ব্লগার অর্পিতা রায় চৌধুরী আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে ? - UHC বাংলা

Untitled+2

...মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী একটি গ্লোবাল বাংলা প্লাটফর্ম!

Home Top Ad

Saturday, December 22, 2018

demo-image

ব্লগার অর্পিতা রায় চৌধুরী আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে ?



Screenshot+%252813%2529
ঢাকায় বন্ধুর বাসায় অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ব্লগার অর্পিতা রায় চৌধুরী   এবং ব্লগার জুবায়েন সন্ধি !



গত কয়েক দিন আগে একটি খবর চোখে পড়ে "জার্মানিতে বাংলাদেশি ব্লগারের মৃত্যু নিয়ে রহস্য' !পেন জার্মানিও ব্লগারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে৷ তবে ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পেন জার্মানির মুখপাত্র ফিলিক্স হিলে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা আমাদের ‘নির্বাসিত লেখক' ফেলো অর্পিতা রায়চৌধুরীর (ছদ্মনাম) মৃত্যুতে অত্যন্ত শোকাহত৷ যেহেতু পুলিশের তদন্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে, তাই এই বিষয়ে আমরা আর কোনো মন্তব্য করতে পারছি না৷'' প্রায় প্রতিটি বাংলাদেশী দৈনিক খবরটি ফলাও করে প্রচার করে।
Screenshot+%252815%2529


ভিতরে পড়ে জানলাম তার নাম তমালিকা সিংহ। তিনি অর্পিতা রায় চৌধুরী ছদ্ম নামে
বিভিন্ন ব্লগে লেখালিখি করতেন।আরো জানলাম তিনি লেখালেখির জন্য ইসলামী মৌলবাদীদের রোষানলে পড়েন। পরে তিনি পেন জার্মানির সহায়তায় জার্মানিতে যান। তখন বিষয়টা নিয়ে আমার আরো বেশি খটকা লাগে। ভাবতে লাগলাম সে একজন ২২-২৪ বছর বয়সী তরুণী মেয়ে। তিনি নিজ পরিবার আত্মীয়-স্বজন ফেলে ইসলামী মৌলবাদীদের ভয়ে মাতৃভূমি ছেড়েছেন। তিনি আত্মহত্যা করতে যাবেন কোন দুঃখে ? তিনি তো বিদেশে গেছেন নিরাপত্তার আশায়। একটু সুখের আশায়। শুরু করলাম রিসার্চ। প্রথমে খুঁজে বের করলাম  অর্পিতা রায় চৌধুরীর ব্লগ। তার নিজ নামে একটি ব্লগ আছে। নবযুগ নামে তার আর একটি ব্লগ আছে। তবে এতে খুব বেশি না কিন্তু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আর্টিকেল আছে। এই আর্টিকেলগুলো তিনি নিজ ব্লগ ছাড়া অন্যান্য ব্লগে প্রকাশ করেছেন। তার লেখা পড়লে আরো বেশি অবাক হতে হয়। তিনি ধর্ম নিয়ে বেশি পোস্ট লেখেননি। বিভিন্ন বিষয়ে লিখেছেন। সেখানে খুব সুন্দর ভাবে যুক্তি তুলে ধরেছেন। নেই কোন নারীবাদী বিষয়। তবে তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর হওয়া নির্যাতনের বিষয়টি একাধিক লেখায় তুলে ধরেছেন। তিনি ডয়েসেলে একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর হওয়া নির্যাতনের বিষয়টি উপস্থানপন করেছেন।তাহলে তিনি কেন মৌলবাদীদের টার্গেট হবেন ? তার পর যা পেলাম সে তো কেঁচো খুঁড়তে  সাপ। DW বাংলা প্রথমে খবরটি  ছাপে। তাদের হেডলাইন ছিল এরকমঃ "বার্লিনে বাংলাদেশি ব্লগারের রহস্যজনক মৃত্যু।" ভিতরে আরো ছিল ব্লগার অর্পিতা রায় চৌধুরী এবং  ব্লগার  জুবায়েন সন্ধির খুব ভালো ফ্রেন্ড ছিলেন। তারা দুজন পাশাপাশি ভবনে থাকতেন। তখন আমার সন্দেহ আরো ঘনীভূত হতে লাগলো। পরের দিন বাংলা ট্রিবিউন এ জার্মানি থেকে কবি দাউদ হায়দার আরো একটি কলাম লিখেছেন এ বিষয়ে। আমি নিজে একজন সংখ্যালঘু হওয়ায় বিষয়টা নিয়ে কৌতূহল বোধ করলাম।




