতে যাবেন কোন দুঃখে ? তিনি তো বিদেশে গেছেন নিরাপত্তার আশায়। একটু সুখের আশায়। শুরু করলাম রিসার্চ। প্রথমে খুঁজে বের করলাম অর্পিতা রায় চৌধুরীর ব্লগ। তার নিজ নামে একটি ব্লগ আছে। নবযুগ নামে তার আর একটি ব্লগ আছে। তবে এতে খুব বেশি না কিন্তু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আর্টিকেল আছে। এই আর্টিকেলগুলো তিনি নিজ ব্লগ ছাড়া অন্যান্য ব্লগে প্রকাশ করেছেন। তার লেখা পড়লে আরো বেশি অবাক হতে হয়। তিনি ধর্ম নিয়ে বেশি পোস্ট লেখেননি। বিভিন্ন বিষয়ে লিখেছেন। সেখানে খুব সুন্দর ভাবে যুক্তি তুলে ধরেছেন। নেই কোন নারীবাদী বিষয়। তবে তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর হওয়া নির্যাতনের বিষয়টি একাধিক লেখায় তুলে ধরেছেন। তিনি ডয়েসেলে একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর হওয়া নির্যাতনের বিষয়টি উপস্থানপন করেছেন।তাহলে তিনি কেন মৌলবাদীদের টার্গেট হবেন ? তার পর যা পেলাম সে তো কেঁচো খুঁড়তে সাপ। DW বাংলা প্রথমে খবরটি ছাপে। তাদের হেডলাইন ছিল এরকমঃ "বার্লিনে বাংলাদেশি ব্লগারের রহস্যজনক মৃত্যু।" ভিতরে আরো ছিল ব্লগার অর্পিতা রায় চৌধুরী এবং ব্লগার জুবায়েন সন্ধির খুব ভালো ফ্রেন্ড ছিলেন। তারা দুজন পাশাপাশি ভবনে থাকতেন। তখন আমার সন্দেহ আরো ঘনীভূত হতে লাগলো। পরের দিন বাংলা ট্রিবিউন এ জার্মানি থেকে কবি দাউদ হায়দার আরো একটি কলাম লিখেছেন এ বিষয়ে। আমি নিজে একজন সংখ্যালঘু হওয়ায় বিষয়টা নিয়ে কৌতূহল বোধ করলাম।
নিধিরাম সর্দ্দার তার বাসায় ব্লগার অর্পিতা রায় চৌধুরী এবং জুবায়েন সন্ধির অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ছবি দিয়েছেন।
এটাও স্পষ্ট না যে বাংলাদেশের মতো জায়গায় একটি হিন্দু ফ্যামিলি কি করে একজন মুসলমান যুবকের হাতে একজন তরুণী মেয়েকে একা ছেড়ে দেয় ?
স্ক্রিনশট দেখার পর আপনার কি মনে হয় না এটি একটি ঠান্ডা মাথায় হত্যা ? ব্লগার জুবায়েন সন্ধি ঠান্ডা মাথায় নির্যাতন করে অর্পিতাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
হিন্দু মেয়েদের জ্ঞান হবে না। তার পরিবার তো পুরা বোকা।
ReplyDelete