Screenshot+%252817%2529Screenshot+%252819%2529Screenshot+%252818%2529


 কবি দাউদ হায়দার এর কলাম থেকে স্পষ্ট যে তার বাড়িতে  ব্লগার অর্পিতা রায় চৌধুরী জুবায়েন সন্ধির নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এমনকি তারা  দাউদ হায়দার এর বাড়িতে গিয়ে একসাথে রান্নাবান্না করতেন। এর পর পেলাম ফেসবুকে নিধিরাম সর্দ্দার।তিনি মূলত ব্লগার জুবায়েন সন্ধির ফ্রেন্ড।  সেখানে তিনি পুরো কাহিনী বর্ণনা করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে ব্লগার জুবায়েন সন্ধি বিবাহিত এবং স্ত্রীর সাথে বসবাস করেন। আর অর্পিতা জুবায়েন সন্ধির খপ্পরে পড়েছেন।  নিধিরাম সর্দ্দার এর কিছু স্ক্রিনশট দেখুনঃ




Screenshot+%25288%2529

Screenshot+%25282%2529

Screenshot+%25283%2529+-+Copy


নিধিরাম সর্দ্দার তার বাসায় ব্লগার অর্পিতা রায় চৌধুরী এবং জুবায়েন সন্ধির অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ছবি দিয়েছেন।





Screenshot+%252811%2529


 এটাও স্পষ্ট না যে বাংলাদেশের মতো জায়গায় একটি হিন্দু ফ্যামিলি কি করে একজন মুসলমান যুবকের হাতে একজন তরুণী মেয়েকে একা  ছেড়ে দেয় ?
স্ক্রিনশট দেখার পর আপনার কি মনে হয় না এটি একটি ঠান্ডা মাথায় হত্যা ?  ব্লগার জুবায়েন সন্ধি ঠান্ডা মাথায় নির্যাতন করে অর্পিতাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন। 






Screenshot+%25285%2529

Screenshot+%25286%2529+-+Copy

Screenshot+%25289%2529

এই লেখা পড়ে সবাই  ব্লগার জুবায়েন সন্ধিকে দোষারোপ করেছেন। এই পোস্ট থেকে স্পট যে ব্লগার জুবায়েন সন্ধির স্ত্রী তাদের এই অবৈধ্য সম্পর্কের কথা জানতেন। এ নিয়ে স্ত্রী কিছু বললে তাকে মারধর করতো। শেষ পর্যন্ত তিনি পেন এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তাতেও কাজ হয়নি। এখন কথা হলো  দাউদ হায়দার বেশ কাছে থেকে তাদেরকে দেখেছেন। তাদের  অবৈধ্য সম্পর্কের কথা জানতেন। একদিন অর্পিতা দাউদ হায়দারকে বলেছেন "এখানে আমার কে আছে ?" এখানেই তো তার অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে। কেন দাউদ হায়দার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন না ? কেন তিনি তার লেখায় তাদের  অবৈধ্য সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেন না ? উল্টো তিনি রাষ্ট্রকে দায়ী করলেন ! যা হোক এর সুষ্ঠু তদন্ত দরকার। খপ্পর ব্লগার জুবায়েন সন্ধিকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো সময় এসেছে। সর্বোপরি বাংলাদেশের হিন্দুদের আরো বেশি সতর্ক হওয়ার দরকার। একটা মেয়েকে বিদেশে পাঠানোর আগে আরো বেশি ভেবে দেখা দরকার। আর যেন কোন তমালিকা সিংহ কোন শয়তানের খপ্পরে পড়ে মৃত্যুবরণ না করে।

অন্যান্য

Post Bottom Ad

আকর্ষণীয় পোস্ট

code-box

Contact Form

Name

Email *

Message *